“The scene which the light brings before our
eyes is inexpressively great, but our seeing has not been as great as the scene
presented to us; we have not fully seen! We have seen mere happenings, but not
the deeper truth which is measureless joy”—Rabindranath
" সৃজন " দেখতে দেখতে চতুর্থ সংখ্যায় পদার্পণ করল । এই সংখ্যার বিষয় "দৃষ্টি" রাখার পিছনে তেমন কোনো কারণ না থাকলেও কেন জানি না মনে হয়েছে বারবার আমাদের দৃষ্টি হারিয়ে যাচ্ছে ৷ আমরা দেখতে ভুলে যাচ্ছি ৷ একটি বিষয়কে ভিন্নরূপে দেখার জন্য চোখ দরকার পড়ে না, যেটা লাগে সেটা হল "দৃষ্টি" ৷ আমাদের দেখার অনুভূতিগুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে ৷ প্রেম, বিরহ, বিচ্ছেদ, অবসন্নতা সব বিষয়গুলো আমাদের যাপনের সাথে ভীষণভাবে বর্তমান । কিন্তু তাকে দেখার আঙ্গিকটা বদলে গেছে ৷
আমাদের দু'চোখে এখন রক্তের দাগ কিংবা হলদে ইতিহাসের দাগ । সবুজ বা সতেজতা দেখতে আমরা ভুলে গেছি।
বিষণ্ণতার রঙ কি ? কিংবা অনুভূতিকে কেমন দেখতে এই নিয়ে কি আমরা আদৌ ভাবি ? রূপকথার গল্পের চরিত্রগুলো কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে ৷ যেমন একটা গাছ বীজ থেকে বড় হয়, মানে সেটাই স্বাভাবিক ৷ কখনও সেটা বড় হয় আমাদের দৃষ্টির গোচরে, কখনও দৃষ্টির অগোচরে ৷ যে গাছটি আমাদের বাগানে সংরক্ষিত, তাতে পোকার সংক্রমণ হলে কিংবা গাছটিতে সারের প্রয়োজন হলে আমরা বুঝতে পারি ৷ কিন্তু এমন অনেক গাছ আছে যেগুলো রেললাইনের আশেপাশে, বা বাড়ির আবর্জনায় বেড়ে ওঠে, তাদের দিকে আমরা ফিরে তাকাই না ৷ কিন্তু কেন ? যেন অদ্ভুতভাবে অনাদরে বেড়ে ওঠাটাই ওদের নিয়তি ৷
একখণ্ড খাবারকে কিন্তু আমরা কাক , বিড়াল এদের থেকে সরিয়ে রাখার জন্য সদা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকি। আসলে আমাদের কাছে অভ্যাসটা বড় কাঙ্ক্ষিত ! তাই এবারে " দৃষ্টি" সংখ্যা নিয়ে আপনারা কে , কী ভাবছেন, কিংবা " সৃজন"-কে আপনারা কোন দৃষ্টিতে দেখছেন জানাটা দরকার ৷ " সৃজন "-এ প্রতিটি সংখ্যায় নতুন নতুন বিভাগ চালু করা হচ্ছে ৷ এই সংখ্যায় চালু করা হল নতুন বিভাগ " উল্টো কথা " ৷ আমরা সোজা কথাকে উল্টো করে না হয় বলব, তবে যুক্তি দিয়ে ।
"সৃজন " আপনাদের একজন হয়ে উঠতে পারল ? কী ভাবছেন আপনারা ? লেখা পাঠান সবাই ৷ সকলের লেখা পড়ুন ৷ শেষ করলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টি কবিতা দিয়ে ...
" দৃষ্টি "
বুঝি গো সন্ধ্যার কাছে শিখেছে সন্ধ্যার মায়া
ওই আঁখিদুটি,
চাহিলে হৃদয়-পানে মরমেতে পড়ে ছায়া,
তারা উঠে ফুটি ।
আগে কে জানিত বলো কত কি লুকানো ছিল
হৃদয়নিভৃতে-
তোমার নয়ন দিয়া আমার নিজের হিয়া
পাইনু দেখিতে ।
কখনো গাও নি তুমি, কেবল নীরবে রহি
শিখায়েছ গান-
স্বপ্নময় শান্তিময় পূরবীরাগিণীতানে
বাঁধিয়াছ প্রাণ ।
আকাশের পানে চাই, সেই সুরে গান গাই
একেলা বসিয়া ।
একে একে সুরগুলি অনন্তে হারায়ে যায়
আঁধারে পশিয়া ।
সম্পাদিকা
পারমিতা চক্রবর্ত্তী
" সৃজন " দেখতে দেখতে চতুর্থ সংখ্যায় পদার্পণ করল । এই সংখ্যার বিষয় "দৃষ্টি" রাখার পিছনে তেমন কোনো কারণ না থাকলেও কেন জানি না মনে হয়েছে বারবার আমাদের দৃষ্টি হারিয়ে যাচ্ছে ৷ আমরা দেখতে ভুলে যাচ্ছি ৷ একটি বিষয়কে ভিন্নরূপে দেখার জন্য চোখ দরকার পড়ে না, যেটা লাগে সেটা হল "দৃষ্টি" ৷ আমাদের দেখার অনুভূতিগুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে ৷ প্রেম, বিরহ, বিচ্ছেদ, অবসন্নতা সব বিষয়গুলো আমাদের যাপনের সাথে ভীষণভাবে বর্তমান । কিন্তু তাকে দেখার আঙ্গিকটা বদলে গেছে ৷
আমাদের দু'চোখে এখন রক্তের দাগ কিংবা হলদে ইতিহাসের দাগ । সবুজ বা সতেজতা দেখতে আমরা ভুলে গেছি।
বিষণ্ণতার রঙ কি ? কিংবা অনুভূতিকে কেমন দেখতে এই নিয়ে কি আমরা আদৌ ভাবি ? রূপকথার গল্পের চরিত্রগুলো কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে ৷ যেমন একটা গাছ বীজ থেকে বড় হয়, মানে সেটাই স্বাভাবিক ৷ কখনও সেটা বড় হয় আমাদের দৃষ্টির গোচরে, কখনও দৃষ্টির অগোচরে ৷ যে গাছটি আমাদের বাগানে সংরক্ষিত, তাতে পোকার সংক্রমণ হলে কিংবা গাছটিতে সারের প্রয়োজন হলে আমরা বুঝতে পারি ৷ কিন্তু এমন অনেক গাছ আছে যেগুলো রেললাইনের আশেপাশে, বা বাড়ির আবর্জনায় বেড়ে ওঠে, তাদের দিকে আমরা ফিরে তাকাই না ৷ কিন্তু কেন ? যেন অদ্ভুতভাবে অনাদরে বেড়ে ওঠাটাই ওদের নিয়তি ৷
একখণ্ড খাবারকে কিন্তু আমরা কাক , বিড়াল এদের থেকে সরিয়ে রাখার জন্য সদা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকি। আসলে আমাদের কাছে অভ্যাসটা বড় কাঙ্ক্ষিত ! তাই এবারে " দৃষ্টি" সংখ্যা নিয়ে আপনারা কে , কী ভাবছেন, কিংবা " সৃজন"-কে আপনারা কোন দৃষ্টিতে দেখছেন জানাটা দরকার ৷ " সৃজন "-এ প্রতিটি সংখ্যায় নতুন নতুন বিভাগ চালু করা হচ্ছে ৷ এই সংখ্যায় চালু করা হল নতুন বিভাগ " উল্টো কথা " ৷ আমরা সোজা কথাকে উল্টো করে না হয় বলব, তবে যুক্তি দিয়ে ।
"সৃজন " আপনাদের একজন হয়ে উঠতে পারল ? কী ভাবছেন আপনারা ? লেখা পাঠান সবাই ৷ সকলের লেখা পড়ুন ৷ শেষ করলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টি কবিতা দিয়ে ...
" দৃষ্টি "
বুঝি গো সন্ধ্যার কাছে শিখেছে সন্ধ্যার মায়া
ওই আঁখিদুটি,
চাহিলে হৃদয়-পানে মরমেতে পড়ে ছায়া,
তারা উঠে ফুটি ।
আগে কে জানিত বলো কত কি লুকানো ছিল
হৃদয়নিভৃতে-
তোমার নয়ন দিয়া আমার নিজের হিয়া
পাইনু দেখিতে ।
কখনো গাও নি তুমি, কেবল নীরবে রহি
শিখায়েছ গান-
স্বপ্নময় শান্তিময় পূরবীরাগিণীতানে
বাঁধিয়াছ প্রাণ ।
আকাশের পানে চাই, সেই সুরে গান গাই
একেলা বসিয়া ।
একে একে সুরগুলি অনন্তে হারায়ে যায়
আঁধারে পশিয়া ।
সম্পাদিকা
পারমিতা চক্রবর্ত্তী