আজ বৃষ্টি...বর্ষা এলো ***
আজ ভোরাই গানে বৃষ্টি
মেহুলী মেঘ গলানো বৃষ্টি
যেন কতদিনের পরে আবার
স্বেচ্ছানির্বাসনের ঘোমটা সরে
মাটির বুকে প্রেম ঝরলো
চেনা আঙিনায় সুখ জমলো ।
বর্ষা এলো...
সংগে এলো অথই গভীরতা
বৃষ্টিগানে মুখর হল কবির নীরবতা।
মেহুলী মেঘ গলানো বৃষ্টি
যেন কতদিনের পরে আবার
স্বেচ্ছানির্বাসনের ঘোমটা সরে
মাটির বুকে প্রেম ঝরলো
চেনা আঙিনায় সুখ জমলো ।
বর্ষা এলো...
সংগে এলো অথই গভীরতা
বৃষ্টিগানে মুখর হল কবির নীরবতা।
আজ দুপুর ধোয়া বৃষ্টি
মনপ্রান ভেজানো বৃষ্টি
যেন বাজলো আবার কদমবনে
রাখালিয়া সুর, নওলকিশোর
বাজায় বাঁশি, রাধামন উচাটন
নীল যমুনা তার যাওয়া বারণ।
বর্ষা এলো...
সংগে এলো প্রথম কদম ফুল
বৃষ্টি সুরে রাধার মন আজ হল ব্যাকুল ।
মনপ্রান ভেজানো বৃষ্টি
যেন বাজলো আবার কদমবনে
রাখালিয়া সুর, নওলকিশোর
বাজায় বাঁশি, রাধামন উচাটন
নীল যমুনা তার যাওয়া বারণ।
বর্ষা এলো...
সংগে এলো প্রথম কদম ফুল
বৃষ্টি সুরে রাধার মন আজ হল ব্যাকুল ।
আজ চুপবিকেলে বৃষ্টি
জোনাক সাঁঝবেলাতেও বৃষ্টি
রূপপ্রতীক্ষা রাতেও বৃষ্টি !
বর্ষা এলো...
সংগে এলো মেঘ রঙা হৃদয়
জলরঙা মন ভালোবাসা
আজ বেদুইন হয় ।
জোনাক সাঁঝবেলাতেও বৃষ্টি
রূপপ্রতীক্ষা রাতেও বৃষ্টি !
বর্ষা এলো...
সংগে এলো মেঘ রঙা হৃদয়
জলরঙা মন ভালোবাসা
আজ বেদুইন হয় ।
(২)
*এই বৃষ্টিতে ইচ্ছে হয় ***
বিদিশা দাস
বিদিশা দাস
এক সকাল অঝোর বৃষ্টি দেখছি,
জলের অফুরান প্রাচুর্যে অতলান্ত সংকেত!
ইচ্ছে হয় কাগজের নৌকো ভাসাই,
নাই বা পেলাম কলম্বাসের জাহাজ !
মনে মনে পাড়ি দিই গহীন সমুদ্রপথ,
রোমাঞ্চকর অভিযান শেষে; নিয়ে আসি
একমুঠো সূর্যকুসুম উষ্ণতা,
আমার সেই সোনালি প্রজাপতিটার জন্য
কাঠটগরের ঝোপটায় বসে থরথর করে কাঁপছে খুব তার জন্য,
দুলে দুলে কাঁপছে যে নীল অপরাজিতা ফুল গুলো; তাদের জন্য, লাল গোলাপ টার জন্য, আর অবশ্যই ফুটপাতে আদুল গায়ে ভিজছে যে পথশিশু তার জন্যও।
এক দুপুর নিবিড় বৃষ্টি দেখছি,
সামনের গলিপথে নীলাভ বিষণ্ণ শূণ্যতা
কোনো ডাকহরকরা মেঘ দ্রুত চলে যায়,
এক নির্বাসিত বিরহীর চিঠি নিয়ে অলকায় ;
ইচ্ছে হয় মেঘটাকে ডেকে জিজ্ঞেস করি,
আজ অবধি আকাশের ঠিকানায় যত চিঠি লেখা হয়েছে ;সব চিঠিই কি প্রাপক হাতে পেয়েছে ঠিকঠাক ?
ইচ্ছে করে, ফাল্গুনের জ্যোৎস্না প্লাবিত নদীর বুক থেকে একটু মদালসা উত্তাপ নিয়ে আসি সেই কাঙ্ক্ষিত চিঠিগুলোর জন্য,
সেই উষ্ণতায় তারা পৌঁছে যাক সেই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছে ;যারা হয়তো এখনো ছায়াপথে অপেক্ষায় থাকে প্রিয়জনের লেখা চিঠির জন্য,
অনন্ত নির্নিমিখ অপেক্ষায় ।।
জলের অফুরান প্রাচুর্যে অতলান্ত সংকেত!
ইচ্ছে হয় কাগজের নৌকো ভাসাই,
নাই বা পেলাম কলম্বাসের জাহাজ !
মনে মনে পাড়ি দিই গহীন সমুদ্রপথ,
রোমাঞ্চকর অভিযান শেষে; নিয়ে আসি
একমুঠো সূর্যকুসুম উষ্ণতা,
আমার সেই সোনালি প্রজাপতিটার জন্য
কাঠটগরের ঝোপটায় বসে থরথর করে কাঁপছে খুব তার জন্য,
দুলে দুলে কাঁপছে যে নীল অপরাজিতা ফুল গুলো; তাদের জন্য, লাল গোলাপ টার জন্য, আর অবশ্যই ফুটপাতে আদুল গায়ে ভিজছে যে পথশিশু তার জন্যও।
এক দুপুর নিবিড় বৃষ্টি দেখছি,
সামনের গলিপথে নীলাভ বিষণ্ণ শূণ্যতা
কোনো ডাকহরকরা মেঘ দ্রুত চলে যায়,
এক নির্বাসিত বিরহীর চিঠি নিয়ে অলকায় ;
ইচ্ছে হয় মেঘটাকে ডেকে জিজ্ঞেস করি,
আজ অবধি আকাশের ঠিকানায় যত চিঠি লেখা হয়েছে ;সব চিঠিই কি প্রাপক হাতে পেয়েছে ঠিকঠাক ?
ইচ্ছে করে, ফাল্গুনের জ্যোৎস্না প্লাবিত নদীর বুক থেকে একটু মদালসা উত্তাপ নিয়ে আসি সেই কাঙ্ক্ষিত চিঠিগুলোর জন্য,
সেই উষ্ণতায় তারা পৌঁছে যাক সেই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছে ;যারা হয়তো এখনো ছায়াপথে অপেক্ষায় থাকে প্রিয়জনের লেখা চিঠির জন্য,
অনন্ত নির্নিমিখ অপেক্ষায় ।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন