বর্ষা ,বাঙালি ও রবীন্দ্রনাথ একে অন্যের সাথে ভীষণ ভাবে জড়িত ৷তাই আজকে বিশেষ দিনে প্রকাশিত হল ''সৃজন'‘ রেইন মেশিন সংখ্যা ৷ জীবন স্মৃতিতে’ কবি তাঁর কাব্যের বর্ষা ও যৌবনের শরৎ লেখা ও ভাবনার প্রভেদ দেখাতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘সেই বাল্যকালের বর্ষা ও এই যৌবনকালের শরতের মধ্যে প্রভেদ এই দেখেতিছি যে, সেই বর্ষার দিনে বাহিরের প্রকৃতিই অত্যন্ত নিবিড় হইয়া আমাকে ফিরিয়া দাঁড়াইয়াছে, তাহার সমস্ত দলবল সাজসজ্জা এবং বাজনা-বাদ্য লইয়া মহাসমারোহে আমাকে সঙ্গদান করিয়াছে। আর, এই শরৎকালের মধুর উজ্জ্বল আলোকটির মধ্যে যে উৎসব তাহা মানুষের। মেঘ রৌদ্রের লীলাকে পশ্চাতে রাখিয়া সুখ-দু:খের আন্দোলন মর্মরিত হইয়া উঠিতেছে, নীল আকাশের উপরে মানুষের অনিমেষ দৃষ্টির আবেশটুকু একটা রঙ মাখাইয়াছে এবং বাতাসের সঙ্গে মানুষের হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষাবেগ নিশ্বসিত হইয়া বহিতেছে।”
‘পরিচয়’ গ্রন্থের ‘আষাঢ়’ গদ্য রচনাতে রবীন্দ্রনাথ ছয় ঋতুর বর্ণভেদ করতে গিয়ে বর্ষাকে ক্ষত্রিয় বর্ণে ফেলেছেন। বলেছেন, ‘‘বর্ষাকে ক্ষত্রিয় বলিলে দোষের হয় না। তাহার নকিব আগে আগে গুরু গুরু শব্দে দামামা বাজাইতে বাজাইতে আসে-মেঘের পাগড়ি পরিয়া পশ্চাতে সে নিজে আসিয়া দেখা দেয়। অল্পে তাহার সন্তোষ নাই। দিগবিজয় করাই তাহার কাজ। লড়াই করিয়া সমস্ত আকাশটা দখল করিয়া সে দিক চক্রবর্তী হইয়া বসে।” ঋতুরঙ্গে বর্ষা'র রূপ অনেক !
মে মাসের তীব্র দহনে ত্বকের যখন পরিচর্যার দরকার সেই সময়, রেইনমেশিন সংখ্যা কেন করলাম সেটা নিয়ে হয়ত অনেকে ভাবছেন ৷ আসলে যান্ত্রিক পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে বর্ষা'কেও যন্ত্রনির্ভর হতে হয়েছে ৷ মনের নৌকা যেখানে ভিজতে প্রস্তত, বর্ষা তখন ঠিকানাবিহীন । রাত্রি বা অন্ধকারে অপ্রস্তুত চাউনিতে শুষ্ক চারিদিক অথচ বাইরে তখন বর্ষা ৷ তুমুল বৃষ্টি ! অসমাপ্ত সেতু জুড়ে নতুন কলরব ৷
কখনও সুপ্ত কখনও-বা বিলুপ্ত বর্ষা ৷ তবুও বৃষ্টি নামে, জল জমে ! বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে মৃত শহরে ৷ যেখানে বালিশের বুকে পাওয়া যায় অসংখ্য পদ্মা, গঙ্গার কণা ৷
তবুও বৃষ্টি নামুক বৈশাখে
পরিচিত এপিটাফ লেখা থাক
কিছু কথা
আমার অদৃশ্য আকাশ জুড়ে
ঘোলাটে ঘ্রাণ
কখনও পিরামিডে কখনও
চীনের প্রাচীরে
নামব, নামব করে তবু আসি
কিছু কথা থেকে যায়
কোলবালিশ কোণ জুড়ে
আসল বর্ষা
সব আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান ...
"সৃজন" এই সংখ্যায় কলম ধরেছেন সম্মাননীয় কবি ও লেখকবর্গ ৷ এখন থেকে "সৃজন" আসছে প্রতিমাসে ৷ সকলের লেখা পড়ুন ও পড়ান ৷ শুভ নববর্ষ, সকলকে শুভেচ্ছা । সৃজনে থাকুন৷
ছবি : গুগুল
‘পরিচয়’ গ্রন্থের ‘আষাঢ়’ গদ্য রচনাতে রবীন্দ্রনাথ ছয় ঋতুর বর্ণভেদ করতে গিয়ে বর্ষাকে ক্ষত্রিয় বর্ণে ফেলেছেন। বলেছেন, ‘‘বর্ষাকে ক্ষত্রিয় বলিলে দোষের হয় না। তাহার নকিব আগে আগে গুরু গুরু শব্দে দামামা বাজাইতে বাজাইতে আসে-মেঘের পাগড়ি পরিয়া পশ্চাতে সে নিজে আসিয়া দেখা দেয়। অল্পে তাহার সন্তোষ নাই। দিগবিজয় করাই তাহার কাজ। লড়াই করিয়া সমস্ত আকাশটা দখল করিয়া সে দিক চক্রবর্তী হইয়া বসে।” ঋতুরঙ্গে বর্ষা'র রূপ অনেক !
মে মাসের তীব্র দহনে ত্বকের যখন পরিচর্যার দরকার সেই সময়, রেইনমেশিন সংখ্যা কেন করলাম সেটা নিয়ে হয়ত অনেকে ভাবছেন ৷ আসলে যান্ত্রিক পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে বর্ষা'কেও যন্ত্রনির্ভর হতে হয়েছে ৷ মনের নৌকা যেখানে ভিজতে প্রস্তত, বর্ষা তখন ঠিকানাবিহীন । রাত্রি বা অন্ধকারে অপ্রস্তুত চাউনিতে শুষ্ক চারিদিক অথচ বাইরে তখন বর্ষা ৷ তুমুল বৃষ্টি ! অসমাপ্ত সেতু জুড়ে নতুন কলরব ৷
কখনও সুপ্ত কখনও-বা বিলুপ্ত বর্ষা ৷ তবুও বৃষ্টি নামে, জল জমে ! বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে মৃত শহরে ৷ যেখানে বালিশের বুকে পাওয়া যায় অসংখ্য পদ্মা, গঙ্গার কণা ৷
তবুও বৃষ্টি নামুক বৈশাখে
পরিচিত এপিটাফ লেখা থাক
কিছু কথা
আমার অদৃশ্য আকাশ জুড়ে
ঘোলাটে ঘ্রাণ
কখনও পিরামিডে কখনও
চীনের প্রাচীরে
নামব, নামব করে তবু আসি
কিছু কথা থেকে যায়
কোলবালিশ কোণ জুড়ে
আসল বর্ষা
সব আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান ...
"সৃজন" এই সংখ্যায় কলম ধরেছেন সম্মাননীয় কবি ও লেখকবর্গ ৷ এখন থেকে "সৃজন" আসছে প্রতিমাসে ৷ সকলের লেখা পড়ুন ও পড়ান ৷ শুভ নববর্ষ, সকলকে শুভেচ্ছা । সৃজনে থাকুন৷
ছবি : গুগুল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন