শেকড়ে জড়িয়ে
- সরি, আজ একটু ফিরতে দেরি হল।
- সরি কেন? আমি তো কিছু বলি নি।
- তোমার এই কিছু না বলাটাই তো অনেক বলা।
- দেখো, আমিও অফিস থেকে ফিরেছি। একটু শান্তি চাই।
মামন আর কথা বাড়ায় না। হাত পা ধুয়ে চা বানায়। মিহিনকে দেয়। মমকে দেয়। মহীকে দেয়। মহী জাপটে ধরে আদর করে মামনকে - মম, তুমি বোনের নামও মম রাখলে কেন?
- কেন না তুই আমাকে মা বলে ডাকবি তাই।
দুজনে হেসে উঠল কিন্তু সায় দিল না মম, মিহিন। উল্টে মিহিন বলল - বেশি পাকামো করিস না, পড়ায় মন দে।
কলেজে পড়া মহী উঠে পড়ে। বলে - বাবা, পড়া কি শুধু বই পড়া? যা দেখি শুনি বলি হাসি কাঁদি সবই তো পড়া।
রেগে ওঠে মিহিন - বেশি পণ্ডিত হয়ে গেছিস, না?
ঘরের সবাই তখন একঘরে। মামন আঁচ করে কিছু একটা হবে। মম সব কিছু সামাল দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে। বলে - ড্যাড, আজ ফেরার পথে দেখি এক ভিখারী রে-ব্যান চশমা পরে ফাইভ ফাইভ টানছে।
সবাই গম্ভীর হয়ে গেল। মহী মা বাবা মমকে একসঙ্গে জড়িয়ে ধরতেই সবাই হ্যা হ্যা করে হেসে ফেলল।
মাঝ রাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে মিহিন সিগারেট ধরিয়েও এক টান দিয়ে ফেলে দিল। বৃষ্টি হচ্ছিল। সিগারেটের অস্তিত্ব ধুলিসাৎ।
পেছনে দাঁড়াল মামন। মিহিন তাকে জড়িয়ে ধরল।
বুঝল, প্রত্যেকের অস্তিত্ব আলাদা। নিজেরটা অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন