পৃষ্ঠাসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৮

সিলভিয়া ঘোষ


#অভিশাপ



 ইতিহাসের পাতা থেকে
------------------------------------
নাটকীয় অযোধ্যা কাণ্ডের পর রাম, সীতা লক্ষণ চৌদ্দ বছর বনবাসের উদ্দেশ্যে রওনা হতেই অযোধ্যার সকল খবর জ্ঞাত হয়ে ঋষিভর্ষা অর্থাৎ মাতুলায় থেকে 
ফিরে আসেন ভরত ও শত্রুঘ্ন। সেই সময় রাজা দশরথের মৃত্যু ঘটেছে, কৈকেয়ী অনুশোচনা ও আত্মগ্লানিতে ভুগছিলেন, নিজেকে দোষারোপ করতে করতে ভূমিশয্যা নিয়েছিলেন। সেই মুহূর্তে মন্থরা কে 
কৈকেয়ীও অবজ্ঞা, অবহেলা, দূর-চ্ছাই করতে থাকেন, জনরোষে ভেঙে পড়েছে অযোধ্যা পুরী। সময়ও সুযোগের সদ্ ব্যবহার করেন শত্রুঘ্ন। তিরস্কার ও চুলের মুঠি ধরে বের করে দেন জন সমক্ষে মন্থরা কে। জনরোষেই মারা যায় মন্থরা। রাম ভক্ত ভরত তখন মায়ের কৃতকর্মের জন্য ধিক্কার জানচ্ছেন মাতা কৈকেয়ীকে। মাতা কৈকেয়ী তাকে বোঝাতে চেষ্টা করছিলেন যে যা করেছেন সবটাই তার ভালোর জন্য। কিন্তু ভরত শেষমেষ মাতা কৈকেয়ী কে অভিশাপ দিয়ে বলেন তার এমনতর অভীপ্সার জন্য কোন দিন কোন পিতা আর কৈকেয়ী নাম রাখবে না কোন দেশে। মাতা কৈকেয়ীকে পুত্রের দেওয়া সে অভিশাপ আজও বহমান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন