কবিতা ১: বেঁচে থাকা কুড়িও না
বেঁচে থাকা কুড়িও না,সখ্যতা দাবি করো।
হিম সংকুল পরাগগর্ভ হাতড়াও।
হেঁটে যাও মহীখাত-
আলোড়ন মুছে মুছে,চন্দনের আসনে।
সাড়া,যারা মাখেনি;তারা অজেয়।
বেঁচে থাকা কুড়িও না,সখ্যতা দাবি করো।
বিপ্লব লিখে রাখো রক্তের কুঁড়িতে।
শোনো,ঘুমন্ত আসবাব-
জড়তা জড়ো করো না আর,হেঁটে যাও,
তরঙ্গ,যারা সইলো না;তারা সভ্য নয়।
বেঁচে থাকা কুড়িও না,সখ্যতা দাবি করো।
কান পেতে শোনো নিঝুম কোলাহল।
নাভীচর মাড়িয়ে যাও-
আরো কিছুটা গেলে,হয়তো বিশ্রামের ঘর,
স্তব্ধতা,যারা শিখলো না;তারা আগ্নেয়।
কবিতা ২: ক্ষমা,চেয়ে দেখো
ক্ষমা চেয়ে দেখো,
জানালা কেমন কুয়াশার।
কুহেলিকা যেন সাগরসেনার মোহবাষ্পের মতো শুয়ে আছে অক্ষর আহুতিতে।
যুগ যাপনের অমোঘ তাগিদ যেন,সংঘাতের বর্জগুনন।
চেয়ে দেখো ক্ষমা,শেষ স্ফুটনাঙ্ক কেমন,ধুলোর কুটিরে মিলিয়ে যায়।
এই যে সন্ধান,পালকের মতো তীক্ষ্ণ নেশা,
বলে যায় উড়ে যাও,উড়ে যাও।
তারা কি জানে না,আত্মা কিভাবে কবিতা হয়ে যায়,অনুভূতিরা সইতে শিখে নেয়।
এ যেন এক অনন্ত অভিষঙ্গ-
তাই কুয়াশা যদি জানালার হতে পারে,অপরাধ কেন ক্ষমার নয়?
কবিতা ৩: যারা নদী হতে ভালোবাসে
যারা নদী হতে ভালোবাসে
তাদেন ভেতর সভ্যতা বাস করে-
নিপুন মৃত্যুও তাদের প্রত্নবীজ ভাবে।
তাদের স্রোতে গড়িয়ে যায়,নীড় ছাড়া চোখ,হয়তো বা গোটা শরীর।
আসলে তারা দেহজ চড়ুই-
নদী যাদের ছুঁতে পারেনি-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন