পৃষ্ঠাসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

অরিজিৎ বাগচী


● বনলতা ডটকম 

আদর আতর বনলতা,
জাগতিক সমস্ত প্রেম ও চলাচল আজ গতিরুদ্ধ, 
সমস্ত গান আজ ধ্বংসের পথে, 
এতে পৃথিবীর কোনো মাথা ব্যাথা নেই
জানি, কিন্তু আমার আছে, 
এরা কেউ জানে না তুমি আমাকে ক্ষমা না করলে 
এই অজস্র মানুষ ফুসফুস চুপসে মারা যাবে , 
বন্ধ হয়ে যাবে কবিতা ও সকল ফিসফাস শব্দ, 
তাই এই অতিমারি দুর্ভিক্ষ পেরিয়ে, 
মৃত সংখ্যাহীন গননার মাঝে আমি আবার উঠে বসছি, 
তোমার অপেক্ষায়, এই বার দরজা খোলো 
ফিরে এসো আর এক বার, 
এইসব কিছু তো তোমার জন্যই হচ্ছে .........

এতোটা পর্যন্ত লিখে আর চিঠিটা আর শেষ করতে পারলাম না, 
আঙুল গুলো কেমন যেন জড়িয়ে এলো, 
পাঠিয়ে দিলাম বনলতা সেন ডট সাতলক্ষতেষট্টি 
অ্যাট দ্য রেট জিমেল ডট কম ঠিকানায়।

নঙর্থক


স্বর্গের একধাপ নীচে
ভ্যাবসা জলবায়ু

সামনে ধবধবে সাদা কমোড, 
টলটলে স্বচ্ছ জলের ভেতর ভেসে ওঠে, মেঘের সঙ্গে অশ্লীল স্নানের কিছু সুখ আর শাওয়ার ও শিরায় বয়ে চলে
টপ টপ করে জল পড়ার মতো কিছু শব্দ ।

বাথরুমের চুনখসা দেওয়াল ঠিক আগের মতোই এখনো শুষে নেয় আমার ঋণাত্মক ওম , 
হস্তমৈথুন টা এখন আর উল্লাস নয়
নূন্যতম চাহিদায় পরিণত হয়েছে ।

তবুও আমি বাকিদের মতো নঙর্থক হয়ে যাই নি ।

● বনলতা 

তোমার শ্রাবনের মতো নীল ঠোঁটে 
আমার জন্য একটু মৃত্যু কামনা তুলে রেখো
ঘুমিয়ে পড়তে চাই একদিন 
শূন্য অন্ধকারের দূরদেশে,
রূপহীন এই শহরের পথ, 
কবেই তো চাঁদের আলোয় পুড়ে গেছে
ফুরিয়েছে হৃদয়ের অগাধ বাঁচবার আকাঙ্খা

নিশুতি নক্ষত্রের রাত, 
সাদা নদীতে ভেসে যায় তরল ছায়া , 
কখনো গাছ , 
কখনো মেঘ, 
এবার আমাকে ভাসিয়ে দাও ওদের সাথে, 
গল্প করতে করতে চলে যাব পরপারে, 
অযথা দেরি কোরও না,
ঝরা পাতার মতোন খসে পড়ে আছি নির্জনে, 
প্রেমের থেকে শত সহস্র যোজন পিছিয়ে 
থমকে আছি ঘনগহন নীরবতায়, 
আমার উর্বর ক্ষমতা শেষ হয়েছে বনলতা,
কথা বাড়িও না 
আমাকে ভাসিয়ে দাও এইবার।

1 টি মন্তব্য: