ছায়া শরীর
ঘনত্বের ভূত নেই আছে শুধু তমোঘ্ন ঊর্ণজাল
প্রস্তরের নীল সুঘ্রাণ থিতিয়ে পড়েছে দিকচক্রবালে
দশায়ুধার নাভিস্তবে পুনরপি আলোক নির্মাণ
নশ্বর দেহ গড়ে ওঠে ক্ষয়ে মুমূর্ষু জরাপ্রাপ্ত ইন্দ্রিয়
যেখানে চলেছে বয়ে সময়ের নিরবধি পথ
যেখানে পিতৃরেণু চেনা আয়ুরেখার শীর্ণতাসম্বল
চরাচরে বৃক্ষরাজি
অনির্দেশ ডাকহরকরা
দ্রুতি বাঁধে বিরহী পিদিম
এখানে ক্ষুধামগ্ন ঘাসেদের স্নায়ব প্রলেপ
ক্ষণিকে ভরে ওঠে অনাহুত পাখিটির কিরিচের ক্ষত
তবুও অনন্ত শুধু চির চাওয়া নারীটির মুখ
বোধিভস্ম ডুবে থাকে জিহ্বার অরণ্য অতল
ঋতুচক্র
১ টি ঘটক ও ১ টি ঘটকী পরস্পর মিলিত হয় চুক্তিসাপেক্ষে
১ টা পুরুষ ১ টা নারীকে যেভাবে আদর করে সিনেমায়
সবকিছুতে পোচের মত যুক্তি টিপে দ্যাখাই অশ্লীল
আকাশমণি গাছের মাথার ওপরে টিয়ারং আকাশ জন্ম নেয়
দিগন্তবিসারী ঘাসের শীর্ষে স্বেদ ও রক্তে নিমজ্জিত ধান
যা পাওয়া যায় তা হল প্রকৃতি
যা পাওয়া যায় না তা শ্রম
১ টি আঁতুরঘর থেকে ১ টি উলঙ্গ সভ্যতা বেরিয়ে আসে
১ টি দৃশ্য থেকে গড়িয়ে পড়ে আরেকটি স্থির দৃশ্য
এই ঘূর্ণনের মাঝে আর কোনো দৃশ্যন্তর নেই
যেভাবে দুঃখ পড়ে বিজয়ীর প্রতিবিম্ব চিনে নেওয়া যায়
সেভাবে ইতিহাসে আদলের সার্থকতা নেই
ক্যাথারোসিস
জানালা দিয়ে ১ টি ট্রাক গোঙাতে গোঙাতে নদীর দিকে যায়
জানালা দিয়ে ১ টি ট্রাক কিশোরী হাওয়ায় ভেসে আমবাগানে যায়
শহরতলির নীল পেক্ষাগৃহ
বেদী আছে, দেব-দেবী আছেন
দর্শকাসনে কোনো চাঞ্চল্য নেই
কফিমগ থেকে পতনোন্মুখ শেষ চুমুকটি
নিঃশেষিত হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে
মাঝের রাস্তাটি কে পথ মনে হয়
অসাধারণ নির্মিতি। অনবদ্য ভাবনা!
উত্তরমুছুন