ভোজের পাশে মকটেল
দীর্ঘ বর্ষার শেষে আকাশে নীল সাদা মেঘের ছায়া আর কাশফুলের ঢল নিয়ে শরৎ এল । এল পুজোর সময়।
পুজো মানেই নতুন জামা কাপড় শাড়ি, পুজাবার্ষিকী , মন্ডপে মন্ডপে পরিক্রমা, দেদার আড্ডা এবং ...হ্যাঁ এবং ভুরিভোজ। পুজোর কটা দিন বাঙালি সম্বচ্ছরের ডায়েট শিকেয় তুলে শুধু স্বাদে আহ্লাদে কাটাতে চায়। এ বেলা কবজি ডুবিয়ে লুচি মাংস তো ও বেলা মাটন বিরিয়ানি চিকেন রেজালা। জিভে তুরীয় আনন্দ কিন্তু পেটের অবস্থা হাঁসফাঁস।
আজ আমি দুটো মকটেলের সন্ধান দিচ্ছি যা খেতেও দারুণ সুস্বাদু আর হাঁসফাঁস করা পেটের পক্ষে আরামদায়কও বটে।
( এক)
গ্রেপস চিলি ম্যাজিক ---
দু কাপ কালো আঙুর , দু কাপ জলে পাঁচ মিনিট ভালো করে ফুটিয়ে জুস ছেঁকে নিন। ঠান্ডা করে কাঁচের বোতলে ফ্রিজে রেখে দিন । প্রয়োজন মতো ব্যবহার করবেন। দিন দুয়েক থাকতে পারে। মকটেল তৈরি করতে আঙুরের জুস দিয়ে গ্লাসের এক তৃতীয়াংশ ভর্তি করুন , এক টেবিল চামচ মধু , এক চামচ পাতিলেবুর রস , সামান্য বিটনুন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে চার পাঁচটা আইসকিউব দিন। এবার এক কাপ ক্লাব সোডা ঢেলে দিন। কয়েকটা আঙুর অর্ধেক করে কেটে ভাসিয়ে দিলে ভালো হয়। এবার আগে থেকে বীজ বাদ দিয়ে গ্রেট করা কাঁচালঙ্কা এক অথবা দু চিমটি ওপরে ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
(দুই)
লেমন পাইন্যাপেল রিফ্রেশার -- দু কাপ আনারসের ছোট ছোট টুকরো জল দু কাপ বা আড়াই কাপ পরিমাণমতো দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। মিশ্রণটা ছেঁকে ফ্রিজে রেখে দিন। দু দিনের বেশি ফ্রিজে রাখবেন না । আলাদা করে খানিকটা আনারস পাতলা রিঙ স্লাইসে কেটে রাখুন।
গ্লাসে প্রথমে আনারসের দুটো রিঙ স্লাইস রাখুন। এবার গ্লাসের এক তৃতীয়াংশ ভরে দিন আনারসের জুস দিয়ে। সামান্য নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে দেবেন। পাঁচ ছটা আইসকিউব দিন, এবার ক্লাব সোডা দিন এক কাপ। এর সঙ্গে গন্ধরাজ লেবুর রস এক চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। একটা করে গন্ধরাজ লেবুর রিঙ স্লাইস গ্লাসে ভাসিয়ে পরিবেশন করুন।
পুজোর আড্ডার রকমারি স্ন্যাকসের সঙ্গেও দারুণ জমবে এই দুটো মকটেল। পুজো আনন্দে কাটুক। ভালো থাকুন সবাই।
চিত্রঋণ - ঈষা চৌধুরী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন