এই সংখ্যার কবি শতানীক রায়।জন্ম : ২৩ জানুয়ারি ১৯৯৩, মালদায়। কবিতা লেখেন। প্রবন্ধও অল্পস্বল্প লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগন্থ : 'মাংস, মায়া, আর আদ্যানদী', 'ময়ূর কিংবা নীলমণিমতা'।
নদী হওয়ার কথা
১
চাঁদ থেকে ঝুঁকে কাকে যে দেখছ তুমি— আজই প্রথম অনন্ত, নদী হয়ে গেল— অথৈ নির্জনতার জল শুধু জল সবকিছু ভাসানে মানুষ কত মানুষ কোথায় চলেছে— আশ্চর্য রশ্মি রাতেও এই অদ্ভুত রং ডুবিয়ে দিচ্ছে— কী বলব— সময় বলে কিছুই থাকছে না— ওই দূরে চাঁদ থেকে ঝুঁকে পড়ে কী যে দেখ তুমি!
২
আমাদের মাঝে নদী। নদী থেকে খুলে প্রাচীন এক জগতের খোসা। কাঁদা মাঠে ঘাসে ঘাসে বুঝেছি অনেক বছর ডুবে আছি। তারাভরা জীবন। কার ভেতরে কখন গিয়ে মিশি। খুব অন্ধকার। নদী এত নরম ও হালকা দুই-ই। খসে পড়ে ঝুলে থেকে নদী হয়েছি আজ।
৩
ওলটপালট হয়ে, সবকিছু উলটে গিয়ে— সময়ের সিকিও আর নিঃশেষ নেই, গাছের আড়াল থেকে লক্ষ করছি, আজই ঘটল, চাঁদের বুড়ি তার চাঁদকে খুলে দিল, আমি দেখলাম, সময় অ-সময় কিছুই নেই, সেই যে নদী ও মানুষের মিলমিশ, পূরাণের কোনো দেবতা হয়তো, বা জীবন নামক নৌকার কথা মনে আছে, অজস্র ফুলের ভেতর আমার সেই ফুলটি, সেই একটি ফুল, কবে কখন তাও জানি না, শুধু অপেক্ষারত একটি ফুল।
৪
বকের মতো উঁচু হয়ে কী যে দেখ! দিনে একরকম। আহারেবিহারে শরীর পাও। সারা দুপুর এতই ঘুম ও বিহ্বল কেউ জানে না পৃথিবীর ভেতর কীভাবে কে কখন লক্ষ বছর ঘুমে থেকেছে। বকের মতো এখন কী যে দেখছ। নক্ষত্রলিপ্সা একসময় শরীরে চোখ হয়ে ফুটবে। যে যে দিনগুলোকে এখনও গান হিসেবে ভেবেছ। আর শেষ হয়েছ। কোথায় কী যে ঘটে। সারারাত আকাশ নক্ষত্র ও মানুষবিহীন...
৫
দিনের পর দিন শরীর বদলের ইতিহাস। থেমে থাকা ও বহমানতা টুকে রাখছি। খাতা পেন্সিল এখন স্বয়ং আমি। বাতাসে কী যে খেলে— দিনের পর দিন একজন মানুষ আর একজন মানুষের মুখ দেখে— নক্ষত্র উধাও হয়েছে নাকি! এভাবে নদী ঘাস লিপ্ত জল শব্দ ও সময় সব হারিয়ে কোথায় এসেছি!— আমি...
গা-ছমছম করে এমন মহাজাগতিক কবিতা পড়লে।
উত্তরমুছুনতোমার মন্তব্য পেয়ে আমারও গা-ছমছম করল।
মুছুনকিছু কিছু শব্দের প্রয়োগ চমকপ্রদ। খুব ভালো
উত্তরমুছুনসময় থমকে যায় এমন কবিতায়
উত্তরমুছুননদী চরাচর জুড়ে নির্জন আয়না
কবিতা পড়ে খুব ভাল লাগল। কবিতাতৃষ্ণা প্রবল হল।
উত্তরমুছুনঅমোঘ কিছু অনুভব-পংক্তি
উত্তরমুছুনতোমার লেখায় এক ঘোর লাগা জগৎ আছে।
উত্তরমুছুন