বাতাসে বিষাদের সুর।মায়ামায়া আকাঙ্ক্ষা, কোথায় যেন একটা নেই-নেই আহুতি। মনের ভেতরঘরে জল,বাইরের শরীরে কচুপাতার আবরণ। কিভাবে যেন দশমীও পেরিয়ে গেল।হুস করে ছুটে গেল ট্রেন।আমরা দাঁড়িয়ে রইলাম প্ল্যাটফর্মে, জানি আবার ফিরবে আসছে বছর। এখন লক্ষ্মীঘট কচুপাতায় পুঁটিমাছ আর ইঁদুরের মাটি দিয়ে নিয়মকানুন, এখন কাঁসার থালায় বাটি সাজিয়ে দশব্যঞ্জনে খাওয়াদাওয়া পর্ব।
আসলে এ সব আয়োজনই, কিছু ভুলিয়ে রাখা কিছু ভুলে থাকার পদ্ধতি। মরসুম উৎসবের,মহল্লায় আহার বাহারের তোড়জোড়
এসব নিয়েই গরম বাহার এসে পৌঁছল ষোলতম পর্বে।দশমীর দিন বাড়িতে এলেন নন্দাজামাই।শাশুড়ী মা গত হয়েছেন প্রায় এগারো বছর। কিন্তু জামাই আদরে ভাটা পড়তে দিই নি কোনদিন। আজ যাদের জন্য এই থালা সাজালাম তারা অক্ষয় হোন জামাইবাবু ডাকে,জামাই-আদরে
দশমীর থালায়...
১.গোবিন্দভোগ ভাত ধোঁয়া ওঠা
২.কাঁচালঙ্কা ঘি লবণ
৩.মাছ ভাজা
৪.রাঁধুনি মুসুর
৫.মুসুরপেঁয়াজি
৬.কাতলা কালিয়া
৭.চিকেনকষা
৮.ড্রাইফ্রুট চাটনি
৯.রসগোল্লা
১০.মিষ্টি দই
গরম বাহার।আজ ষষ্ঠদশ পর্ব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন