পৃষ্ঠাসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২

শর্মিষ্ঠা দত্ত

              




অভিসার  



(১)



গত রাত থেকেই বৃষ্টি । প্রথমে রিমরিম থেকে শেষে ঝমঝম l বৃষ্টির তিরতিরে সুখ বুকে নিয়ে দিব্যি ঘুমিয়েছে পল্লবী । ফুলশয্যার দাগ এখনও মুছে যায়নি তার শরীর থেকে l বুকের গোপন ভাঁজে এখনও লেগে রয়েছে মেঘের স্পর্শ l বউমা, কাকিমা, বৌদি  ডাকগুলো এখনও ভাল ভাবে রপ্ত হয়নি l পল্লবীর চারপাশটা এখন বড্ড বেশী রকমের রঙিন ।


 


মাত্র এক মাস আগে মেঘের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে পল্লবীর l অ্যারেঞ্জড  ম্যারেজ l বিয়ের আগে বাড়িতে আর কফিশপে মাত্র দু - তিনবার মিট করেছে মেঘের সঙ্গে l ফলে মেঘকে সঠিক চেনা ফুলশয্যার রাতেই l এই কদিন দেখে তাকে যথেষ্ট কেয়ারিং আর রেস্পন্সিবল বলেই মনে হয়েছে পল্লবীর l এরমধ্যেই সে ভালোবেসে ফেলেছে তার জীবনের প্রথম পুরুষটিকে l ভালো পরিবার এবং ভালো ক্যারিয়ার দেখেই মেয়ের সম্বন্ধ ঠিক করেছিলেন অমিতবাবু l সম্বন্ধের বিয়েতে এর থেকে বেশী জানা সম্ভব ছিল না l নরম, লাজুক, অন্তর্মুখী মেয়েটির জন্য তাই খুব চিন্তা ছিল তাঁর l কিন্তু কথায় বলে "জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে ---তিন বিধাতা নিয়ে l" সুতরাং মেয়ের বাবা হিসেবে এই রিস্কটুকু নিতেই হয়েছিল অমিতবাবুকে l নাহ ! এখন পল্লবীকে মেঘের হাতে সঁপে দিয়ে  তিনি স্বস্তির নিশ্বাসই  ফেলেছেন l



(২)



নরম ভালোলাগার সঙ্গে তেতো বিরক্তি, মিষ্টি সুখের সাথে কান্না ভেজা নোনতা দুঃখ ---এসব নিয়ে তৈরি হয় জীবনের কোলাজ l সেটা এখন বেশ ভাল করে বোঝে পল্লবী l স্বপ্নে দেখা রাজ্যপাটের  সঙ্গে বাস্তবজীবনের কোনো মিলই থাকে না l শরীরে গৃহবধূর তকমা লেগে গেলে একঝটকায় অনেকটা  বড় হয়ে যায় মেয়েরা l অলিখিত অনেক দায়িত্ব, কর্তব্যের বোঝা চেপে বসে কাঁধের ওপর l ইচ্ছে না থাকলেও "পারব না" অথবা "করব না" বলার অবকাশই থাকে না কোনো l পল্লবীর শাশুড়ি মা মানুষটা এমনিতে খারাপ নন, তাকে ভালোওবাসেন l কিন্তু বাঁধাধরা কিছু সংস্কারের মধ্যেই তাঁর বসবাস l একমাত্র ছেলের বৌ হিসেবে সেসবই তিনি চাপিয়ে দিতে থাকেন পল্লবীর কাঁধে l আসলে একসঙ্গে সংসার করতে করতে একটা মানুষের ঝলমলে চরিত্রের আড়ালে অন্ধকার দিকগুলোও বেশ নজরে পড়ে l এবং ক্রমে তা গা-সওয়াও হয়ে যায় l ছটফটে হাসিখুশি মেঘের চট করে রেগে যাওয়া, অথবা ধৈর্যহীনতা এবং শাশুড়ির অর্থহীন সংস্কার ও নিয়মকানুনের সঙ্গে তাল দিতে দিতে নিজের অনেক ভালোলাগার অভ্যেস ছাড়তে হয়েছে পল্লবীকে l বিয়ের আগে মা শিখিয়েছিলেন মেনে নেওয়া আর মানিয়ে চলার নামই সংসার, আজ তাই আর অতটা কষ্ট হয়না তার l



সময়ের পালাবদলে অভ্যস্ত হয়েছে সে, বিয়ের তিন বছর পরে নতুন বউ থেকে পল্লবী এখন রীতিমত গৃহিনী l নতুন স্বামী থেকে মেঘ এখন পল্লবীর জীবনের সেই অনিবার্য পুরুষটি, যাকে ভাললাগার অভ্যাসটা জারী রেখেই চলতে হবে জীবনের বাকি কটা দিন l মনের মানুষটির সবকিছুই মনের মত হয় না, সম্বন্ধের বিয়েতে কোন অপশন  থাকে না  একথা ভালোমতই জানে পল্লবী । 



(৩)



দীর্ঘ একবছর  ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে গত মাসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন শাশ্বতীদেবী, পল্লবীর শাশুড়িমা l একটা বছর ধরে পল্লবী অক্লান্ত সেবা করেছে তাঁর l শেষ সময়টায় পল্লবীর ওপরেই সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন তিনি l কিন্তু অনিবার্যকারণেই মারণরোগের সঙ্গে অসম লড়াই একদিন থেমে গেল l এই প্রথম এত নিবিড়ভাবে মৃত্যুকে প্রত্যক্ষ করল পল্লবী l 



হসপিটালের বিল মেটাতে পার্সোনাল লোনের বোঝা কাঁধে নিয়ে  মেঘ এখন  আর্থিক ও মানসিক ভাবে অসম্ভব বিপর্যস্ত l একে মাতৃশোক, তার ওপর এই দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় তার যাবতীয় সঞ্চয় প্রায় তলানিতে l মেডিক্লেম থাকা সত্ত্বেও জলের মত অর্থব্যয়ের ফলে আর্থিক অনিশ্চয়তার প্রভাব স্পষ্টতই তার ব্যবহারে দৃশ্যমান l আজকাল সামান্য ব্যাপারেই বড্ড তীব্রভাবে রিয়্যাক্ট করে মেঘ l বিয়ের পরে যে মিশুকে, অমায়িক মানুষটাকে  একটু একটু করে আবিষ্কার করেছিল পল্লবী... এ যেন সে নয় l  



 (৪)



জীবন  তার নিজের গতিতে চলে l শোক-দুঃখ , কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয় l মানুষ তার অতি প্রিয়জনকে ছাড়াই জীবনের সঙ্গে সমঝোতা করে নেয় l 


শাশ্বতী মারা গিয়েছেন প্রায় পাঁচ মাস হতে চলল l মেঘ এখন অনেকটা স্বাভাবিক l পরিবর্তিত  পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে নিজেকে l আস্তে আস্তে  আর্থিক সংকটও কাটিয়ে উঠেছে অনেকটা l  আসলে সংসারের রুক্ষ পথে চলতে চলতে পল্লবী এখন অনেক পরিণত l সে জানে কোন পরিস্থিতিতে কেমনভাবে চলতে হয়, কিভাবে হিসেব করে সংসার চালাতে হয় l পল্লবীর উপর নির্ভরতাও ক্রমে বাড়ছে মেঘের l সে জন্য অবশ্য  পল্লবীকেও ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে  দিনের পর দিন l 



জীবনের ফিকে হয়ে যাওয়া রংগুলো আবার একটু একটু করে গাঢ় হচ্ছে l অনভ্যস্ত তুলির টানে তাদের  ফিরিয়ে আনতে পারছে পল্লবী l


 (৫)



দিনকয়েক হলো নতুন ফ্ল্যাটের পজেশন পেয়েছে পল্লবীরা l সাবেকি বাড়িটার জায়গায় নতুন আবাসনে ওদের পরিবারের সবাই একটা করে ফ্ল্যাট পেয়েছে l নতুন রঙের গন্ধটা এখনও লেগে আছে এ ফ্ল্যাটের প্রতিটি কোণায় কোণায়, আসবাবপত্রের গায়ে l সমস্ত মলিনতা গা থেকে ঝেড়ে ফেলে আবার নতুন করে সেজে উঠেছে পল্লবী আর মেঘের সম্পর্ক l সুখের তানপুরাটা ক্রমাগত রিনরিন করে বাজছে পল্লবীর বুকে l একটু একটু করে  নিজের মনের মত পল্লবী  গুছিয়ে নিচ্ছে তার নতুন সংসার l তার আর মেঘের স্বপ্নের নীড় l 



দাদাশ্বশুরের তৈরি সাবেকি বাড়িতেই নতুন বউ হয়ে পা রেখেছিল পল্লবী  l মেঘ শাশ্বতীর একমাত্র সন্তান হলেও  একই বাড়িতে জেঠতুতো-খুড়তুতো ভাইবোনদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ করে, যৌথ পরিবারের আবহেই বড় হযেছে l যেহেতু পল্লবী একটা নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির সন্তান, অমিতবাবুর একমাত্র আদরের মেয়ে তাই যৌথ পরিবারের কনসেপ্টটা এখন শুধু  টিভি সিরিয়ালেই সীমাবদ্ধ, এটাই ভেবেছিল সে l মেঘের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকেই মনের মধ্যে যে সুপ্ত আশঙ্কাটা ছিল, জয়েন্ট ফ্যামিলিতে অ্যাডজাস্ট করতে পারবে কি না, এ বাড়িতে পা দিয়েই শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলোর আন্তরিকতায় এক নিমেষে উধাও হয়ে গিয়েছিল সেটা l  আস্তে আস্তে কখন যে ওদেরই একজন হয়ে উঠেছিল, টেরই পায়নি l 



কিন্তু সংসার তো সকলেরই ক্রমবর্ধমান ! পুরনো বাড়িতে  স্থানাভাবের জন্য আলাদা বাসস্থানের চিন্তা শুরু করেছিল সবাই l এমনকি মেঘও l কিন্তু এ বাড়িটা ছিল শাশ্বতীর প্রাণ l এ বাড়ি জুড়ে ছিল তাঁর বৈবাহিক জীবনের অজস্র  সুখস্মৃতি l তাই এ বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কথা তিনি ভাবতেও পারতেন না l আর এই ঘর, দালান, ছাদ, চিলেকোঠা আর বাড়ি ঘিরে ফলফুলের বাগান কোনো প্রোমোটারের হাতে তুলে দেওয়া তো ছিল  তাঁর স্বপ্নের অতীত l অসম্ভব মায়ার ডোরে বেঁধে রেখেছিলেন ভাসুর-দেওরের ছেলেমেয়েদেরও l তারা সবাইকেই তিনি নিজের সন্তানের মতই ভালোবাসতেন l অনেক অসুবিধে সত্ত্বেও তাই সবাই থেকে গিয়েছিল এই বাড়িতেই l শাশ্বতী যতদিন বেঁচে ছিলেন তাঁর সেন্টিমেন্টের মর্যাদা দিয়েছিল বাড়ির সকলেই l কিন্তু পার্থিব প্রয়োজনের কাছে সেন্টিমেন্টও ক্রমে মূল্যহীন হয়ে পড়ে l তাছাড়া আজকাল এত বড় প্রপার্টির মেন্টেনেন্সের খরচও তো কম নয় ! 



সব দ্বিধা কাটিয়ে অবশেষে  সবাই মিলে বাড়িটাকে প্রমোটারের হাতেই তুলে দিয়েছিল l বিনিময়ে পেয়েছিল সেই একই ছাদের তলায়  মিলেমিশে থাকার আশ্বাস l



(৬)



মেঘের দেওয়া উপহার লাল-সোনালী কম্বিনেশনের নতুন ব্যাঙ্গালোর সিল্কটা পরে  ব্যালকনিতে দাঁড়িয়েছিল পল্লবী, মেঘেরই  অপেক্ষায় l ফাল্গুনের শেষ সপ্তাহ, ঝিরঝিরে হাওয়া মাঝে মাঝে  এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে পল্লবীর শরীর l বুকের ভিতরে তিরতিরে সুখ l আজ ওদের পঞ্চম বিবাহবার্ষিকী l আজই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করেছে পল্লবী l পরিষ্কার করে না বললেও ফোনে মেঘকে একটা সারপ্রাইজ দেবে বলে জানিয়েও দিয়েছে  l 



আজ ওদের  ডিনারে যাওয়ার কথা l একটু আগেই মেঘ ফোন করেছিল l পল্লবীকে রেডি থাকতে বলেছে l  অফিস থেকে আজ একটু তাড়াতাড়িই বেরোবে ও l



পল্লবী বাইরের খাবার খুব একটা পছন্দ করে না l রান্নাটা ওর শখ l তবুও মাঝেমধ্যে হ্যাংআউটে যেতে মন্দ লাগে না ওর l পাঁচবছরের অভ্যস্ত দাম্পত্যে একটা বিশেষ দিন একান্তে একটু  অন্যরকমভাবে সেলিব্রেট করা হবে ওর নিজস্ব পুরুষটির সান্নিধ্যে l আপন মনে "ভালবাসি ভালবাসি"---গুনগুন করে উঠল পল্লবী l 



কলিং বেলটা বেজে উঠল না ! নিশ্চয়ই মেঘ ! দৌড়ে এসে দরজা খুলল পল্লবী l দরজার বাইরে অন্ধকার মুখে  দাঁড়িয়ে দাদাভাই , সুনন্দদা  আর ভাইয়া l মেঘের জেঠতুতো দাদা ,জামাইবাবু  আর  খুড়তুতো ভাই l 



 (৭)



শ্মশান থেকে ফিরে ওদের শোবার ঘরের বিছানায় শুয়েছিল পল্লবী, মেঘের বউদি শ্রীলেখার কোলে মাথা রেখে l ঘরভর্তি আত্মীয়স্বজন l অমিতবাবু ও তাঁর স্ত্রী এসে পৌঁছলেন এইমাত্র l আজ ভোরেই  কোচবিহারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে শিলিগুড়ি এসে বিকেলের  ফ্লাইটে এতক্ষণে কলকাতা  এসে পৌঁছেছেন l 



কাল সন্ধ্যেবেলা অফিস থেকে ফেরার সময় রানওভার  হয়েছিল মেঘের গাড়ির l মেঘ নিজেই ড্রাইভ করছিল l অবশ্য বরাবরই নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে মেঘ l দুর্ঘটনা তো রোজ রোজ ঘটে না ! পোস্টমর্টেমের পর আজই বিকেলবেলা বডি রিলিজ করে দাহ করা হয়েছে l 



বাবার  ডাকে চোখ খুলে তাকালো পল্লবী l দৃষ্টিতে গভীর  শূন্যতা l তাঁর আদরের মেয়েটাকে মেঘের  হাতে সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন অমিতবাবু l ঈশ্বর আর স্বস্তিতে থাকতে দিলেন কই ! মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বুকটা কেঁপে উঠল তাঁর l


 (৮)



অপঘাতে মৃত্যু l তিনদিনেই শ্রাদ্ধ - শান্তি মিটে গেল l আরো মাসখানেক থাকার পরে  অমিতবাবু আর বন্দনা মেয়েকে নিজেদের কাছে কোচবিহারে নিয়ে যেতে চাইলেন l কিন্তু পল্লবী তার সিদ্ধান্তে অনড় l এ বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবে না সে l এ বাড়ির প্রতিটি কোণে, খাটে-সোফায়, দেওয়ালে -দরজায় -মেঝেতে মেঘ কি ভীষণ জীবন্ত ! তাকে ছেড়ে কি চলে  যাওয়ার উপায় আছে পল্লবীর ! মেঘ তো  থাকতেই পারে না পল্লবীকে ছাড়া !



তাঁর নরম লাজুক মেয়েটা  যে এমন দৃঢ়ভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত  ধরতে পারে, তা কোনদিন ভাবেননি অমিতবাবু l তাঁর পক্ষে তো নিজের বাড়িঘর ফেলে আর বেশিদিন থাকা সম্ভব নয়, তাছাড়া  অফিসও  আছে l স্ত্রীকে বললেন মেয়ের কাছে থেকে যেতে l কিন্তু তাতেও রাজি নয় পল্লবী l বাবার বয়েস হয়েছে, মায়ের এখন বাবার সঙ্গেই সবসময় থাকা উচিত l একপ্রকার জোর করেই মাকে বাবার সঙ্গে ফেরৎ পাঠাল সে l তাছাড়া একা থাকার অভ্যেস তো করতেই হবে তাকে l পরিস্থিতির সঙ্গে যেন বড্ড তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিয়েছে পল্লবী l



(৯)



আজই অমিতবাবুরা ফিরে গেলেন কোচবিহারে l মেঘের দাদা বৌদি,আত্মীয়রা সবাই আশ্বস্ত করেছে তাঁকে l ওরা  সবাই পল্লবীকে আগলে রাখবে সাধ্যমত l তাছাড়া কলকাতাতেই  একটা জব পেয়েছে পল্লবী l প্রফেশনাল কোয়ালিফিকেশন থাকায় তেমন সমস্যা হয়নি l খুব শিগগিরই জয়েনিং l তাই এ মুহূর্তে পল্লবীর কলকাতা ছেড়ে কোথাও যাওয়া উচিতও নয় l 



অনেকদিন পর এই ফ্ল্যাটে পল্লবী একা l বিকেলবেলা আকাশ কালো করে ঝড় এলো হঠাৎ  l কালবৈশাখী ঝড় l পল্লবীর হঠাৎ এলোমেলো হয়ে ওঠা জীবনটার মত l ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ঝড়ের তাণ্ডব দেখছিল পল্লবী l কলিং বেলটা বাজল না ! 



এতদিন বাদে নিজের বাড়িতে ফিরছে মেঘ l বরাবরই বড্ড অধৈর্য স্বভাব ওর l সেই সারপ্রাইজটার জন্য ছটফট করছে নিশ্চয়ই ! পল্লবীর শরীরের ভিতরে একটু একটু করে বেড়ে উঠছে যে ছোট্ট মানুষটা, সেও তো একটুকরো মেঘ ! তার অস্তিত্বের কথা কি মেঘ জেনে ফেলেছে ! দরজা খুলে ঝাপসা চোখে মেঘকে দেখছিল পল্লবী l গ্রীষ্মের প্রখর  দাবদাহের পর আকাশ ছেয়ে এখন শুধুই  ঘন মেঘের রাশি l

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন