ও জানে বাহার
_________________
আসলে আনন্দ পাই মউরি ডাকে বলে
জননাঙ্গ ক্ষয়ে গেছে জীবাশ্ম আদলে
দূর গাছে ফুল ফোটে অতিদূরে তরী
ভাসে একা।অন্তমিলে মনস্তাপ করি
মনস্তাপে লক্ষী থাকে লক্ষী জনার্দন
লোকের শরীরে লাগে গণ জাগরণ
মানে ক্লান্ত খুলি ফাটে খুলি ফেটে যায়
মাতৃপক্ষ রক্ত মাংসে ভ্রমর বসায়
সেজেছে নালোক পিতা সাজে দেশগ্রামে
বলিও চড়ায় পিতা হৈমনের নামে
নামে নামে ছেয়ে যায় রেণুছায়াতল
শরণার্থে বলে ওঠো হে সংবদল...
বদল করেছি স্বস্তি চিন্হটুকু আর
থই আসছে বলে নদী ও জানে বাহার...
পরবাস
__________
তবে শামুক আসলেও উত্তেজিত হইনি
কাল কে কে আসবে,ঋণ কার কত---
এসব ভাবতে ভাবতে কখন সৈনিক
মরেছে আবহমান।রসপূনর্মদ
কবিতা হয়েছে নাকি হয়েছে কিছুটা
আলোচনা হয়ে গেছে। আমি শুনছি পদ
আর তুমি পরবাস। দ্রাঘিমা বিচ্যূতা,
সহজেই ভেবে নাও যোদ্ধাহীন পথ
আসলে চাঁদের মতো সব নিরপেক্ষ নয়
নিরপেক্ষ নয় এই দিগন্ত স্বস্তিকা
অস্পষ্ট কথার মধ্যে লুকিয়ে অন্বয়
আঁশফুলে লিখে রাখি বস্তুবাদী টীকা
তারপর ভাটিয়ারে ভুসুকু বধির
লিখেছিলো ছিঁড়ে ফেলা দেহগত মীড়...
ঘোড়া শুরু হয়
_______________
ছায়াটুকু শেষ হলে ঘোড়া শুরু হয়
কাঁসাই রঙের পাখি ওড়ে সমতলে
সুদীর্ঘ পলাশে তুমি গণঅভ্যুদয়
দীনবন্ধু রেখেছিলে অগভীর জলে
রটে গেছে বন্ধুময় শ্বাপদের গান
অতিদূরে সমব্যাথি চিতলের ছায়া
এমন সময় তুমি দোঁহার বয়ান
কালো গায়ে লেগে আছে ফসল বেহায়া
প্লুতফুল ভেসে যায়।আদিম শ্মশান
ঝোরায় ঝোরায় ডাকে ধনেশ পাখিরা
তোমার রাঢ়ের ঢালে বসে এস্তেবান
শিখণ্ডীর সঙ্গে করে শারীরিক ক্রিয়া
তারপর অরণ্যের উষ্ঞ পরিসরে
ঝুমুরের সর্ব অঙ্গ কণ্ঠ চেপে ধরে
ও জানে বাহার - দারুণ লেখা
উত্তরমুছুন