ডাহুক ও নীল অতৃপ্তি
সারা পৃথিবীর দস্তানা উড়ে যাচ্ছে মহাকাশময়
পেন্ডুলামের দিকে চেয়ে ধীর নক্ষত্রেরা এবার পাড়ি দিল
গোড়ালির নিচে এমন পূর্ব সময়
আর ক্রমশই সাদা অতিনাটকীয়তায়
প্রদীপের কালদর্শী ছায়ার ভিতে তুমি দাঁড়িয়ে
এক হাত খোলা ঋজু জানলা , বাদামি বিদ্যুতে
রংচঙে পাথরের ওপর দিয়ে নদী বদলের ভঙ্গিমা
এসে পড়ে এই সান্ধ্য ক্যাফেটেরিয়ায়
রুমাল আর ঘামের বাৎসল্যে একাকী এরোপ্লেনগুলি
মহৎ শিরা ছিঁড়ে দেয় মুহুর্মুহু
অগণন দৃশ্যের ফাঁদ উদ্যানের অগভীর নীল পারে
রেশমের ক্ষুদ্র ঝাঁপি তুলে নিঃসীম পড়ে থাকে
ফিল্ম
চৌকোণ স্বপ্নের বাইরে গিয়ে পড়ছে অভিজাত মাথা
রূপচর্চিত আলো এখনই প্রবেশ করবে ওখানে
মৃত্যুর বুননে ফেঁপে ওঠা গাঢ় বাতিগুলি
তোমরা তাক ক’রে আছ,
যেন প্রতিটি মুঠোর ভেতর যৌনকাতর জোনাকি
হলুদ কাচের ওপারে স্বীকারোক্তির মঞ্চ
মুহূর্তে বিদ্যুতে
নভোচর আদালতে মেলে ধরে তার
দণ্ডাজ্ঞার পৃষ্ঠাখানি
জিভ কেটে নেওয়া শরীরমণ্ডলে অন্তত একবার
স্পষ্ট ক’রে ধরা অনন্তের ছলনাময় প্যারাসোল
শাশ্বত
কোনও নীলচে গলির হর্ষে সহসা ঢুকে পড়েছি
জ্বলন্ত সূর্য আর শ্রাবণ-কুহক কাটিয়ে
গলিত প্রাচীন অন্ধকার
গাল টিপে দেয় প্রতিটি মুগ্ধ বয়সের
কা’র ডাকে পেছন ফিরে তাকিয়েছি
অনুতপ্ত ডক বয়ে চলেছে কা’র নীরব স্ব-হনন
পাইস হোটেলের জমকালো সাইনবোর্ড থেকে
ফিরে আসে প্রত্যুষ-ট্রেনের হতচকিত আলো
শাশ্বত সমর্পণে তীব্র হয়ে ওঠা নিবিষ্ট চন্দ্রাতপ
আর এই অশ্রুত ভূমি খোঁজে সেই উদাসীন প্রেমিকার কোল
পৃথিবীর গলিত অন্ধকারে যা ভেসে বেড়ানো এক অনির্দেশ
অনবদ্য কবিতাগুলি
উত্তরমুছুন