মেঠো প্রেমের গল্প
জনা বেহুলার উঁচু পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে অনেকক্ষণ। জারুল গাছের তলায় এখন গভীর রাত। চাঁদটা ছানি পড়া চোখের মত ভেসে রয়েছে মাথার উপর। নদীর দুপাড়ে কাশ আর শনের ভেতর অনেকগুলো চোখ জ্বলছে। ওর ভয় করছে। কখন আসবে মাতারি? নীলু ওঁরাও কি পচুই খেয়ে বেঁহুশ হয়নি এখনো?
এমন যে কেন হল জনা জানেনা। মাতারি ছাড়া তার আকাশটা যেন কাত্তিকের অমাবস্যা লাগে আজকাল। আচ্ছা মাতারি তো মাঠবেশ্যা, তাকে কেন সে ভালবাসল? ওকে তো চাষীরা ছিবড়ে করে ছেড়েছে। ওর রুগ্ন শরীরে একফোঁটা মাংসও নেই। জনা তবু তাকেই ভালবাসল! তাকে জড়িয়ে সারারাত মাঠের ভেতর শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে তার। ইচ্ছেটা শুধু এক আধ দিনের নয়, বাড়ন্ত।
এত দেরি করছে কেন মেয়েটা? আজ সে বেশ কিছু আলু এনেছে। অনেকদিন কাজ পায়নি নীলু, মাতারির দেহও পয়সা জোটাতে পারেনা এখন। ওদের সংসারে আজকাল বড় অন্ধকার।
নিজের জমির আলু সে চুরি করেছে। মহাজনকে লুকিয়ে নিয়ে এসেছে, মাতারিকে দেবে বলে। এটাও তার ভালবাসার মতই অকারণ, গোপন!
ছবি : গুগুল
মাঠের ভেতর হিম নামছে। অন্ধকার ট্রাক তুলে নিচ্ছে মহাজনের আলু। এখন ওগুলো আর চাষীর নয়। দূরে কারা নাড়ার আগুন জ্বেলেছে। মনে হয় আলু পুড়িয়ে খাচ্ছে কিছু উড়ন্ত মানুষ। নাড়ার ধোঁয়া সমান্তরালে মিশে যাচ্ছে কুয়াশার পেটের গভীরে।
জনা বেহুলার উঁচু পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে অনেকক্ষণ। জারুল গাছের তলায় এখন গভীর রাত। চাঁদটা ছানি পড়া চোখের মত ভেসে রয়েছে মাথার উপর। নদীর দুপাড়ে কাশ আর শনের ভেতর অনেকগুলো চোখ জ্বলছে। ওর ভয় করছে। কখন আসবে মাতারি? নীলু ওঁরাও কি পচুই খেয়ে বেঁহুশ হয়নি এখনো?
এমন যে কেন হল জনা জানেনা। মাতারি ছাড়া তার আকাশটা যেন কাত্তিকের অমাবস্যা লাগে আজকাল। আচ্ছা মাতারি তো মাঠবেশ্যা, তাকে কেন সে ভালবাসল? ওকে তো চাষীরা ছিবড়ে করে ছেড়েছে। ওর রুগ্ন শরীরে একফোঁটা মাংসও নেই। জনা তবু তাকেই ভালবাসল! তাকে জড়িয়ে সারারাত মাঠের ভেতর শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে তার। ইচ্ছেটা শুধু এক আধ দিনের নয়, বাড়ন্ত।
এত দেরি করছে কেন মেয়েটা? আজ সে বেশ কিছু আলু এনেছে। অনেকদিন কাজ পায়নি নীলু, মাতারির দেহও পয়সা জোটাতে পারেনা এখন। ওদের সংসারে আজকাল বড় অন্ধকার।
নিজের জমির আলু সে চুরি করেছে। মহাজনকে লুকিয়ে নিয়ে এসেছে, মাতারিকে দেবে বলে। এটাও তার ভালবাসার মতই অকারণ, গোপন!
ছবি : গুগুল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন