আতংকিত সুবাস
প্রিপারেশন নিতে-না-নিতেই ডুবে যাচ্ছে চোখ। আর নামহীন যে ঝড় বয়ে গেলো কাল। তার তান্ডবে ছিঁড়ে যাওয়া কারেন্টের তারে যে গাভীটির মৃত্যু হলো,তার পাশ দিয়েই ভেসে যাচ্ছে সুবাসিত কদমের ফুল, হিযলের পাপড়ি।
এখন মৃত গাভী,ডুবে যাওয়া ক্ষেত আর সুবাসিত হিযল : কম্বিনেশনটা ভাবতে ভাবতে মাথাটা ঘুরছে জলকুন্ডলীর ভিতর ছোট ডিঙির মত।
আর আকাশ থেকে টিনের চালে ঝরে পড়া বৃস্টির ছন্দে,রবি ঠাকুরের বৃস্টির গান নেমে এলে ঘরে ; আকস্মাৎ ঝড়ের ধাক্কায় ভেঙ্গে যাওয়া সুপারিগাছ, জানালার কাঁচ ভেঙে ঢুকে পড়ে বিছানায়। ঝড়ের ঝাপটায় আঙুল বেয়ে নেমে আসে রক্ত। ভিতরে ভিতরে শুনতে পাই কৃষকের হাড় ভাঙচুরের শব্দ।
এভাবে আমরা বর্ষার চরিত্র ভেঙ্গে যখন ঢুকে পড়ি হেডলাইন-রং পোশাকের ভেতর ; ডুবে যাওয়া সড়কের পাশে কেউ টাঙিয়ে দেয় বিজ্ঞাপনি ভঙ্গিতে। আর কেউ গেঁথে রাখে কবিতার পাতায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন