কালো মেয়ে
একমুঠো রাগী লাল কালবৈশাখী
ধেয়ে এসেছে এ শহরের বুকে
যেন পৃথিবীর সব সীমান্ত থেকে ধুলো তুলে এনেছে আজ , তোকে কবর দেবে বলে,
ধ্বংস করবে বলে সৃষ্টির উল্লাসে সে চড়াও হয়েছে
কোথায় পালাবি তোরা আজ?
শহরের প্রতি গলিতে বৃষ্টিরা নামতে পারে
গুপ্তচর হয়ে , কালো মেয়ে আজ তোর রেহাই নেই রে , তোর এলো চুল শুষে নিতে পারবে না এই ঝাপটা, ছিঁড়ে যেতে পারে তোর বুকের আঁচল টাও , ওই দামী হোডিং গুলোর মতো,
কোষের ভেতর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া বোধ শক্তি
আমাকে তখন থমকে রেখেছে নিরাপদ কোণে, চোখের সামনে দেখি শয়ে শয়ে ঝড়ে পড়ছে
গাঙ চিল শালিকের মৃতদেহ রা
গাছ ভাঙছে, ঘর ভাঙছে ,
একে একে মৃত দেহ ভেসে উঠছে জোকার দের,
কালো মেয়ে আজ কোনো অন্তরায় নেই তোর ,
প্রকৃতি আজ তোর বিষেলা শরীর চাবকে গুটিয়ে দিতে চায় হয়তো ,
তাই রুদ্র তাণ্ডবে আজ নিমজ্জিত
আমি,রবি,সংসার , সবকিছু
ওরে কালো মেয়ে ঝড় উঠেছে তুই ঘরে যা ।
বিছানা
করোটির ভেতরে স্মৃতি খুঁড়ে
জন্ম নেয় কবিতা , আর
ধর্ষিত বেজন্মার লাশের মতো
পড়ে থাকে তোর জীবাশ্ম
আমার মনিটারে
:
আমি আবার কোন নারী কে ছুঁয়ে
খাতার পর খাতা লিখি যাই কবিতা
দেখি নদী পাহাড় সমুদ্র দোয়াতে চুবে
ফুসফুসে পাই নতুন পৃষ্ঠার গন্ধ
:
তাই অভিজ্ঞতায় বাঁচে
মৃত গোলাপের কাঁটা
বিছানা কখনো বাগদত্তা হয় না ।
মন
অসমাপ্তির গ্লানি
বিষুব রেখা ছুঁয়ে গেলো
কখন নিজের থাকল
কখনো বা আছড়ে পড়ল মাটিতে,
নীরব বিশ্বাস তুমি চিবুকের রক্ত চেটে দেবে
:
কিন্তু তুমি যে
আলোর নীচে শুয়ে আছো বিলক্ষণ
হাজার রাতের জ্যোৎস্না
তোমার কাঁচের জানালায় কত কি এঁকেছে
খেয়াল আছে কি কোনো তোমার ?
চিঠির জীবাশ্ম, যৌনতার সংকেত,
আরো কতকি,
তুমি কি কিছুই দেখনি মন ?
তবে হ্যাঁ আমি তা নকল করে
রোজ কয়েক দিস্তে হিজিবিজি লিখে ফেলেছি
কেবল সে দিন পূর্ণিমা ছিল বলে
:
তাই তোমাকে বলছি
ঘুম ফেলে দাও
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন