তুমি রবে নীরবে ,,হৃদয়ে মম
খাটের ওপর বালিশে হেলান দিয়ে বসে আছে নন্দিনী ,বাইরের আকাশে তখনও মাঝে মাঝে মেঘ ডেকে চলছে ,এই গরমে সবাই বৃষ্টির অপেক্ষা করছে ,নন্দিনী ও করছে কিন্তু সেটা গরমের জন্য নয় তাহলে.....
একটু পেছনে ফিরে যাই,এই পাঁচ মাস আগের কথায় .....
-সৌরভ তুমি কোথায় ?আমি কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি ,রাস্তার লোকগুলো সব আমাকে দেখতে দেখতে যাচ্ছে.....
-ও তার মানে তোমাকে দারুণ লাগছে দেখতে.. মন খারাপ কোরোনা,দাঁড়াও আমি একটু পরে এসে তোমায় দেখছি.....
-একদম ফালতু ইয়ার্কি কোরোনা ,একি এই টিপটিপ বৃষ্টি শীতকালে খুব বিরক্ত লাগছে..তোমার আর কতক্ষণ লাগবে ?
-হতে পারে আমাদের অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ ৷ তাই বলে আমাকে সাধারণ প্রেমিক ভেবো না ,আমাদের বিয়ে ঠিক হবার পর এই প্রথমবার আমরা দেখা করবো তাই একটু উৎকণ্ঠায় আছি ৷ প্লিজ হাসো একটু ,রেগে থেকো না ..
-আমার হাসি পাচ্ছে না ,আমি এরকমই! অল্পতেই প্রচন্ড রেগে যাই ৷এখনও সময় আছে, বিয়ে ক্যান্সেল করে দিতে পারো ৷
-এই ফোন রাখো ,আমি নামবো এক্ষুনি
ঠিক একটু পরেই বাস টা এসে দাঁড়ালো ,নন্দিনীর সামনে ,সৌরভ নামলো ,ওর পাশে এসে দাঁড়ালো..
-তুমি ছাতা আনতে সেই ভুলে গেলে ?
-পুরুষ মানুষরা ছাতা'র পরোয়া করেনা ৷ ,এইটুকু বৃষ্টিতে ছাতা'র প্রয়োজন কি ?চলো না এই বৃষ্টিতে একটু হাঁটি (কথাটা বলতে বলতেই সৌরভ সিগারেট ধরালো )
-তুমি খুব সিগারেট খাও তাই না ?? দ্যাখো তুমি বৃষ্টির মধ্যে হাঁটতে চাইছো ,,আর এইটুকু খেয়াল করো নি যে আমি ও ভিজে গেছি..
-তো তুমিও ছাতা আনো নি ,কেন আনো নি ?শাড়ির সাথে ছাতার রং ম্যাচ করেনি বলে ?
-না (প্রচন্ড রেগে ).....আমি যখন শুনলাম ,তুমি ছাতা নিয়ে বেরও নি ,তখন আমিও ঠিক করলাম যে তাহলে আমিও ভিজে ভিজে যাবো ৷ আমিও ছাতা নেবো না ৷
নন্দিনীর হাত টা ধরে বলেছিলো
- মাত্র দু মাসে তুমি আমায় এতো টা ভালোবেসে ফেলেছো...
- নন্দিনীও তোমায় ভালোবেসে ফেলেছে..
দুমাস পর বিয়ে হয় ৷ফুল শয্যার রাতে সৌরভ নন্দিনী কে জড়িয়ে ধরে বললো
-মনে আছে তোমার আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার দিন ?
-হুমম্.... সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো....আচ্ছা শোনো ,আমাদের যদি মেয়ে হয় তাহলে তার নাম ,বৃষ্টি রাখবো কেমন ?
-হুমম্ তবে তোমাকে একটা কথা বলবো ?সেদিন বৃষ্টির জলে তোমার কাজল লেপটে গিয়ে তোমাকে না পেত্নীর মতো সুন্দর লাগছিলো (সৌরভ প্রচন্ড হাসছিলো আর নন্দিনী ততোটাই রেগে গিয়ে অভিমানের সাথে বললো )
-সেই তুমি তো শুধু সেটাই দেখলে আর আমার ভালোবাসা টা দেখলে না.. দেখবে যখন আমি মরে যাবো তখন বৃষ্টি হলে তোমার মন খারাপ করবে ,তখন তোমার কান্না পাবে আর আমি তোমায় বৃষ্টি হয়ে ছোঁব কিন্তু তুমি আমায় ছুঁতে পারবে না.. আর তুমি সেটা বুঝতে ও পারবে না..
- তাহলে তো আমার আগে মরে যাওয়া উচিৎ,আমি বৃষ্টি হয়ে তোমাকে ছোঁব ,এমন এমন জায়গায় আমি প্রবেশ করবো যেখানে তুমি চাইলেও আটকাতে পারবে না ৷তুমি বৃষ্টি হলে তাই লোকসান আছে কারণ ওভাবে ছুঁতে তোমার লজ্জা করবে ৷ আর তুমি ছুঁতে পারবে না ,তার থেকে বরং আমিই বৃষ্টি হয়ে তোমায়.....
-ইশ্ তুমি খুব অসভ্য....যাও..
বৃষ্টি নেমে গেছে খুব জোরে ,রাত প্রায় দুটো ,নন্দিনী আস্তে আস্তে ছাদের দরজা টা খুললো ,আর ছাদের মাঝখানে গিয়ে ভিজতে ভিজতে বললো --
কোথায় তুমি সৌরভ ??আমাকে এসে ভেজাও ,ছোঁও আমাকে এসে ,যেখানে যেখানে তুমি ছোঁবে বলে ছিলে ,আমাকে আদর করো ,
উন্মাদের মতো গাইতে লাগলো নন্দিনী বৃষ্টির মধ্যে "তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম "....
-ওরা এর মধ্যেই আমাকে ,আবার বিয়ে দেবে বলছে জানো ,আমি যে তোমায় ভালোবাসি ,আমাকে আদর করতে গিয়ে তোমার দেরী হয়ে গিয়েছিলো তাই তো তুমি ট্রেন মিস করলে আর ট্রেন টা এক্সিডেন্ট করলো ৷ আগের ট্রেনে গেলে তোমার এক্সিডেন্ট হতো না ,আমাদের নতুন ফ্লাটে যেখানে আমাদের কতো স্মৃতি সেখান থেকে বাবা মা আমায় জোর করে নিয়ে এলো এখানে ,আমার এখানে থাকতে ইচ্ছে করে না ,তুমি তো সবই জানো বলো ??,আমি তোমায় ভালোবাসি আজও ,এই দুমাসে প্রতিটি রাত আমি বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করেছি ,আমি ভিজবো বলে..... এসো আমার কাছে ,আরও কাছে....তুমি তো আমাকে ছুঁয়েছো তাই না ,আমার কাছে ফিরে এসো সৌরভ যেকোনো রূপে ফিরে এসো ,একটা ইশারা..একটা ইশারা দাও আমি ঠিক বুঝতে পারবো....
বৃষ্টি একটু একটু করে নন্দিনীর জামার ভেতরে অন্তর্বাসে প্রবেশ করলো ,নন্দিনী তখনও গেয়ে যাচ্ছে "তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম".... আর বলছে
-আমি বুঝতে পারছি তুমি আমাকে ছুঁয়ে আছো ,আরও বেশী ,,আরও বেশী করে আমায় ছোঁও ,,আমায় আদর করো.....
খাটের ওপর বালিশে হেলান দিয়ে বসে আছে নন্দিনী ,বাইরের আকাশে তখনও মাঝে মাঝে মেঘ ডেকে চলছে ,এই গরমে সবাই বৃষ্টির অপেক্ষা করছে ,নন্দিনী ও করছে কিন্তু সেটা গরমের জন্য নয় তাহলে.....
একটু পেছনে ফিরে যাই,এই পাঁচ মাস আগের কথায় .....
-সৌরভ তুমি কোথায় ?আমি কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি ,রাস্তার লোকগুলো সব আমাকে দেখতে দেখতে যাচ্ছে.....
-ও তার মানে তোমাকে দারুণ লাগছে দেখতে.. মন খারাপ কোরোনা,দাঁড়াও আমি একটু পরে এসে তোমায় দেখছি.....
-একদম ফালতু ইয়ার্কি কোরোনা ,একি এই টিপটিপ বৃষ্টি শীতকালে খুব বিরক্ত লাগছে..তোমার আর কতক্ষণ লাগবে ?
-হতে পারে আমাদের অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ ৷ তাই বলে আমাকে সাধারণ প্রেমিক ভেবো না ,আমাদের বিয়ে ঠিক হবার পর এই প্রথমবার আমরা দেখা করবো তাই একটু উৎকণ্ঠায় আছি ৷ প্লিজ হাসো একটু ,রেগে থেকো না ..
-আমার হাসি পাচ্ছে না ,আমি এরকমই! অল্পতেই প্রচন্ড রেগে যাই ৷এখনও সময় আছে, বিয়ে ক্যান্সেল করে দিতে পারো ৷
-এই ফোন রাখো ,আমি নামবো এক্ষুনি
ঠিক একটু পরেই বাস টা এসে দাঁড়ালো ,নন্দিনীর সামনে ,সৌরভ নামলো ,ওর পাশে এসে দাঁড়ালো..
-তুমি ছাতা আনতে সেই ভুলে গেলে ?
-পুরুষ মানুষরা ছাতা'র পরোয়া করেনা ৷ ,এইটুকু বৃষ্টিতে ছাতা'র প্রয়োজন কি ?চলো না এই বৃষ্টিতে একটু হাঁটি (কথাটা বলতে বলতেই সৌরভ সিগারেট ধরালো )
-তুমি খুব সিগারেট খাও তাই না ?? দ্যাখো তুমি বৃষ্টির মধ্যে হাঁটতে চাইছো ,,আর এইটুকু খেয়াল করো নি যে আমি ও ভিজে গেছি..
-তো তুমিও ছাতা আনো নি ,কেন আনো নি ?শাড়ির সাথে ছাতার রং ম্যাচ করেনি বলে ?
-না (প্রচন্ড রেগে ).....আমি যখন শুনলাম ,তুমি ছাতা নিয়ে বেরও নি ,তখন আমিও ঠিক করলাম যে তাহলে আমিও ভিজে ভিজে যাবো ৷ আমিও ছাতা নেবো না ৷
নন্দিনীর হাত টা ধরে বলেছিলো
- মাত্র দু মাসে তুমি আমায় এতো টা ভালোবেসে ফেলেছো...
- নন্দিনীও তোমায় ভালোবেসে ফেলেছে..
দুমাস পর বিয়ে হয় ৷ফুল শয্যার রাতে সৌরভ নন্দিনী কে জড়িয়ে ধরে বললো
-মনে আছে তোমার আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার দিন ?
-হুমম্.... সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো....আচ্ছা শোনো ,আমাদের যদি মেয়ে হয় তাহলে তার নাম ,বৃষ্টি রাখবো কেমন ?
-হুমম্ তবে তোমাকে একটা কথা বলবো ?সেদিন বৃষ্টির জলে তোমার কাজল লেপটে গিয়ে তোমাকে না পেত্নীর মতো সুন্দর লাগছিলো (সৌরভ প্রচন্ড হাসছিলো আর নন্দিনী ততোটাই রেগে গিয়ে অভিমানের সাথে বললো )
-সেই তুমি তো শুধু সেটাই দেখলে আর আমার ভালোবাসা টা দেখলে না.. দেখবে যখন আমি মরে যাবো তখন বৃষ্টি হলে তোমার মন খারাপ করবে ,তখন তোমার কান্না পাবে আর আমি তোমায় বৃষ্টি হয়ে ছোঁব কিন্তু তুমি আমায় ছুঁতে পারবে না.. আর তুমি সেটা বুঝতে ও পারবে না..
- তাহলে তো আমার আগে মরে যাওয়া উচিৎ,আমি বৃষ্টি হয়ে তোমাকে ছোঁব ,এমন এমন জায়গায় আমি প্রবেশ করবো যেখানে তুমি চাইলেও আটকাতে পারবে না ৷তুমি বৃষ্টি হলে তাই লোকসান আছে কারণ ওভাবে ছুঁতে তোমার লজ্জা করবে ৷ আর তুমি ছুঁতে পারবে না ,তার থেকে বরং আমিই বৃষ্টি হয়ে তোমায়.....
-ইশ্ তুমি খুব অসভ্য....যাও..
বৃষ্টি নেমে গেছে খুব জোরে ,রাত প্রায় দুটো ,নন্দিনী আস্তে আস্তে ছাদের দরজা টা খুললো ,আর ছাদের মাঝখানে গিয়ে ভিজতে ভিজতে বললো --
কোথায় তুমি সৌরভ ??আমাকে এসে ভেজাও ,ছোঁও আমাকে এসে ,যেখানে যেখানে তুমি ছোঁবে বলে ছিলে ,আমাকে আদর করো ,
উন্মাদের মতো গাইতে লাগলো নন্দিনী বৃষ্টির মধ্যে "তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম "....
-ওরা এর মধ্যেই আমাকে ,আবার বিয়ে দেবে বলছে জানো ,আমি যে তোমায় ভালোবাসি ,আমাকে আদর করতে গিয়ে তোমার দেরী হয়ে গিয়েছিলো তাই তো তুমি ট্রেন মিস করলে আর ট্রেন টা এক্সিডেন্ট করলো ৷ আগের ট্রেনে গেলে তোমার এক্সিডেন্ট হতো না ,আমাদের নতুন ফ্লাটে যেখানে আমাদের কতো স্মৃতি সেখান থেকে বাবা মা আমায় জোর করে নিয়ে এলো এখানে ,আমার এখানে থাকতে ইচ্ছে করে না ,তুমি তো সবই জানো বলো ??,আমি তোমায় ভালোবাসি আজও ,এই দুমাসে প্রতিটি রাত আমি বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করেছি ,আমি ভিজবো বলে..... এসো আমার কাছে ,আরও কাছে....তুমি তো আমাকে ছুঁয়েছো তাই না ,আমার কাছে ফিরে এসো সৌরভ যেকোনো রূপে ফিরে এসো ,একটা ইশারা..একটা ইশারা দাও আমি ঠিক বুঝতে পারবো....
বৃষ্টি একটু একটু করে নন্দিনীর জামার ভেতরে অন্তর্বাসে প্রবেশ করলো ,নন্দিনী তখনও গেয়ে যাচ্ছে "তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম".... আর বলছে
-আমি বুঝতে পারছি তুমি আমাকে ছুঁয়ে আছো ,আরও বেশী ,,আরও বেশী করে আমায় ছোঁও ,,আমায় আদর করো.....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন