পৃষ্ঠাসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭

অনিন্দ্য রায়



ছায়াবীথিতলে


ভ্রুণের সংহিতা, তাকে নৈঃশব্দ্য ফাটায়
আমরা রক্তের ধর্মে গণিত রেখেছি
             আর যে কাহিনী উত্তরে মেলে না তাকে বলি মোহনবাঁশরী
তা থেকে বেরোয় না
বলি ব্রহ্ম
       বলি অণ্ডত্রয়ী
একটি তো দেখতে পাই না
ভাবি দুই
এই বিশ্ব দ্বন্দ্বময় ভাবি
অথচ অন্য আছে সর্বত্র
 তা-ই ফলাফল
অথচ দোকান আছে পাওয়া যায়  ধুতুরার ফুল
বাইরে পুরুষ আর অন্তরে স্ত্রীরূপ গহ্বর
এবং যে বীজ হয় জিভে নিলে সংজ্ঞা টলে যায়
               তোমাকে বিখণ্ড করে
আবার একত্রে রাখে
সুবর্ণগোলক
তা দিয়ে বানানো গয়না অঙ্গ হয়ে শরীর বানাল
তা দিয়ে বানানো অঙ্গ তুলে ধরল নিজের পতাকা
এবং ছায়ার ঘাসে খসে পড়ল সকল পোষাক
এবং ত্বকও খসল
       মাংস-অস্থি-ঘিলু গলে গেল
 রক্তের ফোঁটা হয়ে, নীরক্ত কুসুম হয়ে
       প্রবল ঘুর্ণিতে পড়ে টুকরো হল প্রাণ ও পরাগ
আবার জুড়তে তাকে ডাক দিই
কাছে এলে আলিঙ্গন করি
বানাই মোক্ষম ক্বাথ
সে আঠা বুলিয়ে রাখি সর্বান্তকরণে
   আহা জোড়ে, জুড়ে যায় যেভাবে অশ্ব লাগে নিষ্প্রাণ শকটে
ছোটে সব সামাজিক পথে
ঘাস খেতে কদাচিৎ নেমে আসে অসামাজিকতায়
নামায় বুভুক্ষু মুখ
ওষ্ঠে ঘষা লাগে পাপপুণ্যের বিছুটি
ফুলে ওঠে,
   এত এত এত স্থূল হয় ঢাকা পড়ে মহাকাশ
বৃষ্টি সব ওধারে আটকায়
এই পাড়ে জল ভাঙে
জলের গভীরে ভাঙে জৈবইতিহাস
সেখানে যুদ্ধের কথা পুঙ্খানুপুঙ্খ লেখা
সনমাসতারিখে হিসেব
উপাসনাগৃহ আর স্মৃতিস্তম্ভে ভরে যায় দেহ
ঘন্টা বাজে
লালায় মুখের থালা ভরে যায়
তাকে বলে খিদে
এতবছরের রীতি রুটিকে গোলই রেখে দিল
যেকোনো প্রান্তের থেকে ছেড়া শুরু করা যায়
         ঘুরিয়ে নেওয়া যায়
এবং কামড় দিলে স্বাদ থাকে একইরকম
যেন গম সব ক্ষেতে একই আদর পেয়েছিল
একই তাপ, মাত্রাও অনন্য
প্রতিটি চাষীর চোখে চাষীবৌ দেখে এক চন্দ্রোদয়ঘোর
কিন্তু পলক পড়ে বিভিন্ন সময়ে
তাই নুনের মাত্রা ভিন্ন মনে হয়
চুম্বনে
       ও উৎপাদনেও

আমরা শস্যের গায়ে হাত বোলাই আভ্যেসবশে
চাপ দিই
         খোসাটি ছাড়াই

নগ্নতা ছাড়া যেন পরিচয় সম্ভবই নয়    

ছবি কৃতজ্ঞতা স্বীকার : অরিণ রায় 

1 টি মন্তব্য:

  1. অনিন্দ্যর কবিতা ভাবায়। অনেকগুলো রাস্তা ডাকে। বিভিন্ন মেজাজের। হিসেব মেলে, মেলে না। অনিন্দ্য বাধ্য করে টেক্সটের বাইরে বেরিয়ে যেতে। দারুণ।

    উত্তরমুছুন