ডাক
এক ক্লান্ত মুহুর্তে এসে বললাম 'আমায় নাও'
সেই মানুষটাকে যে সবটুকু দিয়ে আমার সবটুকু সুখ শান্তি বাঁচাতে পুড়েছে ও পুড়ছে ধূপের মত!
কত মানুষের চোখে তুলে দিলাম আঁচল
কত কত মানুষের জন্য চানঘরে চোখ ভাসালাম
কিন্তু যে আমার একটু হাসি মুখ দেখবে বলে কত অন্ধকার রাত বিছানায় চোখভাসালো
তাকেই শুধু দেখা হলনা!
স্নায়ুর ক্ষত সারাতে যে মানুষটা
হাসিমুখে তুলে দিতে পেরেছিল সবটুকু
শুধু তাকে দেখা হয়নি!
চরম পূর্ণিমা গুলো যে অমাবস্যায় কাটিয়েছে
দেখার সময়টুকুও,
চোখ রেখেছি আমারই ছায়ায়!
অথচ ছায়া কী শিলেপ মিলিয়ে গেল
আর সেই মানুষটা?
যাকে দেখার ফুরসৎ ও তাগিদ কখোনই ছিলনা সেই থেকে গেল ছায়া হয়ে...
আমার ছয় বন্ধুকে যে আমারই মত
প্রশ্রয় করে গ্যাছে,
তার ছয় বন্ধুকে নির্বাসন দিয়ে..
আজ যখন আমার চিতায়
আমি সামগান গাইছিলাম,
ঠিক তখনই সব ছায়াছবির মত ভেসে উঠছিল
ছবিটাও আজ ছায়া হয়েই থেকে গেছে!
অথচ, বিজ্ঞানের নিয়ম তোয়াক্কা না করেই আমার পেছনেইথেকে গেছে আমার ছায়া!
আমায় প্রতিবারের মত জোরকরে জিতিয়েদিয়ে
আমি এখন অনেক অনেক ওপরে
সব্বাইকে ছাপিয়ে..
একদম স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি
ওই মানুষটাকে...
আমি চিৎকার করে চোখ ভাসিয়ে বলছি "আমায় নাও".."আমায় নাও"
শব্দটা কোথায় হারিয়ে গেল
মানুষটা আর শুনতেই পেল না!
মনোনীতা চক্রবর্তী
গল্পের মতো অথবা...
" নিশি না পোহাতে কার ডাকে ঘুম ভেঙে যায়...! "
এই 'ডাক' শুধু রেখে যায় 'দাগ'
দাগের গল্পে মনে পড়ে যায় কুহকিনী কথা
মনে পড়ে যায় বিরহ টপকে টপকে
ভেজা আলো কড়াইয়ে ভেজে নেওয়ার কথা..
"তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙ ঝিলমিল.. "! আসলে আলোর গল্পে জোনাই অনিবার্য! অনিবার্য আশ্বাসের জলকথা! কথার পর কথা সাজানো বাড়িঘর, আসলে মেঘলা দিন যেন! যেখানে আয়োজন যেন জীবনের! আয়োজন এক পা -দু'পা -তিন পা'র, পার ভাঙার কৌশল! সন্ধানে সন্ধানী চোখের ভেতর শাল-মহুয়ার যাপন...অনন্ত জোছনা হয়ে থাকার চিরচাওয়া গান! অদ্ভুত এক মেলোডি... আমার চিবুকে জোছনাগান! সম্মোহনের নেশা কাটা শুদ্ধতা! অপার বিস্ময়ে জেগে থাকি! ছুঁয়ে দেখি, ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি চিবুক... ঠোঁট... গলার ভাঁজ.. বুক! কী আশ্চর্য, আমাদের সকলের বয়স বাড়ছে! দিনের বয়স-রাতের বয়স, বাড়ছে হু হু করে..... অথচ বাড়ছেনা শুধু জোছনার বয়স! জলের বয়স! দিলমায়ায় ভরপুর জোছনাগান ক্লান্তিহীন বেজে চলে! ম্যাপলপাতার অরণ্যে আমি গান্ধারী, হেঁটে চলি জলের গল্প শুনবো বলে...হেঁটে চলি গা এলিয়ে গুনগুন করা পাতাদের ছোঁবো বলে! এভাবে চলতে চলতে, চলতে আমি ঠিক ছুঁয়ে ফেলবো তোমাকে! তুমি আমার চোখের বাঁধন খুলে দেবে.... আমার স্পর্শগুলো 'দেখা' হবে! আপোষগুলো 'স্পর্ধা ' হবে! আলোগুলো আমার আয়না হবে.. গাছেদের পাড়াই হবে আমার শব্দস্বপ্নের ঘরবাড়ি...আমার অন্তহীন চলাচল... চারুকলার বিস্তৃত স্বভূমি...! আর কোনোই গোপন নয়,সবুজের মেখলা- জোছনার গয়না পরে গলা ছেড়ে গেয়ে উঠবো
"....কত ভালোবাসি!"
ছবি কৃতজ্ঞতা স্বীকার: Cesar Legaspi
এক ক্লান্ত মুহুর্তে এসে বললাম 'আমায় নাও'
সেই মানুষটাকে যে সবটুকু দিয়ে আমার সবটুকু সুখ শান্তি বাঁচাতে পুড়েছে ও পুড়ছে ধূপের মত!
কত মানুষের চোখে তুলে দিলাম আঁচল
কত কত মানুষের জন্য চানঘরে চোখ ভাসালাম
কিন্তু যে আমার একটু হাসি মুখ দেখবে বলে কত অন্ধকার রাত বিছানায় চোখভাসালো
তাকেই শুধু দেখা হলনা!
স্নায়ুর ক্ষত সারাতে যে মানুষটা
হাসিমুখে তুলে দিতে পেরেছিল সবটুকু
শুধু তাকে দেখা হয়নি!
চরম পূর্ণিমা গুলো যে অমাবস্যায় কাটিয়েছে
দেখার সময়টুকুও,
চোখ রেখেছি আমারই ছায়ায়!
অথচ ছায়া কী শিলেপ মিলিয়ে গেল
আর সেই মানুষটা?
যাকে দেখার ফুরসৎ ও তাগিদ কখোনই ছিলনা সেই থেকে গেল ছায়া হয়ে...
আমার ছয় বন্ধুকে যে আমারই মত
প্রশ্রয় করে গ্যাছে,
তার ছয় বন্ধুকে নির্বাসন দিয়ে..
আজ যখন আমার চিতায়
আমি সামগান গাইছিলাম,
ঠিক তখনই সব ছায়াছবির মত ভেসে উঠছিল
ছবিটাও আজ ছায়া হয়েই থেকে গেছে!
অথচ, বিজ্ঞানের নিয়ম তোয়াক্কা না করেই আমার পেছনেইথেকে গেছে আমার ছায়া!
আমায় প্রতিবারের মত জোরকরে জিতিয়েদিয়ে
আমি এখন অনেক অনেক ওপরে
সব্বাইকে ছাপিয়ে..
একদম স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি
ওই মানুষটাকে...
আমি চিৎকার করে চোখ ভাসিয়ে বলছি "আমায় নাও".."আমায় নাও"
শব্দটা কোথায় হারিয়ে গেল
মানুষটা আর শুনতেই পেল না!
মনোনীতা চক্রবর্তী
গল্পের মতো অথবা...
" নিশি না পোহাতে কার ডাকে ঘুম ভেঙে যায়...! "
এই 'ডাক' শুধু রেখে যায় 'দাগ'
দাগের গল্পে মনে পড়ে যায় কুহকিনী কথা
মনে পড়ে যায় বিরহ টপকে টপকে
ভেজা আলো কড়াইয়ে ভেজে নেওয়ার কথা..
"তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙ ঝিলমিল.. "! আসলে আলোর গল্পে জোনাই অনিবার্য! অনিবার্য আশ্বাসের জলকথা! কথার পর কথা সাজানো বাড়িঘর, আসলে মেঘলা দিন যেন! যেখানে আয়োজন যেন জীবনের! আয়োজন এক পা -দু'পা -তিন পা'র, পার ভাঙার কৌশল! সন্ধানে সন্ধানী চোখের ভেতর শাল-মহুয়ার যাপন...অনন্ত জোছনা হয়ে থাকার চিরচাওয়া গান! অদ্ভুত এক মেলোডি... আমার চিবুকে জোছনাগান! সম্মোহনের নেশা কাটা শুদ্ধতা! অপার বিস্ময়ে জেগে থাকি! ছুঁয়ে দেখি, ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি চিবুক... ঠোঁট... গলার ভাঁজ.. বুক! কী আশ্চর্য, আমাদের সকলের বয়স বাড়ছে! দিনের বয়স-রাতের বয়স, বাড়ছে হু হু করে..... অথচ বাড়ছেনা শুধু জোছনার বয়স! জলের বয়স! দিলমায়ায় ভরপুর জোছনাগান ক্লান্তিহীন বেজে চলে! ম্যাপলপাতার অরণ্যে আমি গান্ধারী, হেঁটে চলি জলের গল্প শুনবো বলে...হেঁটে চলি গা এলিয়ে গুনগুন করা পাতাদের ছোঁবো বলে! এভাবে চলতে চলতে, চলতে আমি ঠিক ছুঁয়ে ফেলবো তোমাকে! তুমি আমার চোখের বাঁধন খুলে দেবে.... আমার স্পর্শগুলো 'দেখা' হবে! আপোষগুলো 'স্পর্ধা ' হবে! আলোগুলো আমার আয়না হবে.. গাছেদের পাড়াই হবে আমার শব্দস্বপ্নের ঘরবাড়ি...আমার অন্তহীন চলাচল... চারুকলার বিস্তৃত স্বভূমি...! আর কোনোই গোপন নয়,সবুজের মেখলা- জোছনার গয়না পরে গলা ছেড়ে গেয়ে উঠবো
"....কত ভালোবাসি!"
ছবি কৃতজ্ঞতা স্বীকার: Cesar Legaspi
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন