এ দেশে ঈশ্বর বিক্রি
হয় অলিগলিতে
চারিদিকে বস্তা বস্তা
লাশেদের পাহাড়
এ জমি , এ মাটি কোনটাই
আমার নয়
না !
আর কোন শব্দ অাসছে না
তোমাকে এখন আল্পস
পর্বতের মাথার বরফের মত দেখতে লাগে
একদিন আমি ঈশ্বর হব সে দিন ধর্ম বলে কোন নাম থাকবে না
ধর্ম শব্দটি দুই অক্ষরের হলেও খুব কঠিন একটি শব্দ ৷ আর সেই শব্দকে
নিয়ে কিছু মানুষ দৌড়ে চলেছে ৷ বাড়ছে ধর্ষণ , হানাহানি ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ জীবনের
অলি গলিতে নৃশংসতা বাসা বেঁধে উঠেছে ৷ অথচ আমাদের শিক্ষা , সংস্কৃতি শিখিয়েছে
আমাদের সহনশীল প্রকৃত মানুষ হতে ৷ একদিকে আমাদের বাংলা নববর্ষ ৷ যা কিছু
পুরাতন , জীর্ণ যা
ঘুচিয়ে দিয়ে নুতনের আবাহন ৷ আর একদিকে আমাদের সমাজের কালো দিক বেড়ে চলেছে
বন্যার জলের মত I চারিদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত ৷ শিশু প্রাণ ধর্ষিত হচ্ছে দেবালয়ে
। প্রাণের অস্তিত্ব যেখান থেকে শুরু হয়েছিল সেখানে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে ৷ বিলুপ্ত
হচ্ছে পতঙ্গকূল ৷ একদিন পতঙ্গের মত মানুষ বিলুপ্ত হবে ৷পতঙ্গ , কীটের মধ্যে মানুষ
প্রবেশ করবে ৷ জন্ম হবে গুটিপোকার মত l ধীরে ধীরে উন্নত হয়ে যে মানুষের সৃষ্টি
হবে তার ,চারিত্রিক গঠন হবে এখনকার মানুষের থেকে অনেক অনেক উন্নত ৷ থাকবে না বিভেদ ৷নারী
পুরুষের মাঝে শারীরিক
বিভেদ ছাড়া থাকবে না কোন অন্য বিভেদ ৷ থেকে যাবে সৃষ্টি ৷ সৃষ্টি মানেই সৃজন ,
আমার সৃজন ৷ সৃজন দ্বিতীয় বছর চতুর্থ ও গ্রীষ্ম সংখ্যায় আপনাকে স্বাগত ৷ এই
সংখ্যায় শুরু হল মলয় রায় চৌধুরীর একটি নতুন উপন্যাস ৷ ধারাবাহিক ভাবে সেটি
আপনাদের কাছে তুলে ধরব ৷ প্রতি সংখ্যায় যুক্ত হচ্ছেন নবীন, প্রবীণ কবিবৃন্দ ৷
আপনাদের প্রচেষ্টায়, ভালোবাসায় সৃজন আরও উন্নত হোক ৷ ভালোবাসায় থাকুন ,সৃজনে
থাকুন ।
পারমিতা চক্রবর্ত্তী
সম্পাদিকা
জোরদার সম্পাদকীয়। এটাইতো চাই। একটি কাগজের চরিত্র বোঝা যায় সম্পাদকীয় থেকে।
উত্তরমুছুন