ত নি মা হা জ রার কবিতা সিরিজ
একাকীবেলার শব্দগুচ্ছ-১
ভারি ভালো সেজে আছো,
গাল দিয়ে ঝরে পড়ে গ্লো ফেসিয়াল।
নখ ঢেকে রেখেছ রঙিন নেল পলিশে,
দাঁত সাজিয়ে রেখেছ সহাস্য পাটিতে,
আচ্ছা তোমার কি আগুন জ্বালাতে ইচ্ছে করে না একবারও,
হা হা হা শব্দে হেসে উঠতে ইচ্ছে করে না এক আর্তনাদ অট্টহাস,
সাজানো বিনুনি খুলে দিয়ে কালো মেঘের মতন,
ঠিকরে বেরিয়ে আসতে পারে তোমার চোখ,
ভারি বিভৎস দেখতে লাগবে কিন্তু তোমাকে তখন,
পুরুষের আর প্রেম পাবে না তোমাকে দেখে,
কাম গুটিয়ে যাবে খোলের ভিতর ভীত শামুকের মতো।
প্লিজ, মোহিনী হবার নাটক কোরো না আর,
পারলে মানবী হয়ে বাঁচো একটিবার।।।
ত নি মা হা জ রার কবিতা সিরিজ
একাকীবেলার শব্দগুচ্ছ-২
বিপুল নৈঃশব্দের কাছে আমি অবনত হয়ে থাকি,
দায়বদ্ধ হয়ে থাকি মধুঋত কোকিলটির গানের কাছে,
মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে থাকি ধ্রুবতারাটির দিকে
যেন এমন একনিষ্ঠ প্রেমিক আমার আর কেউ হয়নি কোনোদিন।
সূর্যের প্রথম কিরণ বুকের কোটরে লুকিয়ে রাখি,
যেন এমন উজ্জ্বল রত্নময় উপহার আর পাইনি কোথাও,
ঘাসের ওপর থেকে প্রথম বিশুদ্ধ শিশিরকণাটি তুলে নিয়ে অবগাহন করে আমার আত্মা।
মাথায় বরফের তাজ পরতে হলে সুউচ্চ পাহাড়চূড়া হতে হয়।
সমুদ্রের মতো অপার হতে হলে আগে তিলে তিলে একবুক অশ্রু সঞ্চয় করতে হয়,
আকাশের মতো ব্যাপ্ত হতে হলে একেবারে রিক্ত আর শূন্য করতে হয় নিজেকে।।
ত নি মা হা জ রার কবিতা সিরিজ
একাকীবেলার শব্দগুচ্ছ-৩
ভিক্ষুক সেজে মজা দেখি,
কে কেমন দান পাত্রে ফেলে দিয়ে যায়
দয়া করে চার আনা আট আনা
প্রতিশ্রুতি,
কে বা মুখ ফিরিয়ে চলে যায়,
অবাক তাচ্ছিল্যে।
ধনুকের জ্যা থেকে বেরিয়ে আসা
বাণের গায়ে যে বার্তা লেখা থাকে, ইন্দ্রিয় বোঝে তার কড়ি ও কোমল।
বাদ্যযন্ত্রের তার ছিঁড়ে গেলে তাকে আবার নতুন করে
বাঁধতে হয়, যথাযথ সুর বসাতে হয় তার সরগমে।
কাজটা বেশ কঠিন বৈকি।
এ জীবন তো একটি খালিপাত্র অথবা একখানি উদাসী একতারা ব্যতীত আর বেশি কিছু নয় ।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন