শূন্যের ঝুলআঁড়া
__________
রোদের আগুন আর বাতাসে
তোমার ভেঁজা শাড়ির জলের ক্ণা পোড়ায়।
সুতোর ভাঁজে শুঁকানো আঁচল
যার নষ্টতন্দ্রা এখনো ভাঙ্গেনি
এখনো আত্মজিজ্ঞাসার শরত জ্ঞান জাগেনি;
অথচ নেচে ওঠে সুদীর্ঘ আঁচল ও প্রশ্ন
কেঁপে ওঠে ঝুলআঁড়া-শূন্যের ঝুলআঁড়া থেকে চোখ
তোমার হেঁটে যাওয়া গোড়ালির ছাপ,
ফিরে আসবার অপেক্ষা;
তোমার ভেঁজা শাড়ির জলের ক্ণা পোড়ায়।
সুতোর ভাঁজে শুঁকানো আঁচল
যার নষ্টতন্দ্রা এখনো ভাঙ্গেনি
এখনো আত্মজিজ্ঞাসার শরত জ্ঞান জাগেনি;
অথচ নেচে ওঠে সুদীর্ঘ আঁচল ও প্রশ্ন
কেঁপে ওঠে ঝুলআঁড়া-শূন্যের ঝুলআঁড়া থেকে চোখ
তোমার হেঁটে যাওয়া গোড়ালির ছাপ,
ফিরে আসবার অপেক্ষা;
শরীরের গন্ধ,ভেঁজাকাপড়ে আটকানো হাত
যে হাতে শোষণ শাসন নির্যাতন লুকানো
যে পায়ে নিভানো খুর ও ডাইনীবিদ্যা
সে কেবল তুমি,রুপসী দেশ
সব তল্লাটে সোনালি শষ্যের ঘ্রাণ।
__________
যে হাতে শোষণ শাসন নির্যাতন লুকানো
যে পায়ে নিভানো খুর ও ডাইনীবিদ্যা
সে কেবল তুমি,রুপসী দেশ
সব তল্লাটে সোনালি শষ্যের ঘ্রাণ।
__________
উত্তর পরাগায়ন
_________
_________
ছন্দ মিলুক না মিলুক-
এসব আমাকে পাগল করে ফেলে
কবিতার নতুন শব্দরা
আবেগে ঠাসা ঘোরতর উত্তরণ মুখের অনাধুনিক!
কখনো লিখছি মানুষের মুখাবয়ব,কখনো লাশের;
এসবে কেউ কাছে টানে।কেউ দূরে ঠেলে-
প্রত্যেকদিন আকাশের মতন
শাদা খাতায় আঙ্গুল নেড়ে
কালো কালিতে রক্ত ঝরায়,অরণ্য ও ফুলের ওপর
উত্তর পরাগায়নে;দু'হাত মেলে ধরে
সোনা-রোপা ঐশ্বর্যের রেখোপ্রেম
সংসারে বাতির দিয়াশলাই।
এসব আমাকে পাগল করে ফেলে
কবিতার নতুন শব্দরা
আবেগে ঠাসা ঘোরতর উত্তরণ মুখের অনাধুনিক!
কখনো লিখছি মানুষের মুখাবয়ব,কখনো লাশের;
এসবে কেউ কাছে টানে।কেউ দূরে ঠেলে-
প্রত্যেকদিন আকাশের মতন
শাদা খাতায় আঙ্গুল নেড়ে
কালো কালিতে রক্ত ঝরায়,অরণ্য ও ফুলের ওপর
উত্তর পরাগায়নে;দু'হাত মেলে ধরে
সোনা-রোপা ঐশ্বর্যের রেখোপ্রেম
সংসারে বাতির দিয়াশলাই।
গহীন অন্ধকারময়
সিঁড়িভাঙ্গা কালোর ভেতর থেকে মুঠো করে আনে
চেনা অচেনা মুখগহ্বর
সকলকে বলে ভয়ার্ত সাপ নয়-
ফুল ফোটানোর হলুদ রেণু
ফের আহবান!হাজার বছরের অনন্য জগৎ...
_____________
সিঁড়িভাঙ্গা কালোর ভেতর থেকে মুঠো করে আনে
চেনা অচেনা মুখগহ্বর
সকলকে বলে ভয়ার্ত সাপ নয়-
ফুল ফোটানোর হলুদ রেণু
ফের আহবান!হাজার বছরের অনন্য জগৎ...
_____________
হৃত্বিকময় দিগন্ত
________
________
সেদিনকার বেণীগাঁথা চুলে
আঁধারের রোপণ কেটে কদমের ফুলে
শ্রাবণের জল আমনের চারা ধানে
নারিশ গেরুয়া শালিক
আর আকাশের ঠোঁটবাঁকা মুখ
অরণ্যের দু'হাত বাড়ানো
বাতাসের মাতৃমঙ্গল পাড়াগাঁয়-
বেড়ালচখু,ব্রক্ষ্মপুত্র নয়নে এক অবেলা নারী
নদীর কল্লোল ধ্বনি,
শিরিষ কুয়াশার ফোঁটাফোঁটা একগ্লাস জল
গাছের ছায়ায় হলুদ বিকেল জড়িয়ে
সুরতশ্রী ডাকছে
যৌবন ভরা সবুজের আইলজোড়া মাঠ,
অবমুক্ত খালাসের হৃত্বিকময় দিগন্ত;
সে রূপ আনন্দে বনানীরা আজো ক্লাপ শোনায়...
___________
আঁধারের রোপণ কেটে কদমের ফুলে
শ্রাবণের জল আমনের চারা ধানে
নারিশ গেরুয়া শালিক
আর আকাশের ঠোঁটবাঁকা মুখ
অরণ্যের দু'হাত বাড়ানো
বাতাসের মাতৃমঙ্গল পাড়াগাঁয়-
বেড়ালচখু,ব্রক্ষ্মপুত্র নয়নে এক অবেলা নারী
নদীর কল্লোল ধ্বনি,
শিরিষ কুয়াশার ফোঁটাফোঁটা একগ্লাস জল
গাছের ছায়ায় হলুদ বিকেল জড়িয়ে
সুরতশ্রী ডাকছে
যৌবন ভরা সবুজের আইলজোড়া মাঠ,
অবমুক্ত খালাসের হৃত্বিকময় দিগন্ত;
সে রূপ আনন্দে বনানীরা আজো ক্লাপ শোনায়...
___________
ধবধবে কাগজ
___________
___________
দৈনিক দিনটুকু
আলোটুকুন ক্রমশ কোথায় যায়?
কোন সন্ধ্যের থেকে
গহীন রাত্রির ঝোপ পেরিয়ে
ঘাস এবং চলিত পৃথিবীর নির্বিশেষে লাল সূর্য,
হলুদ আভার চৌকো বিকেল
নিমপ্রশ্ন ফেলে মুখ ফেরায়
বর্ষপুঞ্জ থেকে জীবপুঞ্জে;
আলোটুকুন ক্রমশ কোথায় যায়?
কোন সন্ধ্যের থেকে
গহীন রাত্রির ঝোপ পেরিয়ে
ঘাস এবং চলিত পৃথিবীর নির্বিশেষে লাল সূর্য,
হলুদ আভার চৌকো বিকেল
নিমপ্রশ্ন ফেলে মুখ ফেরায়
বর্ষপুঞ্জ থেকে জীবপুঞ্জে;
তারপর!এভাবে অভ্র অক্ষরে
আঙ্গুলের ধাঁচ কেনাকাটা করে
সেনাহূত কাঁটাছেঁড়া স্কেলের দাগ-
টানাপথের বাতিচিহ্ন
ভরাট চওড়া ধবধবে কাগজের উপর
লিখে ফেলে ইতিহাস এবং অবিস্মরণীয়...
ধানক্ষেতে চাষীদের নিবাস
হঠাৎ বর্ষা,মহুয়ায় বিলানো গন্ধ-বাতাস
আর আমরা কেবলি চেয়ে দেখি'হালখাল।
____________
আঙ্গুলের ধাঁচ কেনাকাটা করে
সেনাহূত কাঁটাছেঁড়া স্কেলের দাগ-
টানাপথের বাতিচিহ্ন
ভরাট চওড়া ধবধবে কাগজের উপর
লিখে ফেলে ইতিহাস এবং অবিস্মরণীয়...
ধানক্ষেতে চাষীদের নিবাস
হঠাৎ বর্ষা,মহুয়ায় বিলানো গন্ধ-বাতাস
আর আমরা কেবলি চেয়ে দেখি'হালখাল।
____________
।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন