অভাব
স্যাঁতস্যাঁতে রোদ ভেজা আকাশ
তোমায় ছাড়া
গনগনে ভাত আলোর রাতি
মুষরে পরা!
টিমটিমে দ্বীপ ধূসর সাঁঝ
তোমায় ছাড়া,
জ্যোৎস্না চাঁদ সপ্ত ঋষি
নোনা ধরা!
মিনমিনে স্বর পানসে কথা
তোমায় ছাড়া,
জলসা রাত সারেঙ্গীটাও
মরচে ধরা!
ঘুষঘুষে জ্বর ফ্যাঁকাসে ঠোঁট
তোমায় ছাড়া,
মলয় বাতাস মুক্তির স্বাদ
শ্যাওলা ধরা!
********
রূক্মিনীর অপেক্ষা
অপেক্ষা করতে করতে যখন অপেক্ষাদের
সময়ও শেষ হয়ে আসে -
আমি আবার নতুন করে অপেক্ষার প্রহর গুনি,
তখন কেমন যেন নিজেকে রূক্মিনী বলে মনে হয় !
রূক্মিনীও বোধহয় এমনি করেই প্রহর গুনতো আর আত্মতুষ্টির জন্য বাহানার পর বাহানা খুঁজে নিতো।
যখন ক্লান্ত হয়ে পড়তো বাহানার জালে , না পেরে বুক ভেজাতো নোনা জলে-
. তখন পূবের সূর্যটা পশ্চিমে গেছে ঢলে!
কালপুরুষ আর সপ্তঋষিরাও জেগেছে মধ্যাকাশে।
রূক্মিনী ঘরের দাবাতে বসে অপেক্ষার ভারে নিথর,
যেন এক সমুদ্র জলে ভাসমান পাথর কোনো !
*******************
জীবন্ত ফসিল
কাল রাতে এসে কারা
লিখে রেখে গেছে দেওয়ালে-
লাশ ফেলে দেবে, বাড়ি
থেকে এক পা বেড়োলেই!
কোনো নেতার দলের সাঁকরেদ
অথবা হয়তো ঘুষ খাওয়া
কোনো রাজনৈতিক ষণ্ডা , যাদের ফুটেছে
মিথ্যেয় ভরা ভান্ডা !
আমরা যারা আম জনতা
পা চেটে করি কাজ হাসিল -
স্বার্থ শেষে ভাবতে বসি, কখন
বিবেক হয়েছে জীবন্ত ফসিল!
নাহয় দেখলে হচ্ছে রেপ, তাতে কী !
হতেই পারে গোলাগুলি, অথবা
নারী জন্মের দরদাম,
মুখ খুললেই লাশ ফেলে দেবে , ভয়ে
কাঁটা হয়ে থাকা, এই আর কি! !
***********
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন