#বই
(আমার প্রথম প্রেম, আমার নস্ট্যালজিয়া)
কশ্চিত্ কান্তাবিরহগুরুণা স্বাধিকারাত্প্রমত্তঃ
শাপেনাস্তঙ্গমিতমহিমা বর্ষভোগ্যেণ ভর্তুঃ
যক্ষশ্চক্রে জনকতনযাস্নানপুণ্যোদকেষু
স্নিগ্ধচ্ছাযাতরুষু বসতিং রামগির্যাশ্রমেষু।
তস্মিন্নদ্রৌ কতিচিদবলাবিপ্রযুক্তঃ স কামী
নীত্বা মাসান্ কনকবলযভ্রংশরিক্তপ্রকোষ্ঠঃ
আষাঢস্য প্র(শ)থমদিবসে মেঘমাশ্লিষ্টসানুং
বপ্রক্রীডাপরিণতগজপ্রেক্ষণীযং দদর্শ,,,,,
জন্মের কিছুকাল পর যখন ভালো করে চোখ ফোটে না তখন অন্নপ্রাশনের সময় মজার ছলে একটি লোকাচার করা হয়। বাচ্চার সামনে টাকা, পেন, বই, পুতুল প্রভৃতি সামগ্রী তুলে ধরা হয়। সেই সামগ্রীগুলির মধ্যে শিশু যা হাতে তুলবে তার ওপর পরবর্তীকালে শিশুর মানসিকতা নাকি বোঝা যায়। যদিও এটির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আমার অন্নপ্রাশনের সময় আমি ধরেছিলাম কালিদাস রচিত মেঘদূতম গ্রন্থটি। বইটির মলাটে আঁকা মেঘের আর বিরহী যক্ষের ছবি আমাকে চিরটাকাল প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। একটি ভালো বইয়ের মুদ্রণের কাগজ, প্রিন্ট আর মলাটও কিন্তু পাঠককে নিজের কাছে চুম্বকের মতোই টেনে আনার যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে।
পৃথিবীতে বইয়ের ইতিহাস খুব বেশিদিনের নয়। আজ থেকে প্রায় ছয়শো বছর আগে গুটেনবার্গ প্রথম বাইবেল নামক একটি বই মুদ্রিত করলেন। যা কিনা যে সে বই নয় আস্ত একটি ধর্মগ্রন্থ। এর আগে তালপাতা অথবা তুলট কাগজসহ নানা উপাদানের বই বা বই আকারের
পাণ্ডুলিপির চল ছিল। আর ছিল জ্ঞানের ফেরিওলারা। একটু আশ্চর্য শোনালেও বইছাপার মেশিন আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত ইউরোপে কিছু শিক্ষিত মানুষ পেশা হিসাবে ধনীমানুষদের বাড়িতে গিয়ে পাণ্ডুলিপি আকারের বইগুলি পড়ে শোনাতেন এবং এইভাবেই তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করতেন। আমাদের দেশের পটুয়াদের সাথে মিল পাওয়া যায় বেশ। লম্বা দু মানুষ সমান বা তারও লম্বা কাগজে ছবি এঁকে এঁরা পথে পথে গান গেয়ে পুরান, মঙ্গল কাব্যের গপ্পো ফেরি করে বেড়ান। ইন্টারনেট ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমের যুগে এঁরা ডোডো পাখির মতোই দুর্লভ। আমাদের জনদরদী সরকার অবশ্য নানান মেলার মাধ্যমে এঁদের জন্য প্রায় সংরক্ষণমূলক উদ্যোগ নিয়েছেন। তা যে কথা বলছিলাম, গুটেনবার্গের সময় ইউরোপে বই বা পুস্তক সংগ্রহের হিড়িক দেখা দিল। একটা বিপ্লব শুরু হয়ে গেল। এক লহমায় তিরিশটা স্কুলের সংখ্যা গিয়ে ঠেকলো তিনশোতে। সেই রকমই বৌদ্ধদের মধ্যে প্রাচীন গ্রন্থটির বয়স মাত্র ১১৫০ বছর। এটিতে বৌদ্ধ ধর্মের ভিত্তিতে 'ডায়মন্ড সূত্র' এর প্রিন্টেড ভার্সান আছে। আমাদের বাঙালিদের মধ্যে চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পদ সংকলন তথা সাহিত্য নিদর্শন। ১৯০৭ সালে পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার থেকে তা উদ্ধার করেন এবং আচার্য সুনীতি চাটুজ্জে মহাশয় তা গ্রন্থিত করেন। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পড়া হয়েছে যে বইগুলি সেগুলি হলো - বাইবেল, কোটেশন ফ্রম চেয়ারম্যান মাও সে তুং, হ্যারি পটার। সবচেয়ে বড় কাগজের বই "The Prophet Mohammad"। মাত্র দেড়শো বছর আগেও বাঙালী বুঁদ হয়ে থাকতো বটতলার বই নিয়ে। এটিকে আমরা জনপ্রিয় বা পপুলার কালচারের বিস্তার হিসাবে দেখতে পারি। ইউরোপীয়দের এদেশে পুস্তক বা বই প্রকাশের উদ্যোগকে দেখা যেতে পারে এলিটিস্ট করার প্রয়াস হিসাবে।এলিটিস্ট বা নাগরিক সাংস্কৃতিক উপাদানের একটি প্রধান অঙ্গ হিসাবে গ্ৰন্থপাঠ জনপ্রিয়তা লাভ করে। আজও বাঙালির ঠাকুর ঘরের তাকে ধর্মগ্রন্থ গীতার সাথে একই আসনে ভাগাভাগি করে থাকে গুপ্তপ্রেস, বেণীমাধব শীল অথবা মদনগুপ্তের হাফ/ফুল পঞ্জিকা। যা কিনা বাঙালির সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সাথে আষ্টে-পৃষ্টে জড়িয়ে। প্রতিবছর গড়ে বই মুদ্রণ ৭৫৫,৭৫৫ টি প্রায়। ২০১৭ সালে তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৩৯৯৪১১ টিতে। পরিসংখ্যান বলছে যতই ইবুক, ইন্টারনেট আর বৈদ্যুতিন মাধ্যমের ছড়াছড়ি হোক না কেন আজও প্রিন্টেড মিডিয়াম হিসাবে বই বেস্টসেলার।
'বই পড়া' প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী লিখেছেন, "যদি কোনো কিছুকে শখ হিসাবে নিতেই হয় তাহলে বই পড়াকে শখ হিসাবে নেওয়া উচিত।" এ কথাটি খুবই সত্যি কথা। বই যে শুধুমাত্র অবসর বিনোদনের সঙ্গী তা নয়। জীবনের দুঃখজনক পর্বে সকল বন্ধু হাত ছেড়ে গেলেও বই আমাদের এক এবং একমাত্র বন্ধু। যখনই জীবন আমাকে কোনো কঠিন দুঃখজনক অথবা বিরক্তিকর পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়েছে তখনই আমি আমার এই বর্ণমালায় গাঁথা কাগজের বন্ধুর কাছে আশ্রয় নিয়েছি। হতাশ হই নি। আজ মাঝবয়সে এসে জোর দিয়ে বলতে পারি জীবনে পাঠ্যপুস্তক যত না পড়েছি তার চেয়ে দশগুণ বেশি পড়েছি সিলেবাসের বাইরের বই। আর তাতেই এখনও মনের জানালা খোলা রাখতে পারছি।
আজও চোখ বুজলেই দেখতে পাই শীতের অথবা বর্ষার রাতে গুঁড়ি মেরে চাদরের তলায় ঢুকে ভূতের বা ডিটেকটিভ বই পড়া, সন্ধ্যেবেলা খেলার মাঠ থেকে দৌড়ে এসে পড়ার বইয়ের ফাঁকে চুপিসারে গল্পের বইয়ের পাতা উল্টানো অথবা দুর্গা পুজোর আগে স্কুল থেকে লম্বা পা ফেলে এসে পুজোসংখ্যাগুলো হাতিয়ে নেওয়া। বেশ মনে পড়ে ডিহি এন্টালির অদ্বৈত আশ্রম পাঠাগারের সেই পুরোনো কোণাটার কথা যেখানে বসে গোমরামুখো লাইব্রেরিয়ানের উপস্থিতিতে জানলার ঠিক বাইরে একটা মাত্র পাইন গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে আসা পড়ন্ত তেরচা রোদে 'জোনাথন লিভিংস্টন সি গাল' কিংবা 'ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক' এর পাতা উল্টে ঘুরে বেড়িয়েছি বরফ ঢাকা পাহাড় চূড়ায়, আগ্নেয়গিরির পেটের ভিতর, আমাজনের জঙ্গলে কিংবা সমুদ্রের গহীন গোপন অন্দরে। সেখানে বৃষ্টির দিনে সোঁদা মাটির গন্ধের সঙ্গে মিশে থাকে পুরোনো বইয়ের গন্ধ আমার প্রথম প্রেম আর এক পেয়ালা ধোঁয়া-ওঠা নস্ট্যালজিয়া।
(আমার প্রথম প্রেম, আমার নস্ট্যালজিয়া)
কশ্চিত্ কান্তাবিরহগুরুণা স্বাধিকারাত্প্রমত্তঃ
শাপেনাস্তঙ্গমিতমহিমা বর্ষভোগ্যেণ ভর্তুঃ
যক্ষশ্চক্রে জনকতনযাস্নানপুণ্যোদকেষু
স্নিগ্ধচ্ছাযাতরুষু বসতিং রামগির্যাশ্রমেষু।
তস্মিন্নদ্রৌ কতিচিদবলাবিপ্রযুক্তঃ স কামী
নীত্বা মাসান্ কনকবলযভ্রংশরিক্তপ্রকোষ্ঠঃ
আষাঢস্য প্র(শ)থমদিবসে মেঘমাশ্লিষ্টসানুং
বপ্রক্রীডাপরিণতগজপ্রেক্ষণীযং দদর্শ,,,,,
জন্মের কিছুকাল পর যখন ভালো করে চোখ ফোটে না তখন অন্নপ্রাশনের সময় মজার ছলে একটি লোকাচার করা হয়। বাচ্চার সামনে টাকা, পেন, বই, পুতুল প্রভৃতি সামগ্রী তুলে ধরা হয়। সেই সামগ্রীগুলির মধ্যে শিশু যা হাতে তুলবে তার ওপর পরবর্তীকালে শিশুর মানসিকতা নাকি বোঝা যায়। যদিও এটির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আমার অন্নপ্রাশনের সময় আমি ধরেছিলাম কালিদাস রচিত মেঘদূতম গ্রন্থটি। বইটির মলাটে আঁকা মেঘের আর বিরহী যক্ষের ছবি আমাকে চিরটাকাল প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। একটি ভালো বইয়ের মুদ্রণের কাগজ, প্রিন্ট আর মলাটও কিন্তু পাঠককে নিজের কাছে চুম্বকের মতোই টেনে আনার যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে।
পৃথিবীতে বইয়ের ইতিহাস খুব বেশিদিনের নয়। আজ থেকে প্রায় ছয়শো বছর আগে গুটেনবার্গ প্রথম বাইবেল নামক একটি বই মুদ্রিত করলেন। যা কিনা যে সে বই নয় আস্ত একটি ধর্মগ্রন্থ। এর আগে তালপাতা অথবা তুলট কাগজসহ নানা উপাদানের বই বা বই আকারের
পাণ্ডুলিপির চল ছিল। আর ছিল জ্ঞানের ফেরিওলারা। একটু আশ্চর্য শোনালেও বইছাপার মেশিন আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত ইউরোপে কিছু শিক্ষিত মানুষ পেশা হিসাবে ধনীমানুষদের বাড়িতে গিয়ে পাণ্ডুলিপি আকারের বইগুলি পড়ে শোনাতেন এবং এইভাবেই তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করতেন। আমাদের দেশের পটুয়াদের সাথে মিল পাওয়া যায় বেশ। লম্বা দু মানুষ সমান বা তারও লম্বা কাগজে ছবি এঁকে এঁরা পথে পথে গান গেয়ে পুরান, মঙ্গল কাব্যের গপ্পো ফেরি করে বেড়ান। ইন্টারনেট ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমের যুগে এঁরা ডোডো পাখির মতোই দুর্লভ। আমাদের জনদরদী সরকার অবশ্য নানান মেলার মাধ্যমে এঁদের জন্য প্রায় সংরক্ষণমূলক উদ্যোগ নিয়েছেন। তা যে কথা বলছিলাম, গুটেনবার্গের সময় ইউরোপে বই বা পুস্তক সংগ্রহের হিড়িক দেখা দিল। একটা বিপ্লব শুরু হয়ে গেল। এক লহমায় তিরিশটা স্কুলের সংখ্যা গিয়ে ঠেকলো তিনশোতে। সেই রকমই বৌদ্ধদের মধ্যে প্রাচীন গ্রন্থটির বয়স মাত্র ১১৫০ বছর। এটিতে বৌদ্ধ ধর্মের ভিত্তিতে 'ডায়মন্ড সূত্র' এর প্রিন্টেড ভার্সান আছে। আমাদের বাঙালিদের মধ্যে চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পদ সংকলন তথা সাহিত্য নিদর্শন। ১৯০৭ সালে পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার থেকে তা উদ্ধার করেন এবং আচার্য সুনীতি চাটুজ্জে মহাশয় তা গ্রন্থিত করেন। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পড়া হয়েছে যে বইগুলি সেগুলি হলো - বাইবেল, কোটেশন ফ্রম চেয়ারম্যান মাও সে তুং, হ্যারি পটার। সবচেয়ে বড় কাগজের বই "The Prophet Mohammad"। মাত্র দেড়শো বছর আগেও বাঙালী বুঁদ হয়ে থাকতো বটতলার বই নিয়ে। এটিকে আমরা জনপ্রিয় বা পপুলার কালচারের বিস্তার হিসাবে দেখতে পারি। ইউরোপীয়দের এদেশে পুস্তক বা বই প্রকাশের উদ্যোগকে দেখা যেতে পারে এলিটিস্ট করার প্রয়াস হিসাবে।এলিটিস্ট বা নাগরিক সাংস্কৃতিক উপাদানের একটি প্রধান অঙ্গ হিসাবে গ্ৰন্থপাঠ জনপ্রিয়তা লাভ করে। আজও বাঙালির ঠাকুর ঘরের তাকে ধর্মগ্রন্থ গীতার সাথে একই আসনে ভাগাভাগি করে থাকে গুপ্তপ্রেস, বেণীমাধব শীল অথবা মদনগুপ্তের হাফ/ফুল পঞ্জিকা। যা কিনা বাঙালির সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সাথে আষ্টে-পৃষ্টে জড়িয়ে। প্রতিবছর গড়ে বই মুদ্রণ ৭৫৫,৭৫৫ টি প্রায়। ২০১৭ সালে তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৩৯৯৪১১ টিতে। পরিসংখ্যান বলছে যতই ইবুক, ইন্টারনেট আর বৈদ্যুতিন মাধ্যমের ছড়াছড়ি হোক না কেন আজও প্রিন্টেড মিডিয়াম হিসাবে বই বেস্টসেলার।
'বই পড়া' প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী লিখেছেন, "যদি কোনো কিছুকে শখ হিসাবে নিতেই হয় তাহলে বই পড়াকে শখ হিসাবে নেওয়া উচিত।" এ কথাটি খুবই সত্যি কথা। বই যে শুধুমাত্র অবসর বিনোদনের সঙ্গী তা নয়। জীবনের দুঃখজনক পর্বে সকল বন্ধু হাত ছেড়ে গেলেও বই আমাদের এক এবং একমাত্র বন্ধু। যখনই জীবন আমাকে কোনো কঠিন দুঃখজনক অথবা বিরক্তিকর পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়েছে তখনই আমি আমার এই বর্ণমালায় গাঁথা কাগজের বন্ধুর কাছে আশ্রয় নিয়েছি। হতাশ হই নি। আজ মাঝবয়সে এসে জোর দিয়ে বলতে পারি জীবনে পাঠ্যপুস্তক যত না পড়েছি তার চেয়ে দশগুণ বেশি পড়েছি সিলেবাসের বাইরের বই। আর তাতেই এখনও মনের জানালা খোলা রাখতে পারছি।
আজও চোখ বুজলেই দেখতে পাই শীতের অথবা বর্ষার রাতে গুঁড়ি মেরে চাদরের তলায় ঢুকে ভূতের বা ডিটেকটিভ বই পড়া, সন্ধ্যেবেলা খেলার মাঠ থেকে দৌড়ে এসে পড়ার বইয়ের ফাঁকে চুপিসারে গল্পের বইয়ের পাতা উল্টানো অথবা দুর্গা পুজোর আগে স্কুল থেকে লম্বা পা ফেলে এসে পুজোসংখ্যাগুলো হাতিয়ে নেওয়া। বেশ মনে পড়ে ডিহি এন্টালির অদ্বৈত আশ্রম পাঠাগারের সেই পুরোনো কোণাটার কথা যেখানে বসে গোমরামুখো লাইব্রেরিয়ানের উপস্থিতিতে জানলার ঠিক বাইরে একটা মাত্র পাইন গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে আসা পড়ন্ত তেরচা রোদে 'জোনাথন লিভিংস্টন সি গাল' কিংবা 'ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক' এর পাতা উল্টে ঘুরে বেড়িয়েছি বরফ ঢাকা পাহাড় চূড়ায়, আগ্নেয়গিরির পেটের ভিতর, আমাজনের জঙ্গলে কিংবা সমুদ্রের গহীন গোপন অন্দরে। সেখানে বৃষ্টির দিনে সোঁদা মাটির গন্ধের সঙ্গে মিশে থাকে পুরোনো বইয়ের গন্ধ আমার প্রথম প্রেম আর এক পেয়ালা ধোঁয়া-ওঠা নস্ট্যালজিয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন