পৃষ্ঠাসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

জয়তী রায়

                            

অর্ধনারীশ্বর

                                                 

 

             " অতি দর্পে হত লঙ্কা বুঝলি ছোটো। দ্যাখ বাপু,  আমি যা  বলি মুখের ওপর বলি, সেই জন্য মেজো গিন্নী খারাপ। বলি সুন্দরী মেয়ে, বিদুষী মেয়ে নিয়ে এতো আদিখ্যেতা! লাভ হলো কিছু?"

 : বিয়ের সময় এতো খরচ দেখে তো চোখ কপালে উঠে গেলো গো। ভীতু ছোট বৌ চিমটি কেটে বললো।

 শ্ৰী  আমাদেরও মেয়ে। আমাদের  দুটো করে ছেলে।  মেয়ে বলতে তো ঐ একমাত্তর। কিন্তু  বড়ো গিন্নী সে কথা বুঝলে তো?
 খরখর করে ওঠে মেজো গিন্নী।

:মেজদি গো। নামেই রায় পরিবার যৌথ পরিবার । আসলে  দীপময়ীর হিটলার রাজ চলে এখানে। বড়দার রোজগার বেশী, বড়দার  টাকায় সংসার চলে। তার মেয়ের বিয়ে. খরচা হবে না? এদিকে আমার ছেলেটা  এম বি এ করবে বলে এক লাখ চাইলো। বড়দা সোজা না করে দিলেন। ফোঁস নিশ্বাস ফেলে এদিক ওদিক চেয়ে ভীরু স্বরে ছোট গিন্নী বলে।

বড়দা মানা করেছে? বড়দা মানা  করার লোক? চাবি ঘোরান আমাদের বড়ো গিন্নী। কাউকে তোয়াক্কা করেন না উনি। এখন? । হলো তো? হলো? ঐ মুখ আর কাউকে দেখাতে হবে না!

 আহা! শ্রী আমাদের বড়ো ভালো মেয়ে গো মেজদি। কোনোদিন উঁচু গলায় কথা বলেনি । রূপে লক্ষী গুণে সরস্বতী। মা বাবার পছন্দ করা পাত্রকে এক কথায় বিয়ে করে নিলো। তার কপালে এই ছিলো। আহা!

****

ডাক্তারবাবু কে প্রথম দিন থেকেই পছন্দ হয়নি দীপময়ীর। চশমার ওপারে  দুটো ঝকঝকে  চোখে  চাপা কৌতুক খেলা করছে । সবজান্তা এক ভাব। স্বভাব গম্ভীর দীপময়ীর অস্বস্তি হয়। ঘরে থাকা মানুষ তিনি। মেয়ের জন্য আসতেই হলো। স্বামীকে  একলা  ছাড়তে ভরসা পান না। অতি ভালোমানুস স্বামীকে নিজের ভাইরা ই ডাহা ঠকাচ্ছে, সব বুঝেও চুপ করে থাকেন স্বামী। ভাইদের পুকুরচুরি দেখে দুঃখ করে বলেন:  একদিন ওরা বুঝবে। ।  বাড়ি  সম্পত্তি একলা ভোগ করে কোনো সুখ নেই। ।। কেমন আশ্চর্য বিশ্বাসে কথা গুলো বলে যেতেন পরিবারের বড়ো ছেলে। অথচ তার গোচরে আছে দুই ভাইয়ের বানানো অভাবের কথা,তাদের গোপন শেয়ার খেলার কথা, তারা যে তাকে বোকা ভাবে সেই কথা-- সব বুঝতে পারেন শ্রীর বাবা।  মনে মনে হাসেন। সঙ্গে যাবে তো কিছুই না। তবে ?

    : দেখুন মিসেস রায়। আপনার মেয়ে চুপ করে গেছে। খাচ্ছে না। বমি করছে। শুন্য চোখে তাকিয়ে আছে। এটা এক ধরণের অসুখ। আপনারা যদি এমন অস্থির হয়ে যান তবে তো মুশকিল!

    দীপময়ী অবাক। অস্থির হবেন না? একে তো মনের ডাক্তারের কাছে আসেননি কোনোদিন । কোন দুঃখে আসবেন পাগলের ডাক্তারের কাছে! কিন্তু এ ছাড়া উপায় কি? ননদ বললো: মনের ডাক্তার মানে পাগলের ডাক্তার নয়। এখন এই সব অসুখ ঘরে ঘরে। উনি আমাদের চেনা। যাও একবার।

 ঝুলে পড়া মুখ স্বামীর, সরল মিষ্টি মেয়ের উদভ্রান্ত চোখ নিজের ভেতরের তুমুল ঝড় বাধ্য হয়ে আজ কদিন ধরে এই সব অদ্ভুত প্রশ্ন আর তার উত্তর দিয়ে চলেছেন

  :মেয়ের দু বছর বিয়ে হয়েছে তাই তো! হাজার বার দেওয়া উত্তর আরো একবার

-- দুবছর দশ দিন।'

--- খোঁজ নিয়েছিলেন সব কিছু? খোঁজ নেবেন না দীপময়ী? তার একমাত্র মেয়ে। সুন্দরী। মিষ্টি নরম স্বভাব। ইতিহাস অনার্স। ঘরোয়া।  মোটে বাইশ বছর বয়স। খোঁজ কেন নেবেন না?  অনিরুদ্ধ গর্ব করে বলার মতো জামাই। আইআইটি খড়গপুর। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। । এক মাত্র ছেলে । বাবা নেই। মা আছেন।  লোক লাগিয়েছিলেন। পাড়ায় ভীষণ সুনাম। সব খোঁজ নিয়েছিলেন।

---- বিয়ের পর কখনো কিছু মনে হয় নি মা তোমার?চশমার ওপর থেকে শানিত চোখ ঝোলা গোঁফ চকচকে মুখের ডাক্তার প্রশ্ন করলো শ্ৰীকে। এবং তারপরেই আচমকা দীপময়ী কে আদেশ করলেন যেন--- আপনি চেম্বারের বাইরে গিয়ে বসুন।"

--- মানে? ও পারবে নাকি আমি ছাড়া?

----- আপনার এমন ধারণা কেন মিসেস রায়? যে আপনাকে ছাড়া পরিবার চলবে না? সবাইকে হাতের মুঠোয় রাখার মধ্যে একটা বিকৃত আনন্দ কাজ করে জানেন তো? আপনারও দরকার নিজেকে জানার। মনের অন্ধকার গুহায় বসে আছে প্রাচীন শাসক। যান বাইরে গিয়ে বসুন। চারদিন ধরে সিটিং চলছে মেয়ের। একটি কথাও সে বলেনি। আজ দেখা যাক। যান আপনি।

টকটকে লাল হওয়া মুখে মাথা নিচু করে বাইরে চলে যায় দীপময়ী না এক শাসক কে জানে? ডাক্তার এবার সুন্দর হাসেন। সামনে এক বিষণ্ন জুঁই লতা। আহা। কতদিন জল পড়েনি। কতদিন জুঁই লতায় পুরুষের আঙ্গুল বৃষ্টি হয়ে ঝরেনি! কবে যে যৌনতাকে সহজ ভাবে নেবে মানুষ? কে জানে? যৌনতা অনিবার্য। মন বাঁচেনা নাহলে। মনে পড়লো সেই সন্ন্যাসীর কথা। যাকে শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতে হয়েছিল হস্ত মৈথুনের কথা।

----- আমাকে আয়না ভাবতে পারো। অথবা বাথরুম। খুলে ফেলো নিজেকে। বলো শ্রী। সুন্দর নাম। ঠিক তোমার মতো।   আয়না অথবা বাথরুম? সেখানেও কী বলা যায় সব কিছু? দুবছর বিয়ে হয়েছে। অনিরুদ্ধ বিয়ের ছয়মাস পর থেকে হয়ে উঠছেএকটু একটু করে  এক অচেনা মানুষ। রাত নামলে ভয় করতো। সহ্য করা তার স্বভাব। তার সঙ্গে মনে পড়তো তাদের জমজমাট যৌথ পরিবারের কথা। শ্ৰী মায়ের গর্ব। সেই গর্বে   আঁচড় ফেলবে সে?  মা বাবার মাথা নিচু হয়ে যাবে না? যদি সে বাড়ি ফিরে আসে? অনিরুদ্ধ তীব্র আপত্তি তার বাপের বাড়িতে থাকা নিয়ে।  সবাই ভাবতো জামাই কত ভালোবাসে শ্ৰী কে। 

--- বলো শ্রী। তোমাকে আদর করতো অনিরুদ্ধ? কেঁপে উঠলো শ্ৰী। এ কেমন প্রশ্ন? সে আধুনিক নয় মোটেও। বিয়ের আগে কোনো পুরুষ ছোঁয়নি তাকে। কেবল একবার এক দুপুরে ছাদের চিলেকোঠার ঘরে মাসীর ছেলে মুগ্ধ চোখে তার গালে হাত ঠেকিয়েছিলো। সেটা কেন জানি না পাপ জেনেও আজন্ম লালন করে চলেছে বুকের ভেতর।

--- আদর করতো?ডাক্তার না আয়না প্রশ্ন করলো আবার। মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলতে আবার প্রশ্ন

--- ভালো লাগতো তোমার সেই আদর?বাইরে কি বৃষ্টি হচ্ছে? এসি রুমে বোঝা যাচ্ছে না। কটকটে গরম ছিলো। বৃষ্টি পড়ছে নাকি? শীত করছে তার।

--- ভালো লাগতো আদর? তোমার অর্গাজম হতো? পরতে পরতে খুলছে রহস্যের পাতা। শ্রীর চোখ দিয়ে জল পড়ছে এখন। কি হতো সেই সময়? পুরুষের চোখের সামনে শরীর উন্মোচন হলো যখন ঝকঝকে আলো  জ্বলতো ঘরে। অনুনয় করেছিল আলো না জ্বালাতে। শোনেনি অনিরুদ্ধ। আদর ভালো লাগতো কিনা? লোভী শেয়ালের থাবার নীচে জ্যান্ত মুরগীর অর্গাজম হয় ? কে জানে? ডাক্তারের মাথার পেছনে সাদা দেওয়ালে একটা মাকড়সা, দ্রুত  বুনছে জাল।

 ডাক্তারের ঠোঁট নড়ছে। আবার প্রশ্ন? কী বলতো অনিরুদ্ধ?

       শ্ৰী। তুমি চিংড়ি পটল খাবে? আমি রান্না করবো? আরে রান্না করতে আমার দারুণ লাগে। তুমি রান্না ঘর ছাড়ো। সাজ গোজ করো। রান্না আমি দেখবো। "

   --- শ্ৰী শাড়ি পরো । শাড়িতে তোমাকে সবচেয়ে সুন্দর লাগে। এই শাড়ি ? না না তুমি এই হলুদ রং টা পরো । আরে আরে শ্ৰী। দাঁড়াও দাঁড়াও। আমি পরিয়ে দিচ্ছি তোমাকে শাড়ি। তোমার ব্লাউসের মাপ কতো শ্ৰী? 

  স্বামীর দখল ভাবতো শ্রী । তখন কিছুই বোঝেনি। তাকে রোজ ভোগ করতো জন্তুর মতো। আবার তার  প্রত্যেকটি ব্যাপারে খেয়াল রাখতো। যত্ন করে নেলপলিশ পরিয়ে দিতো। চুল আঁচড়ে দিতো।  শ্রীর সারা শরীরে ক্রীম মাখিয়ে দিতো। তখন যেন স্বামী নয়। পুরুষ নয়। মেয়েলী সখী।

     ডাক্তার ঝুঁকে এলেন শ্রীর মুখের সামনে --- জানো মা। মানুষের মনের গভীরে আছে এক গভীর গোপণ মন। সে সমাজে থাকে। পড়ে শোনে বিবাহ করে । কিন্তু তার মনের গোপণ অন্ধকারে পড়ে থাকে অন্য আর একজন। সম্পূর্ণ আলাদা একজন। অন্ধকার ঠেলে সে বেরিয়ে আসে মাঝে মাঝে। তাই না শ্ৰী?

     রাত যেন দাঁত বার করে এসে দাঁড়াতো রোজ। শ্ৰী ভয় পেত রাতকে। মনে হতো ছুটে পালিয়ে যায় মায়ের নিশ্চিন্ত কোলে। ঘুম হতো না। অনিরুদ্ধ অফিস থেকে এসে চা খেত। রোজ হয় ফুল নয় আইসক্রিম চকলেট। শ্বাশুড়ী মা স্নেহের চোখে তাকাতেন। কেউ নেই সংসারে। মা ছেলে আর অপর্যাপ্ত অর্থ। শ্বাশুড়ী মা বলতেন -- আমার একটা নাতনী চাই শ্ৰী। নাতি নয়। নাতনী। মেয়ের বড়ো শখ ছিলো আমার। কিন্তু এতো কম বয়সে উনি আমাকে ছেড়ে চলে গেলেন। আরো একটা সন্তান এলো না জীবনে। ।  শ্বাস ফেলতেন শ্বাশুড়ী।

       চেম্বারের জানলা গুলো এমন বন্ধ কেন? এসি চলছে তবু গরম ?এতক্ষন  ঠান্ডা বেশী ছিলো?  আবার গরম লাগে কেন?

---- বলো শ্ৰী । তুমি কিছু বলতে চাইছো। বলো। যা তুমি মা কে বলোনি। কাউকে বলো নি। আমাকে আয়না ভেবে  বলো।

 কোন দূর গ্রহ থেকে ভেসে আসে ডাক্তারের স্বর।  কেন এলো এই চেম্বারে সে জানে না। সারাজীবন মা যা বলেছে তাই শুনেছে সে।  মা বললো তাই এলো। কিন্তু কি বলবে সে। কোথা থেকে শুরু করবে? সেই রাত থেকে?

   এক রাতে অনিরুদ্ধক অদ্ভুত আচরণ শুরু করে। সুন্দর সাজানো শোবার ঘর। পর্দা থেকে শুরু করে খাট মেঝের কার্পেট সব নিখুঁত। খেয়ে এসে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে, হাতে হাত ঘষতে থাকে। ঠোঁট চেটে চেটে পায়চারী করতে করতে অদ্ভুত হাসি  হেসে বলে-- আজ পটলের তরকারী কেমন বানালাম বললে না তো?

---- তুমি  ভালোই রান্না করো সব কিছু।"

---- রান্না করতে আমার দারুণ লাগে শ্রী। জানো তো আমি কিন্তু ম্যাজিক জানি। 

-----ম্যাজিক? "অবোধের মতো সরল চোখ তুলে প্রশ্ন করলো শ্রী। এমনিতেই রাত হলে তার ভয় বাড়ে। কি সব নতুন নতুন খেলা খেলে তার শরীর নিয়ে অনিরুদ্ধ। তার একদম ভালো লাগেনা। ঘেন্না করে।  এরপরে আবার ম্যাজিক? 

খিক খিক করে হাসতে হাসতে অনিরুদ্ধ শুরু করে ম্যাজিক। ধীরে ধীরে পোশাক মুক্ত করে নিজেকে। তারপর সাজতে থাকে। ব্লাউজ, শাড়ী গয়না, কাজল টিপ মায় আলমারির গোপণ জায়গা থেকে নকল চুল পর্যন্ত। শ্ৰী হতভম্ভ। এ কি হচ্ছে? বিয়ের প্রায় দু বছর হতে চললো। অনিরুদ্ধের মেয়েলী কাজকর্মে উৎসাহ দেখে সে ভেবেছিল ছোট থেকে কেবল মার সঙ্গে আছে তাই হয়তো এই সব কাজ জানে। কিন্তু এটা কি?

    লিপস্টিক লাগানো বীভৎস ঠোঁট নিয়ে শ্রীর একেবারে কাছে এসে অদ্ভুত ন্যাকা সুরে অনিরুদ্ধ বললো---" আমি কিন্তু নারী নই মোটেও। আমি পুরুষ। কিন্তু আমার মা, ছোটবেলা থেকে আমাকে মেয়ে সাজাতে ভালোবাসতো। মেয়ের মতো করে সব বোঝাতো। মেয়েলী গল্প করতো। এখন আমারো ভালো লাগে। শ্রী যখন আমি এরকম মেয়ে সাজবো তুমি সাজবে পুরুষ। আমারা প্রেম করবো। মজা হবে খুব বলো খুব মজা। খুব মজা। কদাকার হাসি ভেসে বেড়াতে লাগলো ঘরটায়। মাথা ঘুরে গেছিলো তার। কিছু মনে নেই। প্রায় দশদিন এই নারী ভাব ছিল অনিরুদ্ধর। একদিন ঘুঙুর পায়ে নেচেও উঠেছিল।  পাগল হতে হতে মা কে ফোন করে বলেছিলো --- আমাকে নিয়ে যাও।

ডাক্তার চুপ । শ্রীও চুপ। ঘর গুমোট। আসলে শ্রী আরো বলতে চাইছিলো। চাইছিলো যে মা কিন্তু তাকে আনতে চায়নি। খুব অহংকারী তার মা দীপময়ী। তিনি কিছুতেই বুঝতে চাইছিলেন না। নিজের সম্মান নষ্ট হবে, এই ভাবনাতে অস্থির ছিলেন তিনি। বাবা পাশে না দাঁড়ালে এই ডাক্তারের কাছে আসা হতো না আজ। মা র আচরণে আঘাত আরো তীব্র হয়ে বেজেছিল। আরো চুপ করে গেছিলো সে। আজ কেমন করে ইনি আগল খুলে দিলেন। কেমন মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। কতদিন ঘুমোয় নি শ্ৰী। চোখ বন্ধ হলেই লিপস্টিক লাগানো  ঘুঙুর পায়ের পুরুষ সামনে ঘুরে ঘুরে নেচে উঠতো। অথচ আজ চোখ ভারী হয়ে আসছে। সে ঘুমোতে চায়।

  গ্রহান্তর থেকে ভেসে আসে ডাক্তারের গলা----" অনিরুদ্ধ পুরুষ। তাকে নারী বানিয়ে খেলতো তার মা। ধীরে ধীরে একটা মজা পেতে পেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে বেচারা। পুরুষ নারীর টানাপোড়েনে অনিরুদ্ধ তোমার চেয়েও বেশী অসহায় শ্ৰী।  অর্ধনারীশ্বরের এই জীবন থেকে ওকে মুক্ত করা উচিত শ্ৰী। তুমি পারবে না একটা অসহায় বন্দী মন কে অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরিয়ে আনতে?"

    বন্ধ জানলা ভেদ করে পাহাড়ের শীতল হাওয়া যেন ঢুকে পড়লো ঘরে। একবুক আরাম। এক বুক প্রশান্তি নিয়ে চোখ খুললো শ্ৰী। সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললো --- পারব।



২টি মন্তব্য: