পৃষ্ঠাসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

নীলাদ্রি দেব

                                                   


                


  
এই সপ্তাহের কবি নীলাদ্রি দেব।জন্ম ১৪এপ্রিল, ১৯৯৫ কোচবিহার (পশ্চিমবঙ্গ)।শারীরবিদ্যায় স্নাতক৷যুক্ত আছেন শিক্ষকতায়৷
কবিতাবই- ধুলো ঝাড়ছি LIVE, জেব্রাক্রসিং ও দ্বিতীয় জন্মের কবিতা, এবং নাব্যতা. 
সহ সম্পাদিত পত্রিকা- ইন্দ্রায়ুধ, বিরক্তিকর

ডায়েরি 

নীলাদ্রি দেব 

এক. 
চৈত্রে হাওয়া ছোটে খুব. ধুলো ওড়ে, শুকনো পাতা. এলোমেলো একটা জীবন আরেকটু বেঁধে, গুছিয়ে রাখতে চেষ্টা করি. কিন্তু... এরপরও আলোর অধিকাংশ জুড়েই অন্ধকার. কত ছবি তৈরি হয় রোজ. ছায়া বাড়ে, ছায়া কমে. নিজস্ব ছায়া. যা বইতেই হয় অভ্যেসবশত.  

দুই. 
কত নিঃশব্দ পথ পেরিয়ে যাচ্ছি 
মুখোমুখি বলতে না পারা কথারা 
                    ভিড় করে আসছে 
নিচু হয়ে আসছে মেঘের মতো 
আর শাদা কালো জুড়ে 
   গলে যাওয়া মুখোশ, না মেলা অঙ্ক 

আমি কি আমার ভেতরে নিথর 
আমি কি ভাসছি আশ্চর্য আকাশ 

প্রমাণ আয়তন তুলো টেনে নিচ্ছে 
               যাবতীয় নির্মাণ কৌশল

তিন. 
রঙ, রোদ মিলেমিশে একটি সামান্য 
                                 যাত্রাবিরতি
স্তব্ধতারও ডাকনাম থাকা আবশ্যিক 
অথচ আলাপ, স্পর্শহীন দুপুর 
কার্নিশে বোগেনভেলিয়া ছড়িয়ে আছে 
 ফড়িঙের ডানায় সামান্য জীবনের ছায়া

চার.
দরজা বন্ধ করে দিন 
আলো ও আলোর টান এক নয় 
আপাতত দূরত্ব বজায় রাখতে শিখুন 
বিধি ও নিষেধের মাঝে হাইফেন 
সুতরাং ব্যক্তিগত জীবনের ওপর 
                          রাষ্ট্রীয় থাবার ছায়া

পাঁচ. 
সবটা বিক্রি হয়ে গেলে আপনার ঘুম পাবে
মালিকানাহীন জীবন বয়ে বেড়াচ্ছেন 
অথচ বিশ্বাস করছেন না 
        মালিকও মৌলবাদের পাঠ দেন 
আপনি নাইটগাউন খুলে রেসমাঠে এলেই 
  সমস্ত ঘোড়া ফিনিশিং লাইনের দিকে দৌঁড়োবে
জকির চোখের পলকে খসে যাবে টুকরো জীবন

ছয়. 
খসে যাচ্ছে পলেস্তারা, পুরনো শেকড় 
অবশিষ্ট কঙ্কাল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কেউ 
অস্তমিত সূর্যের হাসি দেখছে ওর ঘুলঘুলি
অ্যান্টেনার পূর্ব পশ্চিম থাকে 
উঠোনের নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধ 
তবু তুলসীমঞ্চে আলো জ্বালানোর কেউ নেই
এমন একটি আবহাওয়ার শেষে 
                  ভুল করে সিন্ডিকেট লিখে আসি 

সাত. 
গুহাচিত্রের পাশে কোনও প্রবেশ বা বাহিরপথ 
                                               লেখা ছিল না
অতএব গুপ্তঘাতক বিষয়ে রচনা লেখা হয়নি 
মাছের চোখ নিয়ে ততটা আগ্রহী নয় বুলেট 
শার্টটা ইন করে নিন 
কবির আস্তিনে বারুদ রাখা কবে বেআইনি হয়েছে!
রাজনৈতিক পতাকার নিচে 
                        নীল জলওলা বোতল বেঁধে রাখুন
যতিচিহ্ন ঠিক করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলবেন না
                                                           শিরোনাম

আট. 
গাছে ফুল এলেই বা কী, না এলেই বা! 
পত্ররন্ধ্র একটি গোপন আস্তানা 
ডোরবেল ও ডোরম্যাট-এর পর লম্বা করিডোর 
পেছনের বারান্দা, বাগান পেরিয়ে ডুয়ার্সের ঝোরা 
বয়ে যাওয়া জলস্রোতের পর শ্মশান 
শ্মশানের তীব্র চতুর্ভুজে শ্যাওলা লেগে আছে
এভাবেই সমস্ত শুরু ও শেষের মাঝে সাঁকো I 
                                              কোন সেতু নেই I

নয়. 
আপাতত কথা বন্ধ থাক 
বিস্তারিত খবরের চক্করে ব্রেকিং নিউজকে 
                               অস্বীকার করবেন না
হ্যারিকেনের আলো পড়ে এসেছে, বললে... 
       টাইম মেশিন বিষয়ক সেমিনার শুরু হয় 
এসব প্রতিবর্ত কাজ
সহজাত 
কিন্তু ঐ যে সুতো গুটিয়ে রেখেছেন, 
    একবার খুলে দিলে খেলা বদলে যেতে পারত
যদিও টস একটি অজুহাত 
পিচের পাশে ঘাস ক্রমে দীর্ঘ হচ্ছে, শ্বাসও 

দশ. 
এলোমেলো অক্ষরের শেষে 
                  বন্ধনীকে বন্ধ করবেন না 
সূত্র ধরে সব অংক মেলে না 
যা থেকে যায়, 
    অন্য একটি জটিল সমাধানের সুতো
বা সুতোর একক



1 টি মন্তব্য: