পরাজিত
..............
আলিপুর ছুঁয়ে
ছোপ লাগা ইমারত ছুঁয়ে
যে মায়াজাল খবর লাফিয়ে নেমেছে
আমরা অন্ধ হয়ে তার নরমে ঘুমিয়ে পড়েছি।
আমাদের কোনো জন্ম নেই
আমাদের কোনো মৃত্যুও নেই।
আমরা কদাচিৎ ভোরের আকাশে চাঁদ উঠলে
থমকে যাই
লিঙ্গ চেপে ধরে হ্যারিকেনের পোষা আগুনকে
খিস্তি চেনাই।
পরাজিত দের কেউ মনে রাখে না!
মনখারাপ
...............
ধীরে ধীরে দিকশূন্যপুর ছুঁলো
শেষ বিকেলের নৌকো
আমি গৃহী খরগোশের মতো নেমে আসা
কুয়াশায়
মনখারাপ খুঁজি।
শ্রাবণ ১
........
আমার নিজের কোনো ঘর নেই।
আমার আমি ছাড়া নিজের কোনো মানুষও নেই।
তাই এই ভরা শ্রাবণেও
আমি তোমার অন্বেষণে -
হয়তো প্রাপ্তিতে মেঘ মেঘ
এক কাপ অন্ধকার কফি
অথবা
প্রগাঢ় এক চুম্বন।
আমার ইট কাঠ কয়েদ অন্বেষণের নেশামুক্তির জন্য
এটুকু বিষ প্রয়োজনীয়!
শ্রাবণ ২
............
এই বিন্দু বিন্দু অসময়ের ভাললাগা তোমায় দিলাম।
আমার তো সারাজীবনই শ্রাবণ মাস ...
বিবর
........
তোমায় দেখে ফুচকা ভাঙার মতো
একটা কুড়মুড়ে শব্দ হয় বুকের ভিতর।
অকারণে রুমাল খুঁজি
শুকিয়ে আসা ঠোঁটের উপর বুলিয়ে দিই
চেরা জিভের বিবর।
জড়ফুল
.............
চলে যাবার সময় হলে
তোমার মতোই ফিরে তাকাবো না।
শূন্য থেকে যাওয়া ঋণের পাত্র
ফোঁটা ফোঁটা জল -
বাহুল্যপ্রবাসে মরুপথে জড়ফুল ।
বানপ্রস্থ
............
আমি এখন একাই পাখি দেখি
দেখি ওদের ডানা ঝাপটানো
দু ' একটা পালক পড়ে থাকতেও দেখি
আর দেখি
বাসায় ফেরার পুরনো গল্প -
একটা ফুরফুরে বিকেল ।
সবকয়টি লেখাই ভালো আর তার মধ্যে শেষেরটি বেশি ভালো।
উত্তরমুছুন