পুনর্মিলন
মা মারা যাবার পর অতনু তার বাবা নীরেনবাবুকে গ্রামের বাড়ীতে একা রাখবে না বলে, নিয়ে আসে তার কলকাতার ফ্ল্যাটে। যদিও পর্যাপ্ত জায়গা আছে তবু তাঁর ব্যবস্থা হয় এককোণের ছোট একটা ঘরে। এসবই সীমা করে তার মায়ের পরামর্শে। সীমাকে সর্ব ব্যাপারে চালনা করেন তার মা। অতনু শান্তিপ্রিয় মানুষ, গ্রামের সাদাসিধে মানুষেরা যেমন হয়, এ নিয়ে কোনো ঝামেলা সে করে না, চুপচাপ মেনেই নেয়। বস্তুত দু'জনের দশবছরের সংসার হলেও ওদের দু'জনের জগৎ সম্পূর্ণ আলাদা, কেবল শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। ভালবাসা? ছিল প্রথমে, সীমার মায়ের দাক্ষিণ্যে তা আজ পাখা মেলেছে। প্রথম থেকেই সীমার মায়ের মত ছিল না গ্রামের ছেলে অতনুর সঙ্গে তাদের মেয়ের বিয়ে দিতে। কিন্তু, সীমার বাবার আন্ডারে কাজ করার সময় থেকেই অতনুকে ওনার চোখে পড়ে, মনেও ধরে। আর তাঁর একমাত্র মেয়ের জীবন যে তার মায়ের মতোই চলবে যেটা যে কেউ মেনে নেবে না তাও উনি জানতেন। তাই এমন এক ছেলেই যে সীমার জন্য উপযুক্ত তা তিনি বেশ বুঝেছিলেন এবং প্রায় নিজের মতের জোর খাটিয়েই তিনি অতনুর সঙ্গে সীমার বিয়ে দেন, স্ত্রীর প্রবল আপত্তি অগ্রাহ্য করে। সীমার মায়ের ইচ্ছে ছিল সোসাইটির উঁচুতলায় মেয়ের সম্বন্ধ করার যা তিনি প্রচুর চেষ্টা করেও পারেননি।
অতনু কানপুর আইআইটির ইঞ্জিনিয়ার, বিদেশী ফার্মে চাকরী করে, তার মধ্যে আজও গ্রাম্য সরলতা বিদ্যমান যা আজকাল এককথায় বিরল বলা চলে। এমন একটি ছেলের কাছে যে মেয়ে সুখে থাকবে এ সীমার বাবার দৃঢ় বিশ্বাস, তিনি অতনুকে কেবল অনুরোধ করেন যাতে সীমাকে গ্রামের বাড়ীতে সে না নিয়ে যায়। অতনু রেখেছে সে কথা, নিজে গেছে, বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হিসাবে দায়িত্ব কর্তব্য সে করে এসেছে চিরকাল, সেখানে কোনো ত্রুটি সে রাখেনি। তবে বিয়ের পর বাবা-মাও আর কখনও আসেননি কলকাতায় তার ফ্ল্যাটে। অতনুও আনেনি তাঁদের। বোঝে দুই-পরিবারের মধ্যে আকাশপাতাল ফারাক, সেখানে তার বাবা-মাকে এনে অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলতে চায়নি সে। তবে ফারাক হলেও নিজে গেছে সে মাঝেমধ্যে শ্বশুরবাড়ি নিমন্ত্রণ পেলে। শ্বশুরমশাই তাকে অত্যন্তই স্নেহ করতেন তাই সেখানে তার যত্ন আপ্যায়নের ত্রুটি ছিল না। কিন্তু সেই মানুষটা চলে গেলে সে বোঝে তার শাশুড়ি তখনও তাকে তুচ্ছজ্ঞান করেন গ্রামের ছেলে বলে। এতদিন শ্বশুরমশাই থাকায় সেটা বোঝাতে পারেননি, যা প্রকট হয়ে ওঠে।
এর মধ্যে ওদের একটি সন্তানও হয়েছে, অরিত্র। সন্তানকে ঘিরে সীমা-অতনুর কত খুশীর দিনও কেটেছে কিন্তু সীমার বাবা মারা যাবার পর ওর মা সীমার ওপর আধিপত্য চালান বড় বেশী। মায়ের হস্তক্ষেপে ওদের সম্পর্ক ক্রমে খারাপ হতে থাকে মানসিকভাবে। সীমা মায়ের সঙ্গে যখনতখন রাতে পার্টিতে চলে যেত বাচ্চাকে আয়ার কাছে রেখে যেটা অতনু মেনে নিতে পারত না কিন্তু অশান্তি করবে না বলেই সে চুপ করে থাকত। ক্রমে ওদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব বাড়তে থাকে। আর নাইট ক্লাবে যাওয়া, পার্টিতে যাওয়া করতে করতে সীমা একটু একটু করে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে লাগল, রাতে প্রায় টলতে টলতে বাড়ী ফিরত। লা মার্টিনের ছাত্রী, প্রেসিডেন্সির অনার্স গ্র্যাজুয়েট, সে তখন একজন সোসাইটি মহিলা।
ছোট্ট অরিত্র রাতে শোবার সময় মাকে কাছে পেতে চাইত, বায়না করত, শেষে জলভরা চোখে আয়ামাসির কাছেই ঘুমাত। বাবাও রাতে ফিরতেন বলে বাবাকে তেমন কাছে পেত না আর তাই দাদু এলে দাদুকে ভীষণভাবে আঁকড়ে ধরে সে। দাদুও নাতির সঙ্গে মহাখুশীতে থাকতেন। ছেলে সারাদিন ব্যস্ত, সীমা তার নিজস্ব সমাজ নিয়েই থাকতে পছন্দ করত। নীরেনবাবুর প্রথম প্রথম নিজেকে একটু অবাঞ্ছিত মনে হত, পরে ছোট্ট অরিত্র ওর দাদুর শুষ্ক মরুভূমিতে সাহারা হয়ে উঠেছিল। অবসরে দাদুর কাছেই থাকত অরিত্র, দাদুর সঙ্গে খেলা, দাদুর কাছে গল্প শোনা, অরিত্র মায়ের অভাব ভুলতে শুরু করল। স্কুল থেকে ফিরে সব কথা তার দাদুর সঙ্গে, দাদুর কাছে সম্পূর্ণ মেলে ধরত সে নিজেকে অনায়াসে, যা এতদিন সে কারও কাছে করতে পারেনি। ছোট্ট ছোট্ট হাত-পা নেড়েচেড়ে নাতি যখন কলকল করে দাদুর সঙ্গে গল্প করত, দাদুর মনে হত তাঁর জীবনে আর কিছু পাওয়ার বাকী নেই, তিনি যেন এক সব পেয়েছির দেশে পৌঁছে গেছেন। এক বৃদ্ধ আর এক শিশুর বন্ধুত্বে বাড়ীটা তখন খুশীর আলোয় ঝলমল করে উঠত। নাহলে প্রথমদিকে গ্রামের মানুষ নীরেনবাবু ছেলের বাড়ী এসে, ওদের জীবনযাত্রা দেখে থতমত খেতেন। বিশেষ করে বৌমা সীমার হালচাল সম্বন্ধে তিনি কিছুই অবগত ছিলেন না। অবাক হয়ে সব দেখতেন কিন্তু কিছু বলতেন না। বুঝতেন তাঁর কোনো বক্তব্যের সেখানে কোনো মূল্য নেই তবে ছেলে অতনু যতটুকু পারত বাবাকে সময় দিতে চেষ্টা করত।
এভাবেই চলছিল জোড়াতালি দেওয়া সম্পর্ক। দু'জনে দেখাই কম হয়, সীমা বাড়ী ফেরে প্রায় মাঝরাতে নেশাগ্রস্ত হয়ে, ততক্ষণে অতনু গভীর ঘুমে। ওদিকে রাত করে ফেরার জন্য সে লেট-রাইজার। ঘুম থেকে উঠে দেখে অতনু, অরিত্র বেরিয়ে গেছে। অতনু অফিস যাবার পথে অরিত্রকে স্কুলে ছেড়ে দিয়ে যায় রোজ আর সারাটা রাস্তা অরিত্র বকবক করতে থাকে। কত কি যে ওর বলার থাকে বাবাকে, আর অতনুও বেশ উপভোগ করে সেটা। ছুটির সময় ড্রাইভার বাড়ী নিয়ে আসে অরিত্রকে, তখন সীমা হয়তো বা শপিংএ কিংবা পার্লারে অথবা কোনো বন্ধুর বাড়ী, এই ছিল ওদের রোজনামচা। একরাতে সীমা বোধহয় একটু বেশিই মদ্যপান করে ফেলেছিল তাই মা তাকে সঙ্গে করে ওপরে ওর সাততলার ফ্ল্যাটে পৌঁছতে আসেন। আয়া দরজা খুলে দিতেই ঘরে ঢুকে সে পড়ে যায়। এতে একটু জোরে কথাবার্তায় নীরেনবাবু ঘুম ভেঙ্গে বেরিয়ে এসে বলে ফেলেন, "একি বৌমা, ছি ছি"। ব্যস আর যাবে কোথায়? সীমার মা তো রেগে আগুন, নীরেনবাবুকে যথেচ্ছ অপমান করেন, একটা হেস্তোনেস্ত করেই তিনি ছাড়বেন। এই 'গেঁয়ো ভূত'কে না তাড়ালে তাঁর শান্তি নেই।
এরপর অতনুও উঠে আসে ঘুম ভেঙ্গে। তার বাবার অনেক অবহেলা, অপমান দেখেছে সে মুখ বুজে, কিন্তু এবারে আর সে সহ্য করতে পারে না। পরদিন অরিত্রকে স্কুলে ছেড়ে সে ফিরে আসে, অফিসে আর যায় না। সীমা ঘুম থেকে উঠলে শান্ত-কঠিন স্বরে জানিয়ে দেয় যে সে সীমার সঙ্গে একসঙ্গে এক ছাদের তলায় আর থাকতে চায় না। কাজেই অবশ্যম্ভাবী ডিভোর্স। অরিত্র কিন্তু বাবাকে, দাদুকে ছেড়ে মায়ের সঙ্গে যেতে চায় না। বস্তুত মা কি জিনিস তা যে তার জানাই হয়নি। অতঃপর মায়ের আশকারায় জেদী হয়ে ওঠা সীমা গিয়ে ওঠে তার মায়ের কাছে। নতি স্বীকার সে করবে না।
এতে দু'পক্ষের কারোরই কোনো অসুবিধা হয়নি, যে যেমন ছিল সে তেমনই রইল। কিন্তু কয়েকমাস পরে নীরেনবাবু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তিনদিনের মাথায় চলে গেলেন সকল মায়া ত্যাগ করে, এই জগৎ ছেড়ে। খুব কাঁদল অরিত্র দাদুকে হারিয়ে। অতনুও যেন বাবাকে হারিয়ে অস্থির হয়ে উঠেছিল। বাড়িটা যেন খাঁ খাঁ করে গিলে খেতে আসত ওকে। খোঁজখবর করে চাকরী নিয়ে অতনু তাই লন্ডন চলে গেল অরিত্রকে নিয়ে। এদেশে আর আসত না, কার কাছেই বা আসত সে! কে ছিল তার জন্য এখানে অপেক্ষায় পথ চেয়ে! তাই ওদেশেই থাকতে থাকতে সেখানে একটা বাড়ীও করে সে। বাবা-ছেলে সেই বাড়ীতে থাকে। ছেলেটাও বড় হয়েছে, সে-ই ওর বন্ধু, সঙ্গী। অরিত্র পড়াশোনায় ব্রিলিয়ান্ট বাবার মত, সেখানে ডাক্তারি পড়ে সে। দেখতেও হয়েছে একেবারে সাহেবের মত। পাশ করার বহুবছর পর অতনু তাকে নিয়ে দেশে আসে। কলকাতার ফ্ল্যাট, দেশের বাড়ী, সব জায়গায় নিয়ে যায় ছেলেকে, আগে তো কখনও নিয়ে যেতে পারেনি। অরিত্র দাদুর ঘরে যায়, সেখানে রাখা ধূলোপড়া দাদুর ছবিতে হাত বোলায়। গ্রামের বাড়ী গিয়ে ও ঘুরে ঘুরে সব দেখে, যেখানে তার বাবা বড় হয়েছে, দাদু-ঠাকুমা সারাজীবন থেকেছেন। ও যেন ছোটবেলায় ফিরে গেছে।
অতনুরও বাবা-মার জন্য মন কেমন করে খুব, তবু অরিত্রর মনখারাপ দেখে তার মাথায় হাত রাখে এসে, অরিত্র বাবাকে জড়িয়ে ধরে থাকে কিছুক্ষণ। অতনু বোঝে সব, সস্নেহে ছেলের গায়ে হাত বোলায়। কলকাতায় ফিরে অতনু কিছু বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করে, অরিত্রর বিয়ে দিতে চায় সে আর সেটা এদেশের মেয়ের সঙ্গেই।
ওদিকে সীমার মা-ও আর বেঁচে নেই। বুকভরা হাহাকার, শূন্যতা, একাকীত্বকে সঙ্গী করে সীমা কলকাতার অভিজাত এলাকার বিশাল বড় বাড়ীতে একাই থাকে। শরীরে বয়সের ছাপ প্রকট, আর একাকীত্ব যেন গিলে খায় তাকে আজকাল। কিছু ভাল লাগে না তার, পার্টি, হুল্লোড়, কিচ্ছু না। মদ্যপান আর সে করে না, অতনু, অরিত্রর জন্য বুকের ভেতরটা তার খাঁ খাঁ করে। ফিরতে চায় সে, উপায় নেই। মা তার সে পথ বন্ধ করে দিয়েছে। মায়ের ওপর হয় তার দুরন্ত অভিমান। মা-ই জীবনটা শেষ করে দিল তার। অতনুর মত স্বামী, যে চিরকাল মুখ বুজে সব সহ্য করেছে, তার সঙ্গে ওর বিচ্ছেদও তো মায়েরই কারণে, অতনুর সঙ্গে তো ওর কোনোদিনই কোনো বিবাদ ছিল না।
আজকাল সীমা বইপড়া, গানশোনা, সাহিত্যসভা, এইসব নিয়েই থাকে। তাতে কিছুটা হলেও শান্তি পায় ও। এইভাবে বাইরে বেরিয়ে কিছু পরিচিতি, কিছু সঙ্গী তার হয়েছে। তাদেরই একজন একদিন ফোন করে জানায় অতনু আর অরিত্রের দেশে আসার কথা। বুকের ভেতর তার হাজাররকমের আওয়াজ, বড় উতলা লাগে মন। কতদিন দেখেনি ছেলেটাকে, কত বড় হল, কেমন দেখতে হয়েছে! অস্থিরতাকে দমন করতে না পেরে ছোটে অতনুর ফ্ল্যাটে। দরজা খুললে মা -ছেলে মুখোমুখি, অবাক চোখে সীমা তাকিয়ে থাকে অরিত্রর দিকে, এ তার ছেলে! এত্ত সুন্দর হয়েছে! একেবারে সাহেবের মত। অতনুও 'কে কে' করতে করতে বেরিয়ে আসে ঘর ছেড়ে দরজায়। চেহারাটা ঈষৎ ভারী হয়েছে, মাথার সামনের চুলে রূপোলী রেখা, তিনজনের মুখেই কোনো কথা নেই।
কোনোরকমে সামলে অতনু ভেতরে ডাকে সীমাকে আন্তরিকভাবে নরমস্বরে। সীমার চোখে জল, কন্ঠরুদ্ধ। মাথা নীচু করে সোফায় বসে সামলাবার চেষ্টা করে নিজেকে, কথা বলতে পারে না। তারপর সহসা অতনুর হাত চেপে ধরে সে, "আমি ফিরতে চাই, তোমাদের ছেড়ে থাকা আমার কাছে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমি আর পারছি না, অনেক শাস্তি আমি পেয়েছি, এবার আমায় ক্ষমা করে দাও"। অরিত্ররও চোখদুটো জলে ভিজে উঠেছে।
এরপর কি আর ফেরানো যায়! তিনজনে ওরা আবার এক ছাদের তলায় থাকতে শুরু করে তখন এক সুখী পরিবার গড়ে নতুন করে। সীমার ইচ্ছে তার বাবার অতবড় বাড়ী পড়ে রয়েছে, অরিত্র সেখানে নার্সিংহোম করুক। এখানেই থাকুক অরিত্র কিন্তু অতনুর চাকরী রয়েছে এখনও, তাকে তাই ফিরে যেতে হবে লন্ডনে। এরপর তোড়জোড় করে ছেলের বিয়ের ব্যবস্থা করে দিনক্ষণ ঠিক করে সবাই ওরা লন্ডনে যায়। বিয়ের তখনও আটমাস বাকী, অরিত্র ততদিনে একটা ডিপ্লোমা করে নিতে চায়। সীমা সেখানে গিয়ে মন দিয়ে সংসার করে স্বামী সন্তান নিয়ে যা সে কোনোদিনও করেনি আগে, আর এতে যে কি আনন্দ সে স্বাদও সে পায়নি কখনও আগে।
ওরা ঠিক করে অরিত্রর বিয়ের পর কিছুদিন লন্ডনে এসে থেকে অরিত্রর কোর্স কমপ্লিট হলে ওরা কলকাতায় সীমার বাবার বাড়ীতে থাকবে। আপাতত সেখানে চেম্বার, পরে নার্সিংহোম করবে। আর সীমা ও অতনু যতদিন অতনুর চাকরী থাকবে ততদিন লন্ডনে থাকবে তারপর দেশে ফিরে ওরা একসঙ্গে থাকবে। মাঝে মাঝে ছুটি কাটাবে অরিত্র বউকে নিয়ে সেখানে গিয়ে।
সীমা ভাবে মনে মনে, এই সুখ ছেড়ে ও কিসের নেশায় সব অবহেলা করেছিল এতদিন। অতনু ভাবে, ভালবাসা মরে না, চাপা থাকে পরিস্থিতির চাপে। সুযোগ পেলেই তা ডানা ঝাপটায়, ভালবাসার মানুষের কাছে যেতে চায়। অরিত্র ভাবে, আজ সে কত সুখী, এই সুখটাই তো চেয়েছিল সে ছোট থেকে। যাই হোক দেরীতে হলেও সে পেয়েছে অবশেষে, better late than never.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন