প্রিয়তমা
কাঁচের ভিতর কাঁচ-
খানিকটা আবছা ধোঁয়া...ধোঁয়া!
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
যন্ত্র হিম কুয়াশায় পৌঁছায় না
লেলিহান শিখার আগুনের
কুণ্ডলী!
পৌঁছয় না মাংস পোড়ার
গন্ধও।
তুমি কাঁচের বাড়িতে
নিরাপদে থাকো
আর আমি?
আমাদের বাস চিরকালই
জতুগৃহে।
বারুদের কবচ...!
জন্মক্ষনেই পড়িয়ে
দিয়েছিলে তুমি কুন্ডল
তাই নিয়ে মহাভারতের
যুদ্ধ লড়েছি।
মাথার চার আঙুল বরাবর
শুধু চিতার আগুন...শুধু ভস্ম
তোমার বক্তৃতায় নাকি
আগুন ঝরে!
আচ্ছা, এখনও কি বাম
শ্রমিক রাজনীতিই তোমার আদর্শ?
একার এই লড়াইতেই
তো...
আবার চোখের জলে দমকলের
হোসপাইপও লজ্জা পায়।
আগুন কি বোঝো তুমি...
শুধু হিসেব ...খালি
সংখ্যা...তাও ঝুটো!
প্রতিশ্রুতি ছিল
পাশে থাকার,
সে শপথে বিশ্বাস
করে লেলিহান আগুনের মাঝেও
একা দাঁড়িয়ে ছিলাম।
আশা ছিল ক্ষীণ,
তাতেও জলই পড়ল।
... এখনও তো একাত্তরের
রক্তের দাগ শুকোয়নি।
মায়ের চিৎকার, মেয়ের
কান্না, প্রেমিকার হাহাকার
নাহ...কিচ্ছু পৌঁছয়
না শব্দনিরোধক, গর্ভনিরোধক কাঁচের ওপারে।
পৌঁছবে শুধু একটা
চিঠি।
পরবর্তী ভাষণের কপি!
তুমি বদলাও,
গদি বদলায়,
মুখ বদলায়...সংখ্যা
বদলায়,
শুধু আমার প্রিয়তমার
ভাগ্য বদলায় না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন