কিছু না বলা কথা
অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য
সময়ের আগে ছুটে চলেছে মন । তাকে জব্দ করতে মাঝে মাঝে হিংস্র হয়ে উঠি । এখন যেমন চলন্ত ট্রেনে বাউল গলা ছেড়ে গান গেয়েই চলেছে । অনেকেই হাত বাড়িয়ে দুদশ টাকা ধরাচ্ছে ।ব্যগের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে রাখলাম কিছুক্ষন বেচারা আশায় ছিল দেবো কিছু । রুমাল বের করে ঘাম মুছলাম । ট্রেন থামতেই সে নেমে পরেছে । এখন গান নেই শব্দ আছে । চাকার ঘর্ষণের । একটা দৃশ্য , আরেকটা অদৃশ্য । মনের চাকায় সব পিষে দিচ্ছি । জানলার বাইরে ডুবন্ত সূর্য - “ সূর্য ডোবার পালা আসে যদি আসুক বেশ তো ” ।কিন্তু সূর্য ডুবলেই বড় ভয় করে । অন্ধকার, মন কে আরও বিষাক্ত করে তোলে । তখন মনে হয় মাংস লোভীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে দলে দলে । সমাজের চেনা , অচেনা গণ্ডীর ভিতর চলে কসাই খানা । হাতের স্পর্শ বুঝিয়ে দেয় কে কেমন ভাবে জবাই করবে । লক্ষ্মী , সাবিত্রী, বেহুলা প্রজাতির ভাষা , বা স্বভাব কোনটাই অনুসরন করিনা । একপ্রকার বেহায়া মেয়ে মানুষ বলা চলে ।যখন প্রতিবাদ শিখে গেছি সেখানে হায়া নেই কোন । মাটিতে খসে পড়া লজ্জা শিখিয়ে দিয়েছে লড়াই । সংবাদ পত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় স্থান পেয়ে যেতে পারি যখন তখন । উলঙ্গ শরীর দেখতে দেখতে জনগন দেখে নেবে সাহস , শক্তি । ভিতরে ভিতরে হয়ত অসম্মানের টুকর গুল ভেঙে পড়বে । তখনও আমার অর্ধ মৃত আত্মা থেকে উঠে আসবে আমরা বাঁচতে চাই । আমরা বাঁচব । আর জনগন ঠিক আমার মতো পকেটে হাত ঢুকিয়ে লোভ দেখাবে ।ভাবব এখুনি এগিয়ে আসবে সহস্র সাহায্যের হাত । কিন্তু তারা তখন ব্যস্ত কিছু লাইক আর কমেন্টে দিতে- সাবাস এগিয়ে যাও । ।
ছবি : পারমিতা চক্রবর্ত্তী
অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য
সময়ের আগে ছুটে চলেছে মন । তাকে জব্দ করতে মাঝে মাঝে হিংস্র হয়ে উঠি । এখন যেমন চলন্ত ট্রেনে বাউল গলা ছেড়ে গান গেয়েই চলেছে । অনেকেই হাত বাড়িয়ে দুদশ টাকা ধরাচ্ছে ।ব্যগের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে রাখলাম কিছুক্ষন বেচারা আশায় ছিল দেবো কিছু । রুমাল বের করে ঘাম মুছলাম । ট্রেন থামতেই সে নেমে পরেছে । এখন গান নেই শব্দ আছে । চাকার ঘর্ষণের । একটা দৃশ্য , আরেকটা অদৃশ্য । মনের চাকায় সব পিষে দিচ্ছি । জানলার বাইরে ডুবন্ত সূর্য - “ সূর্য ডোবার পালা আসে যদি আসুক বেশ তো ” ।কিন্তু সূর্য ডুবলেই বড় ভয় করে । অন্ধকার, মন কে আরও বিষাক্ত করে তোলে । তখন মনে হয় মাংস লোভীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে দলে দলে । সমাজের চেনা , অচেনা গণ্ডীর ভিতর চলে কসাই খানা । হাতের স্পর্শ বুঝিয়ে দেয় কে কেমন ভাবে জবাই করবে । লক্ষ্মী , সাবিত্রী, বেহুলা প্রজাতির ভাষা , বা স্বভাব কোনটাই অনুসরন করিনা । একপ্রকার বেহায়া মেয়ে মানুষ বলা চলে ।যখন প্রতিবাদ শিখে গেছি সেখানে হায়া নেই কোন । মাটিতে খসে পড়া লজ্জা শিখিয়ে দিয়েছে লড়াই । সংবাদ পত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় স্থান পেয়ে যেতে পারি যখন তখন । উলঙ্গ শরীর দেখতে দেখতে জনগন দেখে নেবে সাহস , শক্তি । ভিতরে ভিতরে হয়ত অসম্মানের টুকর গুল ভেঙে পড়বে । তখনও আমার অর্ধ মৃত আত্মা থেকে উঠে আসবে আমরা বাঁচতে চাই । আমরা বাঁচব । আর জনগন ঠিক আমার মতো পকেটে হাত ঢুকিয়ে লোভ দেখাবে ।ভাবব এখুনি এগিয়ে আসবে সহস্র সাহায্যের হাত । কিন্তু তারা তখন ব্যস্ত কিছু লাইক আর কমেন্টে দিতে- সাবাস এগিয়ে যাও । ।
ছবি : পারমিতা চক্রবর্ত্তী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন