নিবন্ধ
আচার্য পদ ও সমাবর্তন উৎসবের যোগসূত্র
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল যে কোন মতবাদ মুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধুই তাত্ত্বিক বা কেতাবী জ্ঞান নয়, কর্মমুখী শিক্ষার ও সংযোজন ছিল।সবচেয়ে গুরুত্ব দিতেন শিক্ষক নিয়োগে। প্রাচীন ভারতের গুরুকুল ছিল তাঁর আদর্শ, তপোবন তাঁর শ্রেষ্ট শ্রেণী কক্ষ ও জ্ঞানেই ছিল তাঁর মতে শ্রেষ্ট আনন্দ, আর প্রাণহীন জ্ঞানের কোন মানে নেই। যারা শিক্ষকতাকে ব্রত হিসেবে নিতেন তাদের ই তিনি শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করতেন। এই ব্যাপারে তিনি ছিলেন আপসহীন। তাঁর মতে শিক্ষক পাওয়া যায় সহজে, গুরু পাওয়া যায় না। আর একমাত্র গুরু ই ব্রত হিসেবে শিক্ষাদান কে গ্রহন করতে পারেন। তিনি প্রাচীন ভারতের গুরুকুলের যে ধ্যান ধারনা ছিল তিনি তাকেই আদর্শ করতে চেয়েছিলেন। তার কাছে আচার্য কথার অর্থ ছিল গুরুদেব।
সমাবর্তন উৎসব সংঘটিত হয় প্রত্যেক বছর বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবসে ৮ই পৌষ। গুরুদেবের কাছে স্নাতক ডিগ্রীলাভ এর সাথে মনে করিয়ে দেওয়া হয় ছাত্রদের ভবিষ্যৎ এর আবশ্যিক কর্ম। এই দিন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় রেড লেটার ডে। ওই দিন আচার্যের হাত থেকে সপ্তপর্ণী পত্র নেন সদ্য স্নাতকগন। ১৯৫১ সালের পর বিশ্বভারতী প্রথম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পান এবং জওহরলাল নেহেরু হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী - আচার্য। সেই সময় শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন মৌলানা আজাদ। জওহরলাল নেহেরু রবীন্দ্র মনস্ক ছিলেন তাই বিশ্বভারতীতে তার অবদান কম ছিল না, অর্থ সাহায্য ছাড়াও তিনি সমস্ত কাজ বাদ দিয়ে বিশ্বভারতীতে ছুটে আসতেন। রাজনৈতিক পরিচ্ছদ বাদ দিয়েই তিনি আচার্য পদের যোগ্যতা রাখবার চেষ্টা করতেন। সমস্ত রকমসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কলাভবনের চিত্রকলা প্রদর্শনী, ছোটদের সাথেই খেলতেন ইত্যাদি। পরবর্তী কালে, ইন্দিরাগান্ধী ও রাজীব গান্ধী এক ই পথ অনুসরণ করেছেন। মোরারজী দেশাই মাত্র একবছর আচার্য পদে ছিলেন। পরে তিনি নিজেই শিক্ষাবিদ উমা শঙ্কর যোশীকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। এই সিদ্ধান্ত কেবল মাত্র পদাধিকার বলে প্রধান মন্ত্রী ই নিতে পারেন। ড: মনমোহন সিং প্রধান মন্ত্রী থাকার সময় মাত্র ২০০৮ সালে একবার ই সমাবর্তন উৎসবে এসেছিলেন। ব্যাতিক্রম ছিলেন আই কে গুজরাল, তিনি বলেছিলেন আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীত্বর থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব পূর্ন আচার্য পদ। তাইতিনি প্রধান মন্ত্রীর পদ চলে যাবার পর ও আচার্য পদে বেশ কিছুদিন থেকে যান বিশ্বভারতীর অনুমোদন ক্রমেই। প্রধান মন্ত্রী পদ টি রাজনৈতিক কিন্তু আচার্য পদ টি শিক্ষাব্রতীর, তিনি শিক্ষকদের শিক্ষক ছাত্রদের গুরুদেব। সমাবর্তন উৎসব বিশ্বভারতীর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান এবং তার কেন্দ্রবিন্দু হলেন আচার্য এবং তার ছাত্র/ ছাত্রী বৃন্দ। এই অনুষ্ঠান টির একটি ভিন্ন রুচি ও পবিত্রতা ও আদর্শ আছে। উপাচার্য তার আশীর্বানী তে বলেন, মাতৃদেবো ভব, পিতৃ দেবো ভব, আচার্যদেবো ভব, এই আচার্য হলেন শিক্ষা গুরু। এই মঞ্চেই পরম্পরার প্রতিষ্ঠা হয় গুরু শিষ্যের মধ্যে। সঙ্গত ভাবেই বিশ্বভারতী চায় আচার্য যেন ওই দিন নিজে উপস্থিত হয়ে এই পরম্পরার যোগসূত্র হতে পারেন। গুরুদেবের এই আদর্শ ও শিক্ষা ভাবনা যেন কোন ভাবেই বিচ্যুত না হয়, এবং বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসব যেন গুরুদেবের ধার্য করা দিনেই হয়।সেই সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিই আচার্য হওয়া উচিত, যারা রবীন্দ্র ভাবনা অনুসারী ও রবীন্দ্র মনস্ক। এই অনুষ্ঠানের গৌরব রক্ষার প্রতি নিবেদিত। নতুবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ভাবনার আদর্শ ও আচার্য পদের মর্যাদা লঙ্ঘিত হতে বাধ্য।
সমাবর্তন উৎসব সংঘটিত হয় প্রত্যেক বছর বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবসে ৮ই পৌষ। গুরুদেবের কাছে স্নাতক ডিগ্রীলাভ এর সাথে মনে করিয়ে দেওয়া হয় ছাত্রদের ভবিষ্যৎ এর আবশ্যিক কর্ম। এই দিন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় রেড লেটার ডে। ওই দিন আচার্যের হাত থেকে সপ্তপর্ণী পত্র নেন সদ্য স্নাতকগন। ১৯৫১ সালের পর বিশ্বভারতী প্রথম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পান এবং জওহরলাল নেহেরু হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী - আচার্য। সেই সময় শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন মৌলানা আজাদ। জওহরলাল নেহেরু রবীন্দ্র মনস্ক ছিলেন তাই বিশ্বভারতীতে তার অবদান কম ছিল না, অর্থ সাহায্য ছাড়াও তিনি সমস্ত কাজ বাদ দিয়ে বিশ্বভারতীতে ছুটে আসতেন। রাজনৈতিক পরিচ্ছদ বাদ দিয়েই তিনি আচার্য পদের যোগ্যতা রাখবার চেষ্টা করতেন। সমস্ত রকমসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কলাভবনের চিত্রকলা প্রদর্শনী, ছোটদের সাথেই খেলতেন ইত্যাদি। পরবর্তী কালে, ইন্দিরাগান্ধী ও রাজীব গান্ধী এক ই পথ অনুসরণ করেছেন। মোরারজী দেশাই মাত্র একবছর আচার্য পদে ছিলেন। পরে তিনি নিজেই শিক্ষাবিদ উমা শঙ্কর যোশীকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। এই সিদ্ধান্ত কেবল মাত্র পদাধিকার বলে প্রধান মন্ত্রী ই নিতে পারেন। ড: মনমোহন সিং প্রধান মন্ত্রী থাকার সময় মাত্র ২০০৮ সালে একবার ই সমাবর্তন উৎসবে এসেছিলেন। ব্যাতিক্রম ছিলেন আই কে গুজরাল, তিনি বলেছিলেন আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীত্বর থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব পূর্ন আচার্য পদ। তাইতিনি প্রধান মন্ত্রীর পদ চলে যাবার পর ও আচার্য পদে বেশ কিছুদিন থেকে যান বিশ্বভারতীর অনুমোদন ক্রমেই। প্রধান মন্ত্রী পদ টি রাজনৈতিক কিন্তু আচার্য পদ টি শিক্ষাব্রতীর, তিনি শিক্ষকদের শিক্ষক ছাত্রদের গুরুদেব। সমাবর্তন উৎসব বিশ্বভারতীর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান এবং তার কেন্দ্রবিন্দু হলেন আচার্য এবং তার ছাত্র/ ছাত্রী বৃন্দ। এই অনুষ্ঠান টির একটি ভিন্ন রুচি ও পবিত্রতা ও আদর্শ আছে। উপাচার্য তার আশীর্বানী তে বলেন, মাতৃদেবো ভব, পিতৃ দেবো ভব, আচার্যদেবো ভব, এই আচার্য হলেন শিক্ষা গুরু। এই মঞ্চেই পরম্পরার প্রতিষ্ঠা হয় গুরু শিষ্যের মধ্যে। সঙ্গত ভাবেই বিশ্বভারতী চায় আচার্য যেন ওই দিন নিজে উপস্থিত হয়ে এই পরম্পরার যোগসূত্র হতে পারেন। গুরুদেবের এই আদর্শ ও শিক্ষা ভাবনা যেন কোন ভাবেই বিচ্যুত না হয়, এবং বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসব যেন গুরুদেবের ধার্য করা দিনেই হয়।সেই সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিই আচার্য হওয়া উচিত, যারা রবীন্দ্র ভাবনা অনুসারী ও রবীন্দ্র মনস্ক। এই অনুষ্ঠানের গৌরব রক্ষার প্রতি নিবেদিত। নতুবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ভাবনার আদর্শ ও আচার্য পদের মর্যাদা লঙ্ঘিত হতে বাধ্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন