" বনমালী তুমি পরজনমে হইয়ো রাধা"
(৪)
ভেবেছি এই পর্যন্ত এসে আর কোনো আড়াল থাকবে না। ভেবেছি এই পর্যন্ত এসে আর কোনো প্রকাশও থাকবে না নতুন করে। অজস্র কাটাছেঁড়া সমেত আমরা দুজন দুজনকে স্রোতের গল্প শোনাবো। শোনাবো আয়না বর্জিত প্রসাধনের গল্প। আমাদের প্রতিকী লিঙ্গবদল। মৃত্যু অথবা পুনর্জন্ম।
অথচ কোথায় কী!
নক্ষত্র নিভে গেলে বুঝেছি সকলি অপচয়।
যাবতীয় খিদের কাছে পরাজিত তুমি, রপ্ত করেছো পঞ্চব্যঞ্জন। বিষ ও বাঁশির তফাৎ করতে শেখনি। সমর্পণের ভঙ্গিমায় আজ এইখানে, এই পর্যন্ত এসেছো! এও এক তাড়না। হিমেল সম্মোহন। জানি, ব্যর্থ শুরুয়াৎ। যে কোন সময় দু-আঙুলের টুসকিতে আমার সমস্ত আবেগ মুচড়ে দিয়ে চলে যাবে। তবু তোমার রূপের মহিমা আমাকে বিম্বিত করে লতিফা। ততোধিক বিস্মিত করে তোমার এই অহরহ স্নানঘর। শ্বেতকরবীর হার অথবা হাসুলি। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, কার জন্য এখনও তোমার এই আয়না-প্রিয়তা ! কে তোমাকে বাজিয়ে যায় ঝুম ঝুম ঝুম! এতো অশ্রুপাত এত আকুলতা এতো দিলখুশ কার, কার জন্য? কার স্পর্শের আকাঙ্ক্ষা
বিয়ন্ত-রজনী তোমার এখনও উদগ্রীব!
মুখ ভেসে ওঠে
মুখ হারিয়ে যায়
মুখ তলিয়ে যায় গভীর অসুখে...
কাচের ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছি, সাহেবা
খানিক কেটে তো যাবেই!
চিত্র- অন্তর্জাল
অপূর্ব
উত্তরমুছুনঅনবদ্য
উত্তরমুছুনএকই অন্তরের দুই রূপ মুখোমুখি,প্রশ্ন জিজ্ঞাসাতো অবশ্যম্ভাবী।
উত্তরমুছুনপ্রতিকী লিঙ্গবদল এখানে এক অদ্ভুত দ্যোতানা নিয়ে এসেছে।
লিঙ্গ বলতে কি বোঝায়,পুরুষ-নারী? কেন একেই কি দুইয়ের
অস্তিত্ব সম্ভব নয়,সেই সম্ভব উদ্ভাসিত।
বিষ-বাঁশীর তফাৎ শিখলেনা,অথচ নিকটে এলে,কি লাভ এমন
আসায়? ব্যর্থ শুরুয়াৎ তো কাম্য ছিলনা,যেখানে আমি নস্যাৎ হয়ে যাব
মুহূর্তে।হ্যাঁ তোমার রূপ টানে এখনও,সেতো একে বিলীন হওয়ার
জন্য নয়।তবে কার স্পর্শ,রজনীর উদ্ভাস তোমাকে উণ্মুখ করে
এখনও?
গভীর আসুখে কেন তলিয়ে যাচ্ছে তোমার মুখাবয়ব,তুমি কি
বোঝনা আমিই তুমি,তুমিই আমি?
রক্তাক্ত হচ্ছে আমার অন্তর,আমি আবার হারাচ্ছি তোমাকে,
প্রতিবিম্ব অন্তর্হিত,রক্তাক্ত আমার ঠোঁট.....
আবার আমায় জন্ম দিতে হবে....
আবার সেই প্রসব বেদনা।
আমি জানিনা আমি বুঝতে পারছি কিনা,তবু মনে হচ্ছে
ঢুকতে পেরেছি,সন্ধান মিলেছে.....