স্বাধীনতা দিবসে মনে খুশির জোয়ার এনে দিল মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ,ছয়ঘড়ির (মন্ডলপাড়া গ্রাম) মহিলা কৃষক মৌসুমি বিশ্বাস। মুর্শিদাবাদের একমাত্র মহিলা কৃষিবোন,যে নিজের হাতে চাষ থেকে শুরু করে মাথায় করে বাজার পর্যন্ত নিজের উৎপাদনকে সন্তানের মত নিয়ে যায়,জেলা পেরিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে তার ধানের বীজ নিয়ে সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভিজ্ঞতা। কালই ওর ভিডিও বার্তা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির দপ্তরের জন্য চলে গেছে। তারপরের স্তরে সেটা পাঠানো হবে রাষ্ট্রসংঘে। মৌসুমিকে এই বিশ্বের দরবারে যারা নিয়ে হাজির করছে তারা আর কেউ নয়, ন্যাশানাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন।
আট বছর ধরে কলা,পেঁয়াজ সহ ধানের বীজের উপর মাঠে বসে গবেষনা চালিয়েছে মৌসুমি। সাফল্যের স্বীকৃতি মিলেছে ধানে। প্রথমে নলাক আর আই আর -৩৬ ক্রস করে। তারপরেও চার বার ক্রস চালিয়ে আনে নতুন ভ্যারাইটি। নাম এম যামিনী। সেটি সংগ্রহ করে নিয়ে যায় বছর তিনেক আগে গান্ধীনগরের এক তরুণ কৃষিবিজ্ঞানী সহ এক প্রোজেক্ট কো অর্ডিনেটর। গুজরাট ও পশ্চিমবঙ্গ সহ নানা জায়গায় ফলন ফলায় এই বীজ। চাষীরা বিঘাপ্রতি ৬/৭ কুইন্টাল বেশি ফলনের রিপোর্ট দেয়। সেচ কম,রোগ কম,আবার ফলনও বেশি। এরপর মৌসুমির ডাক পড়ে দিল্লি ও গুজরাটে যাওয়ার। লকডাউন বাধ সাধলে ভিডিওতেই প্রেরণ করা হয় মৌসুমির ধানের বীজ নিয়ে সাফল্য ও কাজের বার্তা।
ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন (এনআইএফ) - ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের (ডিএসটি) একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। গ্রাসরুট প্রযুক্তিগত সৃজনশীল উদ্ভাবকদের স্পেস দেওয়া মিশন এই সংস্থার। এবারে কৃষক মৌসুমী বিশ্বাসের এতদিনের সংগ্রাম ও গবেষণায় নতুন পালক সংযুক্ত হওয়ার অপেক্ষা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন