#সাঁঝবিহান পর্ব-৯
___________________
লন্ঠনের মৃদু আলোয় সাঁঝকে কাছ থেকে দেখে সতীশ । ওর চোখের পাতায় আচমকাই স্নেহের ঠোঁট ছোঁয়ায় ও ।খুব কাছে গিয়ে দুহাতের পাতায় ওর লক্ষ্মীপ্রতিমার মত মুখটা তুলে নিয়ে বলে "ভালো থাকবে সাঁঝ,লক্ষ্মী হয়ে থাকবে। অতীতকে মনে রাখলে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়না.....আর সামনে না এগুলো জীবনটা বৃক্ষর মত হয়ে যায় ।স্থাণু,স্থবির । তখন সে শুধু আশ্রয় হয়ে ওঠে কিন্তু নিজে আশ্রয় চাইলে পায়না, কিন্তু কখনও কখনও আমাদের সকলেরই তো একটা আশ্রয় দরকার হয়,তাইনা ?কিন্তু মানুষ হয়ে জন্মেছ যখন,যে সুযোগ বৃক্ষের নেই সে সুযোগ তুমি হারাবে কেন ?"
সাঁঝ এসব কেতাবি কথার আয়োজন বোঝেনা ।দুহাতে চেপে ধরে সতীশের কবজি দুটো।
চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে সাঁঝের । এমন সাঁঝকে সতীশ দেখেনি আগে ।হঠাৎই ওর বুকের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে কেঁদে ওঠে সাঁঝ ।ওর শরীরের স্পর্শ পায় সতীশ ।সাঁঝের বুকের মসৃণ পেলব যন্ত্রণার ওঠানামা বুঝতে পেরে ভালোলাগা খারাপলাগার এক মিশ্র অনুভুতিতে সতীশেরও স্নায়ু দূর্বল হয়ে ওঠে ।
তবু নিজেকে সংযত করে উঠে দাঁড়ায় সতীশ ।
একটা লাঠি আর একহাতে লন্ঠন নিয়ে কলমি তার দুই মেয়ে নিয়ে উঠোনে এসে দাঁড়াতেই সতীশ বেরিয়ে যায় । বৈচি কতগুলো বুনোফুল ওর ফ্রকের কোচরে করে নিয়ে এসেছিলো ।সতীশ এমন ঝড়ের বেগে বেরিয়ে গেলো যে ফুলগুলো পড়ে গেলো মাটিতে ।ও পিছন ফিরেও দেখলনা । ভারী অবাক হলো কলমি । অন্যমনস্ক ভাবে ঘরে ঢুকতেই সাঁঝ ওর ওপরে ঝাঁপিয়ে ঢুকরে কেঁদে উঠলো । কলমির বুক কেঁপে উঠলো । তবে কি ও যা ভেবেছিলো তাই ! কিন্তু গোমস্তা জানলে এ গাঁ থেকে ওদের বাস উঠে যাবে যে.......
যতটা দ্রুত সতীশ কলমির বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল,ততটাই ধীর গতিতে ও নিজের ডেরার পথ ধরলো । মনে পড়লো সকালে ফজিরাম কিছু বলতে চেয়েছিল, তবে বোধহয় এ কথাই হবে ।ওর কথা শুনে কলমির বাড়িতে গেলেই ভালো হতো ।এমন বিশ্রী দুর্বিপাকে পড়তে হতনা ওকে ।সাঁঝকে ওভাবে ওই আলোছায়া বুটিকাটা গালচেতে বুকের সাথে লেপ্টে না রাখলেই ভালো হতো । সাঁঝ অন্যের ঘরে যাবে, ওর গায়ে পরপুরুষের গন্ধ না থাকলেই ভালো । অবশ্য মানুষ নয় জানোয়াররা বুঝতে পারে শরীরের গন্ধ । মানুষ ওসব গন্ধ পায়না ।মানুষই সহজে ধুয়ে ফেলতে পারে যাবতীয় গন্ধ ।আবার উল্টোটাও বড্ড সত্যি । জানোয়াররা সেই গন্ধ পেলেও সঙ্গীকে ফেলে,ছেড়ে কিম্বা অত্যাচার করে চলে যায়না । সতীশের মনে হয় এমন অনুভুতিহীন হলেও চলতো ওর এখন ।মনুষ্যত্ব বিবর্জিত জন্তু হলেই বা কি ক্ষতি হতো ওর ? ও নয় শুধুই রমণ বুঝতো,প্রেম নয় ।ও নয় প্রেমিকার স্তনসন্ধি তে চুমু খেয়ে আঁচড়ে কামড়ে চলে আসতো ।ফেরার পথে ভুলে যেত রমণচিহ্ন । কিন্তু কই তেমন তো কিছু হচ্ছেনা ।
কেমন এক পরাধীন গ্লানিতে ওর অজান্তেই তৈরী হওয়া বোধের কাছে পুরোপুরি হেরে ভূত হয়ে নিষ্ফল একটা লাফালাফি করছে মন ।
___________________
লন্ঠনের মৃদু আলোয় সাঁঝকে কাছ থেকে দেখে সতীশ । ওর চোখের পাতায় আচমকাই স্নেহের ঠোঁট ছোঁয়ায় ও ।খুব কাছে গিয়ে দুহাতের পাতায় ওর লক্ষ্মীপ্রতিমার মত মুখটা তুলে নিয়ে বলে "ভালো থাকবে সাঁঝ,লক্ষ্মী হয়ে থাকবে। অতীতকে মনে রাখলে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়না.....আর সামনে না এগুলো জীবনটা বৃক্ষর মত হয়ে যায় ।স্থাণু,স্থবির । তখন সে শুধু আশ্রয় হয়ে ওঠে কিন্তু নিজে আশ্রয় চাইলে পায়না, কিন্তু কখনও কখনও আমাদের সকলেরই তো একটা আশ্রয় দরকার হয়,তাইনা ?কিন্তু মানুষ হয়ে জন্মেছ যখন,যে সুযোগ বৃক্ষের নেই সে সুযোগ তুমি হারাবে কেন ?"
সাঁঝ এসব কেতাবি কথার আয়োজন বোঝেনা ।দুহাতে চেপে ধরে সতীশের কবজি দুটো।
চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে সাঁঝের । এমন সাঁঝকে সতীশ দেখেনি আগে ।হঠাৎই ওর বুকের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে কেঁদে ওঠে সাঁঝ ।ওর শরীরের স্পর্শ পায় সতীশ ।সাঁঝের বুকের মসৃণ পেলব যন্ত্রণার ওঠানামা বুঝতে পেরে ভালোলাগা খারাপলাগার এক মিশ্র অনুভুতিতে সতীশেরও স্নায়ু দূর্বল হয়ে ওঠে ।
তবু নিজেকে সংযত করে উঠে দাঁড়ায় সতীশ ।
একটা লাঠি আর একহাতে লন্ঠন নিয়ে কলমি তার দুই মেয়ে নিয়ে উঠোনে এসে দাঁড়াতেই সতীশ বেরিয়ে যায় । বৈচি কতগুলো বুনোফুল ওর ফ্রকের কোচরে করে নিয়ে এসেছিলো ।সতীশ এমন ঝড়ের বেগে বেরিয়ে গেলো যে ফুলগুলো পড়ে গেলো মাটিতে ।ও পিছন ফিরেও দেখলনা । ভারী অবাক হলো কলমি । অন্যমনস্ক ভাবে ঘরে ঢুকতেই সাঁঝ ওর ওপরে ঝাঁপিয়ে ঢুকরে কেঁদে উঠলো । কলমির বুক কেঁপে উঠলো । তবে কি ও যা ভেবেছিলো তাই ! কিন্তু গোমস্তা জানলে এ গাঁ থেকে ওদের বাস উঠে যাবে যে.......
যতটা দ্রুত সতীশ কলমির বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল,ততটাই ধীর গতিতে ও নিজের ডেরার পথ ধরলো । মনে পড়লো সকালে ফজিরাম কিছু বলতে চেয়েছিল, তবে বোধহয় এ কথাই হবে ।ওর কথা শুনে কলমির বাড়িতে গেলেই ভালো হতো ।এমন বিশ্রী দুর্বিপাকে পড়তে হতনা ওকে ।সাঁঝকে ওভাবে ওই আলোছায়া বুটিকাটা গালচেতে বুকের সাথে লেপ্টে না রাখলেই ভালো হতো । সাঁঝ অন্যের ঘরে যাবে, ওর গায়ে পরপুরুষের গন্ধ না থাকলেই ভালো । অবশ্য মানুষ নয় জানোয়াররা বুঝতে পারে শরীরের গন্ধ । মানুষ ওসব গন্ধ পায়না ।মানুষই সহজে ধুয়ে ফেলতে পারে যাবতীয় গন্ধ ।আবার উল্টোটাও বড্ড সত্যি । জানোয়াররা সেই গন্ধ পেলেও সঙ্গীকে ফেলে,ছেড়ে কিম্বা অত্যাচার করে চলে যায়না । সতীশের মনে হয় এমন অনুভুতিহীন হলেও চলতো ওর এখন ।মনুষ্যত্ব বিবর্জিত জন্তু হলেই বা কি ক্ষতি হতো ওর ? ও নয় শুধুই রমণ বুঝতো,প্রেম নয় ।ও নয় প্রেমিকার স্তনসন্ধি তে চুমু খেয়ে আঁচড়ে কামড়ে চলে আসতো ।ফেরার পথে ভুলে যেত রমণচিহ্ন । কিন্তু কই তেমন তো কিছু হচ্ছেনা ।
কেমন এক পরাধীন গ্লানিতে ওর অজান্তেই তৈরী হওয়া বোধের কাছে পুরোপুরি হেরে ভূত হয়ে নিষ্ফল একটা লাফালাফি করছে মন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন