অস্তিত্ব
★★★★★
চারমাস ধরে চলছিল
কেসটা। উকিলদিদির বাড়ীতেই কাজ করত বেলা।তাই উকিলদিদি নিজে কেসটা লড়ছিল।
ঝড় জলের রাতে ঘরে একলা
বেলাকে পেয়ে গামছা দিয়ে বেলার হাত আর মুখটা বেঁধে তার শরীরটাকে
নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে মস্তান ত্রিদিব
সামন্ত। সখ মিটিয়ে মদে বেসামাল হতেই বেলা
কোনরকমে বাঁধন খুলে বাইরে বেরিয়ে পাড়ার লোকজনকে ডেকে ত্রিদিবকে হাতেনাতে ধরায়। তারপর পুলিশ, হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা
করাতে প্রমাণ হয়ে গেছে যে বেলা সত্যিই ধর্ষিত হয়েছে ত্রিদিবের হাতে।
আজ ছিল সাক্ষ্যগ্রহনের
শেষদিন। কাল রায় ঘোষণা। সবাই নিশ্চিত ত্রিদিব শাস্তি পাবেই। কিন্তু বেলাশেষে বেলাকে হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে এসে ঘরে ঢোকায় নিখিল, বেলার বর। ভাবে লাঠি দিয়ে আজ মেরেই ফেলবে বৌকে। কিন্তু বাদ সাধল উকিলদিদি। উনি এসেই চেঁচিয়ে উঠলেন --"বেলা তুমি এমন কেন করলে? এখন কেন তুমি
কেসটা উইথড্র করতে চাইলে?"
----" দিদিমনি, আমি তো চেয়েচিলুম তিদিবের যাতে কটিন সাজা হয়। তবে সেটা চিল চার মাস আগের
কতা। আসলে এতদিন ধরে সোয়ামী আর শাউড়ি বাঁজা মেয়েমানুষ বলে কম অত্যেচার করেনি আমার
ওপর। আমার সোয়ামী অসময়, শরীল খারাপ কিছুই মানত নি, নিজের পয়োজনে শরীলে ঝাঁপাত। সেও একপ্রকার ধষ্যণই বটে। কিন্তু আমি একন পষ্ট আমার শরীলে ছোট্ট পেরাণের অস্তিত্ব টের পেইচি। আমার গভ্যে আমার সন্তানের অস্তিত্ব ।আর তাই ঐ সন্তানের অস্তিত্বকে সম্মান জানিয়ে আমি সন্তানের বাপ তিদিবকে ক্ষমা করে দিলুম গো।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন