চাঁদ
রাত্রি কত সহজ সরল জানলা বলে দিলো
সুন্দরী এক দোলাচ্ছে পা, আকাশ জুড়ে মায়া।
তাকিয়ে আমি ভীষণ অবাক, যদিও হবার ছিল,
কারন সে ঐ পুকুর ঘাটে দেখছে নিজের ছায়া।
গাছের মাথায় চুল মেলেছে, ফুরফুরে তার মেজাজ,
আকাশ-নদী-পাহাড়-ডাঙা সবখানে তার বিস্তার।
পুকুর ঘাটের ঢেউগুলো সব তার রঙেতেই ভেজা,
সারা'টা রাত তাকিয়ে থাকা, নেই যে আমার
নিস্তার
তার রূপে’তে মুগ্ধ আমি, মুগ্ধ আমার শরীর,
মেঘগুলো সব বাতিল করে শান্ত জোৎস্না মাখি…
মন’পাহাড়ের মাথার কাছে হঠাৎ আসা পরী—
কলঙ্ক’তে ভাগ বসিয়ে তারপরে হোক পাখি।
অহঙ্কারের বাঁধ ভেঙে যায়, আটকে রাখি ঝরণা,
জাপ্টে রাখি বুকের ভেতর জোৎস্না মাখা
ছাদ’টা,
এই পৃথিবী আমার নিজের, কেউ তো আমার পর না,
তবুও আমার চাই না কিছুই, চাই শুধু ঐ
চাঁদ’টা...
২
আশা
বয়স যেন হাজার পেরোলো আজ,
বাতাস জানে ঋতুদের উল বোনা,
মনের আড়ালে কয়েক হাজার ভাঁজ,
সময়ের কাজ শুধুই বয়স গোনা।
মেঘের পালক আকাঙ্খাদের ঢাকে,
জাপটে ধরে রোদটা সোহাগ করে,
রাস্তা শুধু অবহেলাই মাখে,
চোখ পড়ে যায় অন্ধকারের পরে।
জীবনের কথা বই-এর তাকে চুপ,
লেখা ইতিহাস মোছা যায় না আর,
মনের গন্ধ ছড়ায় না কেন ধুপ -
কেন যে পৃথিবী সুখ দেয় না ধার...
পাল্টে গেছে বন্ধু শত্রূ যত,
সব পুরোনোই নতুন কিছুক্ষণ...
চিনবো জানি কঠিন ভবিষ্যৎও -
পাল্টেও যাবে কিছু মানুষের মন।
তবুও আসবে কয়েক পশলা বৃষ্টি,
প্রেম আসবে কাগুজে-নৌকা চড়ে,
একদিন ঠিকই বদলে যাবে দৃষ্টি,
হয়তো আরও হাজার বছর পরে...
৩
তোমায় ছাড়া
তোমার সাথে হয় না দেখা আর
তোমার সাথে হয় না প্রেমের গল্প,
রাত্রিও তাই রাত করে না বেশী
স্মৃতির ভিড়ে মেঘ করে যায় অল্প।
তারারাও সব মুখ লুকিয়ে নেয়
আকাশ যেন শুধুই গুমরে কাঁদে,
এ মন যখন তোমায় ছুঁতে চায়
বৃষ্টি তখন আছড়ে পড়ে ছাদে।
সাঁই সাঁই করে দৌড়ে আসে ঝড়
শিরায় শিরায় রক্ত চাপও বাড়ে,
নির্জনতা ভিজতে চলে যায় -
দেশ ছাড়িয়ে মনকেমনের পাড়ে।
একা থেকে আ-র-ও একা হই
ভাল্লাগেনা নতুন কোনো মন্ত্র,
ভাবনা এলেই অতলে হারাই
শরীরটা হয় থমকে যাওয়া যন্ত্র।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন