পোকা ।।
==============
তোমার মাথার ভিতর একটা পোকা আছে
একটা পাথরের উঁচু ঢিবি
কিছুতেই আর উড়তে পারে না
তুমি একটু জলের কাছে এসে বোসো
নিজের ছবি দ্যাখো জলজ আয়নায়
তুমি পাহাড়ের কাছে যাও
টিনের চালে শিশিরের শব্দ শোনো
রাস্তার পাশে যে গুমটি দোকান ,
সেখানে একটু দাঁড়াও
এক কাপ চা আর একটা চপ...
তোমার ঠোঁটে শ্যাওলা জমেছে
শুকিয়ে গিয়েছে ভিতরের মাটি...
এত এত এত পাথর সরিয়ে
কে আর কত দূরে যাবে...
কে আর খুঁজে পাবে
স্বচ্ছ জলের ধারা...
.
তোমার ভেতরে একটা দুর্বোধ্য পোকা আছে ।
ভালোবাসা রোজ রাতে খুট খুট করে
দাঁত দিয়ে কাটে...
কাটতে কাটতে একদিন
ভালোবাসাহীন এই বিরাট পৃথিবীতে
পোকাটাই বেঁচে থাকে , একা
এবং নির্বাসিত ...
আহা , কী তার আনন্দ বিলাস
একটা পাথরের উঁচু ঢিবি
কিছুতেই আর উড়তে পারে না
তুমি একটু জলের কাছে এসে বোসো
নিজের ছবি দ্যাখো জলজ আয়নায়
তুমি পাহাড়ের কাছে যাও
টিনের চালে শিশিরের শব্দ শোনো
রাস্তার পাশে যে গুমটি দোকান ,
সেখানে একটু দাঁড়াও
এক কাপ চা আর একটা চপ...
তোমার ঠোঁটে শ্যাওলা জমেছে
শুকিয়ে গিয়েছে ভিতরের মাটি...
এত এত এত পাথর সরিয়ে
কে আর কত দূরে যাবে...
কে আর খুঁজে পাবে
স্বচ্ছ জলের ধারা...
.
তোমার ভেতরে একটা দুর্বোধ্য পোকা আছে ।
ভালোবাসা রোজ রাতে খুট খুট করে
দাঁত দিয়ে কাটে...
কাটতে কাটতে একদিন
ভালোবাসাহীন এই বিরাট পৃথিবীতে
পোকাটাই বেঁচে থাকে , একা
এবং নির্বাসিত ...
আহা , কী তার আনন্দ বিলাস
==========================
শ্যামা সংগীতের মতো বিষাদ ।। অমিতাভ দাস
------------------------------ --------------------
------------------------------
আমার চোখের মণি কালো বলে মা -কে বলি কালী...
বিষাদ লিখছি রাতের আড়ালে ।
বিষাদ লিখছি আহত শরীরে ।
শ্যামা সংগীতের মতো নরম বিষাদ ঝরে যাচ্ছে ।
বান্ধবীর সাথে কথা বলি ।
কথা বলে চলি ।
বিষাদ কাটে না ।
সিগারেট জ্বলে যায় ।ছাই হই ।
বিষাদ কাটে না ।
.
সন্ধ্যাবেলায় অনেক অভিমান নিয়ে
পাখিকে ফোন করি ।
বললুম ,আমার রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ।
সে চিন্তিত হয় ।
মজাটা বুঝতে পারে না ।
বললাম ,তোমার সঙ্গে কথা বলে বলে
আমার সুগার হয়েছে ।
সেজন্য দায়ী তোমার কণ্ঠস্বর ।
সে বললে ,তাহলে কথা বলে কাজ নেই ।
.
অথচ আমাদের জীবনে একটা সমুদ্র দরকার ।
একটু মধুমেহ । একটু ভাজা মাছ ...
পাখি ক্যালিফোর্নিয়া চলে যাচ্ছে ।
পাখি উড়ে যাচ্ছে আকাশে আকাশে...
যাওয়ার আগে শ্যামা সংগীতের মত
বিরল বিষাদ দিয়ে যাচ্ছে ।
দিয়ে যাচ্ছে ঠোঁটের 'পরে ঠোঁট রাখার
অপার্থিব সব স্মৃতি
.
ডাক্তারখানা ।। অমিতাভ দাস
বিষাদ লিখছি রাতের আড়ালে ।
বিষাদ লিখছি আহত শরীরে ।
শ্যামা সংগীতের মতো নরম বিষাদ ঝরে যাচ্ছে ।
বান্ধবীর সাথে কথা বলি ।
কথা বলে চলি ।
বিষাদ কাটে না ।
সিগারেট জ্বলে যায় ।ছাই হই ।
বিষাদ কাটে না ।
.
সন্ধ্যাবেলায় অনেক অভিমান নিয়ে
পাখিকে ফোন করি ।
বললুম ,আমার রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ।
সে চিন্তিত হয় ।
মজাটা বুঝতে পারে না ।
বললাম ,তোমার সঙ্গে কথা বলে বলে
আমার সুগার হয়েছে ।
সেজন্য দায়ী তোমার কণ্ঠস্বর ।
সে বললে ,তাহলে কথা বলে কাজ নেই ।
.
অথচ আমাদের জীবনে একটা সমুদ্র দরকার ।
একটু মধুমেহ । একটু ভাজা মাছ ...
পাখি ক্যালিফোর্নিয়া চলে যাচ্ছে ।
পাখি উড়ে যাচ্ছে আকাশে আকাশে...
যাওয়ার আগে শ্যামা সংগীতের মত
বিরল বিষাদ দিয়ে যাচ্ছে ।
দিয়ে যাচ্ছে ঠোঁটের 'পরে ঠোঁট রাখার
অপার্থিব সব স্মৃতি
.
ডাক্তারখানা ।। অমিতাভ দাস
------------------------------
সব
ডাক্তারখানার একটা
নিজস্ব গন্ধ আছে ।
যেখানে নানা মানুষের ব্যস্ততা থেমে থাকে ।
বড়ো বড়ো জানালা--পুরনো বাড়ি
সাদা রং দেওয়ালে...
অপেক্ষা রঙের বাতাস ছেয়ে থাকে ।
কখন ডাক আসবে আমার...
ভালো ডাক্তারের কাছে গেলেই নাকি
অর্ধেক রোগ সেরে যায় ,
এমন প্রবাদ আছে ।
আমি যেই ডাক্তারের কাছে যাই ,
ইয়াং --আকর্ষণীয় ,চমত্কার ব্যবহার...
অথচ কম কথা বলেন ।
তবু শান্ত ,স্থির ,বিরক্তি নেই কোথাও...
তাঁর কাছে গেলে কমে যায়
কারো কারো তুমুল অসুখ ।
.
আমি অপেক্ষা করতে করতে
দেখি পাশে বসা মানুষের মুখ
মুখের মিছিল...
অসুস্থ মানুষের কাছে এসে
থেমে গেছে কাজ , যাবতীয়
কাজের হিসাব...
অদ্ভুত এক নীরবতা তখন
ছেয়ে থাকে ভিতর-বাহির
নিজস্ব গন্ধ আছে ।
যেখানে নানা মানুষের ব্যস্ততা থেমে থাকে ।
বড়ো বড়ো জানালা--পুরনো বাড়ি
সাদা রং দেওয়ালে...
অপেক্ষা রঙের বাতাস ছেয়ে থাকে ।
কখন ডাক আসবে আমার...
ভালো ডাক্তারের কাছে গেলেই নাকি
অর্ধেক রোগ সেরে যায় ,
এমন প্রবাদ আছে ।
আমি যেই ডাক্তারের কাছে যাই ,
ইয়াং --আকর্ষণীয় ,চমত্কার ব্যবহার...
অথচ কম কথা বলেন ।
তবু শান্ত ,স্থির ,বিরক্তি নেই কোথাও...
তাঁর কাছে গেলে কমে যায়
কারো কারো তুমুল অসুখ ।
.
আমি অপেক্ষা করতে করতে
দেখি পাশে বসা মানুষের মুখ
মুখের মিছিল...
অসুস্থ মানুষের কাছে এসে
থেমে গেছে কাজ , যাবতীয়
কাজের হিসাব...
অদ্ভুত এক নীরবতা তখন
ছেয়ে থাকে ভিতর-বাহির
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন