তৈমুর খানের কবিতা
বৃষ্টি হবে না
চরিত্রগুলি দুলছে অতর্কিত
চলো মালবিকা, আঁকিবুকি কাটি
সমুদ্র উথলে উঠছে
বাতাস আজ হল্লা ভরা দারুণ তরবারি
সব নষ্টফুল গন্ধবিহীন হবে না
একথা তুমিও জানো
যদিও আমাদের রাস্তা নেই
সামাজিক বিষাদের সাবধান বাণী
অনেক উঁচু থেকে সতর্ক জ্যোৎস্নার
মতো
কিছুটা আততায়ী
আমাদের ভালোথাকার বর্ণনা
আজ দূর্বা ঘাসের কাছে পাঠাব
আজ শূন্য মেঘমালায় পৌঁছে যাবে
পদধ্বনি
কিছু কল্পনার ঐশ্বর্য আর বন্দনার
নবারুণ
চলো রোদের প্রাচুর্যে ডানা
খুলি
হাসির মতন মৃত্যুও নিঃশ্বাস
ফেলুক
ফুলে উঠছে আমাদের নিঃশর্ত জীবনবাহিনী
সকাল সকাল চায়ের দোকানে
চা খেতে খেতে দেখে নিচ্ছি পৃথিবী
স্নান করছে রাতের মেয়েরা
পড়শিনি নতুন একটা যুগের সন্ধানে
ডাকছে তার প্রিয় পুরুষকে
আহা দুই কৌশলী মাছরাঙা হায়
!
একটু দূরে অলৌকিক ঈশ্বরের বাগান
যেখানে সব পতঙ্গরা আজ মহতী
পাখি
আমাদের কিশলয় কবে বৃক্ষ হয়ে
গেছে
ইচ্ছেগুলি আজ বৃদ্ধ আদিম শিকারি
স্বাদ কই? সমস্ত বিগত স্বাদ
ফিরে পেতে চায় জিভ
সমস্ত ঘ্রাণ দূরে দূরে চলে
যায়
হেমপুষ্প কেউ কেউ ফোটে
দেখি
মৃদু কম্পনে বুক ভরে যায়
নিমগ্ন অনুভূতি শুধু চায়ের
উষ্ণতায়
কামনা জাগাতে থাকে একে একে
আমি ভদ্রতার পোশাক খুলি না
যদিও আমার ভেতরও এক মাছরাঙা
ওড়ে
মুখ ঢাকা দিয়ে চলে যাচ্ছ
!
ভালো —
আমার কোনও অভিযোগ
নেই।
অন্নহীন থালা অন্ধকারে ভরে
গেল
বেদনার গাছে ফুল ফুটল না একবারও
কেউ জল দিলে নাকো একফোঁটা
মেঘ এসেও চলে গেল
যাকে প্রেম বলে মনে হল
তারও কি স্নেহের হাত নেই ?
রাস্তায় একা, নিরর্থ বাঁচার
ভেতর
কত যাওয়া-আসা ছিল
যদিও ডাকলে না —
ভালো —
কোনও অভিযোগ নেই
।
দফতরে যাবার ইচ্ছা নেই
কত আলোর আনাগোনা
কত সূর্যমুখী ভোর, নারীপাখি
ডাকে
যদিও কাঙাল, আহত
আমার কোনও অভিযোগ
নেই ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন