চলছি
অপেক্ষামান কথাগুলি হু হু করে
ভারী বাতাসে মৃত সাবধানী পদচারণ -
আগন্তুক এক টুকরো শান্তি
সে কার আবছা অবগুন্ঠন,
ধোঁয়াশা আলোয় ম্লান অঙ্গীকার
অতিত আলোর আস্ফালনে।
চলছে পালকি আত্ম হননে
আত্মীয়তা আসছে কলেবরে
ভাঙা মনরথ রঙ মেখে উপহাস্যে
জ্বলে উঠছে আগুন আদ্রতায় ।
শূন্যতার আড়ালে
সে সুতীক্ষ্ণ নখের আচড়
অবচেতন গ্রস্থ উপত্যকা
সব আক্ষেপ আপেক্ষিক
অন্ধকার গভীর তলদেশে
শূন্যতা নিয়ে ঘর বাঁধা ভ্রোমে
আমি উদাসী বাতাস আনমনা
নৈরাজ্য পিলপিল করে বয়
আমিতে বাহিত গন্তব্যের গন্ধ।
সন্তোষজনক
প্রতিক্রিয়া শূণ্য প্রতিধ্বনি ভেতরে ,
আদুরে গায়ে চটকানো তৈলতন্ত্র।
নিজেরি নামাঙ্কিত পদচিহ্নে
অবিরাম পরিচয় খুজে পরাশ্রয়ী
যে সন্তোষ্টি আছড়ে পড়ে
চেনা যন্ত্রণার নিরাপত্তা নিয়ে-
ভেতরে শনশন করে অকাল বসন্ত
আত্মসন্ত্রাস দুকূল প্লাবিত ধারায়
বিভাজিত আমিতেই আমি
সন্তোষজনক সস্তা অর্থে বিক্রি।
শেষাবধি
ওরা হাতে হাতে বীজ ছড়ায়
উঠান ঘর সব ফসল ময়
পেছনে স্বপ্ন মন্থিত কষাঘাত
উস্কে দেয় আনুগত্যের ঝড় -
চারিধারে আগুন জ্বলে উদ্বোধনী
ঘরে চুয়েপড়ে আলো আশ্বাস
তখন আশ্রয় হয় আশ্রম
লালনের সুর আসে মনে, আনমনে।
হারানো পরিচয়ে
ওরা কারা কেমন দেখতে, কদাকার?
উত্তর বেহিসাবি খতিয়ান নিয়ে
মূর্খামির আদলে ঢঙি বোধ
আজকের জাতক হয়ে চুপচাপ।
কাকাতুয়া কথাকয় দিনভর
আমরা সে ছবি আঁকি
সুরের প্রলেপ আছড়ে পড়ে
ছবিতে প্রাণ আসে কথাবলে,
অগণিত ভক্তদের ভীড় হয়
হারিয়ে যায় পরিচয় নতুন পরিচয়ে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন