হলুদ পাথর ২
----------------------------
মারিয়াকে সান্ত্বনা দিয়ে লাভ নেই। বাইরে থেকে আমেরিকানদের যত খানি দাম্ভিক মনে হোক না কেন, ভেতরে ওরাও উষ্ণতা খোঁজে, আপনজন খোঁজে। আসলে অন্ধ বিশ্বাস করে যে কোনো লাভ হয়না কখনো ভালোবাসায় পড়লে মানুষ এটাই ভুলে যায় সবচেয়ে আগে।
পৃথিবীর এই প্রান্তের নাম পোর্টল্যান্ড। আমেরিকার পশ্চিমপ্রান্তে অরিগণ রাজ্যের এক ছোট্ট শহর পোর্টল্যান্ড। শহর না ছবি? বিদেশে এলে বোঝা যায় মানুষ নিজের শহরকে কতখানি ভালোবাসে। বছরের অর্ধেক সময় বরফের ভরে থাকে। শাবল গাইতি মেশিন দিয়ে বরফ সরিয়ে কাজ করা। বরফ নিয়ে কোনো আলহাদ নেই মোটেও। রীতিমতো খেটে খেতে হয় মানুষকে। আমরা ছবিতে লাল ফুল নীল ফুল কালো চকচকে রাস্তা দেখে হা হুতাশ করি, একটা কাগজের টুকরো ফেলবেন না কেউ। হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াবে ডাস্টবিন। আর কলকাতার বারান্দা থেকে ছুঁড়ে ফেলা নোংরার কথা কে না জানে? শুধু সরকারকে দোষ দিলেই " চলবে না চলবে না" করলেই কাজ সারা হয়ে গেল। পৃথিবীর কোনো দেশে ভোট নিয়ে এতো আদিখ্যেতা হয়না। থাইল্যান্ডে ভোট হয় রবিবারে। যাতে কোনো স্কুল ছুটি দিতে না হয়। কথা হচ্ছিল পোর্টল্যান্ডের। শান্ত শহর। সকাল হতেই ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। বাড়ি গুলো ছবির মতো। ভেতর বাইরে সব সাজানো। পদীর মাসি, রামের মা কিছু নেই। সব নিজের হাতে করে ঝকঝকে তকতকে। ফুল যে কতরকমের তাতে আবার হাত দেওয়া যাবে না। নির্জন রাস্তায় দুপুরবেলা এক থোকা ফুল যেই ছিঁড়তে গেছি এক লম্বা ছায়া পড়লো পিঠের পেছনে।
( চলবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন