শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

জ্যোতির্ময় মুখার্জি

এক রাত কবিতা

তখন মাঝ রাত। আর এক প্রহর অপেক্ষার পর ফিকে হবে কালো। ঘরের মধ্যে মেয়েটি একা। আলো এসেছিল সে রাতে। আলুথালু সাজ। রাতের আয়নায় চোখ রাখল। হঠাৎ ভালোবেসে ফেলল নিজেকেই

চুল বেঁধে আর একটু সাজুগুজু। মায়ের পুরনো শাড়ি জড়িয়ে যুবতী শরীর নতজানু শরীরী ব‍্যাকারণে। সেজে ওঠা রাত একলা আগুনে। এলোচুল ধুয়ে বেদুইন ধুনুচিয়া। ল‍্যাপটপের মসৃণ স্ক্রিনে সেভ হল কিছু প্রাচীনতম পিছুটান

সাবলীল ঝকঝকে শরীর তখন সবেমাত্র আদল ভেঙেছে। হারিয়ে যায় সবটুকুই। হারিয়ে যাওয়া সবটুকুই। কিছুটা লিপিবদ্ধ লিপস্টিক কিছুটা অলস ব্লাউজ। লুকানো রাতের ময়লা। নাভির আশেপাশে আঁকা বাসি সর্বনাশ। মশারি ভেঙে আয়না আদরে হঠাৎ অভিসার। নিজেকে লুকিয়ে খোলা বুকে, পেটে বা ঠোঁটে। লিখে রাখা কৌতূহল বা এঁকে রাখা কিছু ছবি। এই ভাবেই আত্মসমর্পণ শেষে চোখের ভূগোল বা নেতিয়ে যাওয়া শরীর বেয়ে নেমে এসেছিল পুন‍্যিপুকুর

হয়তো গাছেরা কবিতা লেখে এই ভাবেই। হয়তো আকাশের গায়ে তীব্রতর হনন ছুঁয়ে জেগে থাকে রাত পেঁচা। মেয়েটি টের পায়নি। মেয়েটি টের পায়নি কখন সে নিজেই নিজের শরীরে লিখে ফেলেছিল এক রাত কবিতা


© অপাংক্তেয়




নোনা লাটাই

তখন কাঁচা সন্ধ‍্যা।অস্তিত্বে টিউলিপ বা হাসনুহানা।গোপন প্রশ্রয়ে থিওরি অফ আদিম আপেলে কামড় বসালাম। হয়তো আড়াআড়িভাবে হেঁটে যাওয়া। হয়তো পরবর্তী ঢেউ এসে মুছে দেবে আমাদের গন্ধ

আদতে কোনো দাবীদাওয়া ছিল না। সম্পর্কের দূরত্বে নিবিড় বিছানা। অপাংক্তেয় রাই। হয়তো নাভিতে ছাতিম গন্ধ। গান ও কবিতা। কবিতাও গান। আত্মমৈথুনের সুখে যৌথ নদী। আমাদের গলনাঙ্ক ছুঁয়ে গৃহপালিত জোনাকিরা ব‍্যস্ত হাতে উষ্ণতা সাজিয়ে রেখেছিল

খুলে রাখা খোলস। স্তনের চামড়া ছুঁয়ে বাদামী বীজ। শব্দের কথকতায় বা মেঘবেলায়। ভোকাট্টা। আমার নোনা লাটাই। নাভিকূপে জ‍্যোৎস্না মাপে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন