স্বপন যদি মধুর এমন
মাঝে মাঝে এমন সব স্বপ্ন আমরা দেখি যা দেখার পর ঘুম ভেঙে গেলে মনে হয় যেন আবার ঘুমিয়ে পড়ি। আবার উল্টোটাও হয়। ঘুম ভেঙে মনে হয় ভাগ্যিস এটা স্বপ্ন ছিল! স্বপ্নকে অবহেলা করার সাধ্য বোধহয় আমাদের কারোরই নেই। বিশেষ বিশেষ স্বপ্ন আমাদের ভাবনায় কিছুটা হলেও স্থান পায়। কেউ কেউ যদিও বলেন বটে যে তিনি মোটেও স্বপ্ন দেখেন না। এই দাবি কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। আসলে কেউ কেউ স্বপ্ন মনে রাখতে পারেন না। তাই হয়তো কারোর মনে হয় যে তিনি স্বপ্ন দেখেন না। বাস্তবিকই আমরা স্বপ্নে যা দেখি তার শতকরা নব্বই ভাগই আমরা ভুলে যাই। স্বপ্ন দেখে উঠে সঙ্গে সঙ্গে লিখে ফেললে তবু অনেকটা ফিরে পাওয়া সম্ভব। কিন্তু ঘুম ভাঙার পর পাঁচ মিনিটের বেশি স্বপ্নের স্পষ্ট স্মৃতি থাকে না। অর্থাৎ সব মানুষই স্বপ্ন দেখেন। একমাত্র যাদের খুব বেশি মানসিক সমস্যা বা psychological disorder থাকে তারাই স্বপ্ন দেখেন না।
স্বপ্ন আসলে কি? সাধারণভাবে বলা যায় ঘুমন্ত অবস্থায় মানসচক্ষে দেখা কিছু ইমেজ বা ছবির সিরিজের সাহায্যে কোন কাল্পনিক ঘটনাপ্রবাহকে দেখতে পাওয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দ্রষ্টা নিজেই সেই কাহিনীতে ভূমিকা নিয়ে থাকেন। আমি নেই অথচ সবকিছু আমি দেখতে পাচ্ছি এমন স্বপ্ন সাধারণত মানুষ কম দেখে। মানুষ স্বপ্ন দেখে যে অবস্থায় তাকে বলা হয় rapid eye movement (REM)। এই অবস্থায় চোখের মণির নড়াচড়া বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে হাত পা অবশ হয়ে যায়। প্রায় পক্ষাঘাতের মতোই। চাইলেও হাত পা নাড়ানো যায় না এই অবস্থায়। অর্থাৎ স্বপ্ন আমাদের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। যদিও non rapid eye movement (NREM) এও কিছু স্বপ্ন আসে, তবে তা খুবই আবছা ও অস্পষ্ট। স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা নিয়ে তৈরী যে বিজ্ঞান তাকে Oneirology বলা হয়।
একটা সময় ছিল যখন মনে করা হতো স্বপ্ন হলো সম্পূর্ণ অন্য একটি দুনিয়ার ঘটনাবলী। আবার কেউ কেউ মনে করতেন ঘুমোবার সময় আত্মা শরীর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে। সেই সময় সে শরীরের বাইরে যা কিছু প্রত্যক্ষ করে তাই আমাদের কাছে স্বপ্ন হয়ে ধরা দেয়। প্রাচীন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী ধারণায় স্বপ্ন ছিল অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের চেনা অচেনা সমস্ত ঘটনার প্রতিচ্ছবি। কিছু প্রাচীন উপজাতীয় ধারণায় স্বপ্ন ছিল আধ্যাত্মিক সংযোগ স্থাপনের উপায়। কোন কোন ধারণায় স্বপ্নকে অপদেবতার অভিশাপ বলেও বর্ণনা করা হয়েছে।
উনিশ শতকের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ান স্নায়ুবিশেষজ্ঞ, সাইকো-অ্যানালিসিসের জনক, সিগমুন্ড ফ্রয়েড তাঁর "The Interpretation of Dreams" বইতে আগের সমস্ত স্বপ্নতত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়ে নতুনভাবে স্বপ্নের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করলেন যুক্তির সাহায্যে। ফ্রয়েড তাঁর তত্ত্বকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করলেন যে এরপর থেকে স্বপ্নকে আর অযৌক্তিক, অজ্ঞান চিন্তাধারার ফসল বা জীবনের বাইরের কিছু বলে বর্ণনা করা গেল না। আগে এমনভাবে স্বপ্নকে ব্যাখ্যা করা হতো যেন কোন ব্যক্তি পিয়ানো না জেনেই পিয়ানোর সামনে বসে যেমন খুশী বাজিয়ে চলেছেন। কিন্তু তা যে একেবারেই নয়, বরং স্বপ্ন প্রত্যেক মানুষের নিজ নিজ অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হয় তা এই বই থেকেই জানা গেল। অর্থাৎ স্বপ্ন হলো এমন কিছু যা আমরা দেখেছি বা শুনেছি, যার সঙ্গে কখনো হয়তো আমাদের যোগাযোগ ঘটেছে, অথচ তেমনভাবে আমল দেওয়া হয়নি। যা আমরা দেখিনি বা যে সম্পর্কে আমাদের কোন ধারনাই নেই তেমন কিছু আমাদের স্বপ্নে আসতে পারে না। সারা পৃথিবী আজও ফ্রয়েডের স্বপ্নতত্ত্বকে একরকম প্রামাণ্য বলে মনে করে। আসুন একটু জেনে নিই ফ্রয়েডের স্বপ্নতত্ত্ব কি বলে।
গবেষণা অনুযায়ী এক একটি স্বপ্ন দশ থেকে পঁচিশ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ পঁচিশ মিনিটের বেশি সময় ধরে স্বপ্ন স্থায়ী হয়না। আমরা প্রতিদিন ঘুমের মধ্যে চার থেকে সাতটি করে স্বপ্ন দেখে থাকি। যদিও সব আমাদের মনে থাকে না। স্বপ্ন হলো কতগুলি ছবি ও আবেগের সমাহার যা একজন ঘুমন্ত মানুষের কল্পনায় ধরা দেয়। ফ্রয়েড আমাদের মনকে তিনভাগে ভাগ করলেন। সচেতন মন বা conscious mind, অচেতন মন বা unconscious mind এবং অবচেতন মন বা subconscious mind। স্বপ্ন হলো এই অবচেতন মনের কারবার। এই মন আমাদের সচেতন মনের চেয়েও বেশি জানে। যা কিছু আমরা দেখি বা শুনি বা যে কোন ভাবে বলা যায় experience করি, যেমন শব্দ, গন্ধ, দৃশ্য, স্বাদ, স্পর্শ বা অনুভূতি এই সবকিছুই আমাদের অবচেতন মনে রেকর্ড হয়ে যায়। আমাদের অজ্ঞাতেই। স্বপ্নে এই নানান সময়ের ইমেজ বা ছবিগুলো পরপর জুড়ে গিয়ে একটা গল্প তৈরী হয়। কিন্তু এই ছবিগুলো আসে এলোমেলো, অর্থহীনভাবে। যেভাবে আমরা স্বপ্ন বর্ণনা করি তেমন নিটোল কোন গল্প হয়ে স্বপ্ন কখনোই আসে না। স্বপ্নের বর্ণনা করতে গেলে কিছুটা কল্পনার আশ্রয় নেয়া ছাড়া আমাদের উপায় থাকে না। কারণ স্বপ্নের স্মৃতি খুবই স্বল্পমেয়াদি হয়। স্বপ্নে পরপর ছবিগুলি আসে পরস্পর সম্পর্কহীনভাবে। হয়তো অতীতে দেখা কোন জায়গায় সদ্য পরিচিত কোন ব্যক্তিকে দেখা গেল, যেখানে তিনি থাকতে পারেন না। স্বপ্নে এমনটা হয়েই থাকে। কখনো বা একজন মানুষের চেহারার সঙ্গে তার কাজের মিল থাকে না। মিল পাওয়া যায় অন্য কোন খুব চেনা কারোর সঙ্গে। তবে স্বপ্নে এমন কোন মুখ আমরা দেখি না যা আমরা কখনো দেখিনি। অর্থাৎ স্বপ্নে সর্বদা পরিচিত মুখ আসে। হয়তো কোন মুখ আপাত অচেনা মনে হতে পারে। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই সেই মুখ আমরা রাস্তাঘাটে কোথাও না কোথাও দেখেছি। হয়তো সচেতনভাবে খেয়াল করিনি। কিন্তু অবচেতন মনে সেই মুহূর্তের ছবি রয়ে গেছে। সাধারণত সাম্প্রতিক ঘটনা বা আসন্ন কোন ঘটনা নিয়েই স্বপ্ন তৈরী হয়। তবে অনেক সময় শৈশব বা কৈশোরের কোন স্থান বা ঘটনা স্বপ্নে বার বার ফিরে আসে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, অন্ধ মানুষও কিন্তু স্বপ্ন দেখেন। যদি তিনি জন্মান্ধ না হয়ে থাকেন তাহলে দৃষ্টিশক্তি থাকা অবস্থায় তিনি যা কিছু দেখেছেন স্বপ্নে তাই আসবে। আর যদি জন্মান্ধ হন তাহলে যা কিছু তিনি অনুভব করেছেন সে সমস্ত স্পর্শ গন্ধ বা শব্দ তার স্বপ্নে আসবে।
ফ্রয়েডের মতে সব স্বপ্নই ইচ্ছাপূরণের স্বপ্ন। যেসব ইচ্ছা বা কামনা বাসনা আমরা সচেতনভাবে পূরণ করতে পারি না তাই আমাদের স্বপ্নে রূপকের মাধ্যমে দেখা দেয়। যেমন এমন অনেক ইচ্ছা বা কামনা আমাদের থাকে যা নিয়ে হয়তো আমরা সচেতন অবস্থায় ভাবতেও চাই না। লজ্জা, ভয়, আড়ষ্টতা, সমাজের বিভিন্ন নিয়ম আমাদের এইসব ইচ্ছাকে অঙ্কুরেই অবদমিত করে দেয়। আমরা শুরু থেকেই বুঝতে পারি এমন কিছু ভাবতে নেই। যেমন যৌন ইচ্ছা বা অর্থ প্রাপ্তির ইচ্ছা। এই ধরণের ইচ্ছা আমরা কখনোই বাস্তবে প্রকাশ করি না। কারণ আমরা সকলেই নিজেদের সামাজিক অবস্থান নিয়ে অত্যন্ত সচেতন ও যত্নশীল। এই সমস্ত ইচ্ছা আমাদের অবচেতন মনে স্থান পায়। সচেতন মন তাকে অস্বীকার করতে চাইলেও এই ইচ্ছাগুলি কখনোই একেবারে বিনষ্ট হয় না। এগুলোই স্বপ্নে বিভিন্ন রূপকের মাধ্যমে আমাদের কাছে ধরা দেয় যাতে দ্রষ্টার সচেতন মনের আবেগে ধাক্কা না লাগে। কখনো তা সামান্য স্পষ্ট কখনো আবার অস্পষ্ট। যদিও ফ্রয়েডের এই ইচ্ছাপূরণ তত্ত্বকে সুইস মনোবিজ্ঞানী কার্ল জং মেনে নিতে চাননি। তবে ফ্রয়েডের স্বপ্নতত্ত্ব সাধারণ মানুষের কাছেও গৃহিত হয়েছে কারণ যৌক্তিকতার বিচারে এভাবে আর কেউ স্বপ্নকে ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
স্বপ্নে আমরা যে রঙ দেখতে পাই তা আমাদের বর্তমান জীবনের রঙ, যা আমরা রোজ দেখছি। জেগে থাকা অবস্থায় যেসব রঙ আমরা দেখতে পাই স্বপ্নেও সেসব রঙই দেখি আমরা। তবে ছবিগুলি হয় সামান্য অস্পষ্ট বা যাকে বলে out of focus। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সাদা কালো স্বপ্নও হয়ে থাকে। তবে সাদা কালো স্বপ্নের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম আসে। ফ্রয়েডের মত মেনে নিলে বলতে হয় সব স্বপ্নই কোন না কোনভাবে আমাদের ইচ্ছাপূরণ করে। যেমন একজন মেডিকেলের ছাত্র এমন স্বপ্ন দেখতেই পারে যে সে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে এবং তার চিকিৎসা চলছে। এই ভেবে সে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে যে সে ঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছে গেছে। এই স্বপ্ন দেখার কারণ হলো তাকে সকালে তাড়াতাড়ি হাসপাতাল পৌঁছতেই হবে।
শুধু মানুষ নয়, পশুপাখিরাও কিন্তু স্বপ্ন দেখে। তাদের স্বপ্ন সাধারণত অন্য কোন প্রাণীকে তাড়া করা বা অন্যের আক্রমন ইহাকে বাঁচার জন্য পালানো নিয়েই হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে আমাদের স্বপ্নে কিছু বাস্তব ঘটনাও ঢুকে পড়ে। যেমন স্বপ্নে ট্রেনের ঝাঁকুনি দেখে ঘুম ভেঙে হয়তো দেখা গেল মা ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে তোলার চেষ্টা করছেন। সাধারণভাবে পুরুষ ও মহিলাদের স্বপ্ন আলাদা ধরণের হয়। গবেষণা থেকে জানা যায় কোন ব্যক্তি যখন নাক ডাকেন তখন তিনি স্বপ্ন দেখেন না।
স্বপ্ন সত্যি হওয়া নিয়ে অনেক রকমের ব্যাখ্যা রয়েছে। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাটি হলো আমাদের অবচেতন মন বাস্তবের সঙ্গে স্বপ্নের তুলনা করতে চায়, তাই অনেক ক্ষেত্রে যা আমরা স্বপ্নে দেখি তা সত্যি হয়ে যায়। স্বপ্ন স্পষ্ট হোক বা অস্পষ্ট সব সময়েই একটা অনিশ্চয়তার বা দুশ্চিন্তার ভাব কাজ করে। স্বপ্নের অর্থ নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। যেমন গর্ভবতী হওয়ার স্বপ্ন বোঝায় কোন নতুন ঘটনা বা কাজের সূত্রপাত। মৃত্যুর স্বপ্ন বোঝায় বহুদিন ধরে চলে আসা কোন ব্যক্তির বা কাজের সঙ্গে সম্পর্কছেদ করাকে। বিভিন্ন প্রতীকও দেখা যায় স্বপ্নে। জল, লাঠি, সাপ এসব নানান প্রতীকের মাধ্যমে বিশেষ বিশেষ বস্তু বা ঘটনাকে বোঝানো হয়।
শেষ করার আগে স্বপ্ন নিয়ে কিছু মজার তথ্য দিই। স্বপ্ন শুধুমাত্র অবচেতন মনের রচিত গল্পমাত্র নয়। স্বপ্ন অদ্ভুতভাবে অনেক সমস্যার সমাধানও করে। হয়তো কোন কঠিন সমস্যার সমাধান জাগ্রত অবস্থায় হয়নি, স্বপ্নে তার সমাধান হয়ে যেতে পারে। কঠিন অঙ্কের সমাধানসূত্র স্বপ্নে হয়েছে এমনও শোনা যায়। আবার বিখ্যাত সব আবিষ্কার বা সাহিত্য রচনাও স্বপ্নের প্রভাবে হয়েছে এমন শোনা গিয়েছে বহুবার। যেমন বৈজ্ঞানিক নিলস বোর তাঁর পরমাণু তত্ত্বের মূল ভাবনা স্বপ্নে পেয়েছিলেন। বিজ্ঞানী মেন্ডেলিভও তাঁর পিরিয়ডিক টেবিলের ছকটি স্বপ্নে পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। আবার বেনজিনের গঠন তত্ত্বও বিজ্ঞানী কেকুলে স্বপ্ন থেকেই পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। রবীন্দ্রনাথের "রাজর্ষি" নাটকের কাহিনী যে স্বপ্নে পাওয়া তা আমরা অনেকেই জানি। আবার ইংরেজ কবি কোলরিজের বিখ্যাত কবিতা "কোবলা খান"ও তিনি আফিমের নেশায় ঘুমিয়ে স্বপ্নে পেয়েছিলেন। এ তো গেল স্বপ্নে পাওয়া কিছু অমূল্য প্রাপ্তির কথা। অন্যদিকে স্বপ্ন নিয়ে অজস্র গল্প কাহিনী রচিত হয়েছে। শুধু স্বপ্নের ধারণাকে কেন্দ্র করেই বিশ্ব সাহিত্যের প্রচুর গল্প কবিতা নাটক নভেল লেখা হয়েছে। লুই ক্যারোলের লেখা বিখ্যাত কাহিনী "অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড", আমাদের অবন ঠাকুরের লেখা "বুড়ো আংলা" বা সুকুমার রায়ের অমর সৃষ্টি "হ য ব র ল" প্রভৃতি- এই সমস্ত সাহিত্যই বিশ্বের বিস্ময় এই স্বপ্নকে কেন্দ্র করেই রচিত। তাই সবশেষে এই প্রতিবেদনটির শিরোনামের সুরে বলতে ইচ্ছে করে, 'স্বপন যদি মধুর এমন হোক সে মিছে কল্পনা, জাগিও না আমায় জাগিও না।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন