১.
অলক্ষীগাথা
ভোর হোলো যে,
ও মেয়েটি জাগো,
লক্ষী হয়ে অনেক বছর ঘুমিয়েছিলে,
এবার অবাধ্য হও,
কিংবা একটু অলক্ষীও,
জোর গলাতে নিজের প্রাপ্য মাগো।
অসম্মানে
একাই রুখে দাঁড়াও,
আঘাতে দাও প্রতিঘাতের শেল,
মেয়েলি জীবনের খোলস খুলে
এখন থেকে নারী হয়ে ওঠো।।
২.
বহমান
ত নি মা হা জ রা
আকাশ হতে বড় ভয় হয়,
একদিন সব মেঘেরা বৃষ্টি হয়ে দূরে চলে যায়,
জেগে থাকে শুধু অন্ধকারে তারাদের দগদগে ক্ষত।
দিগন্ত হতে বড় ভয় হয়,
একদিন রাতে জনশূন্য হবে এই চরাচর,
একাকী কান্নারা শিশির হবে ঝিঁঝিঁ দের সাথে।
নদী হতে বড় ভয় হয়,
একদিন সব মাঝি ফিরে যাবে নাও বেয়ে
মাঝরাতে একাকী ঢেউদের কাছে ফেলে রেখে।
সেই একাকিনী গহনে নদী হব, দিগন্ত হব, আর আকাশ হব
নিজস্ব পুরুষটির বুকের ভেতর,
সব ভয় জয় করে জীবন হয়ে বয়ে যাব তার শিরায় শিরায়।।
৩.
রাণওয়ে
তনিমা হাজরা
আমি ভোর থেকে সাজালাম
সাধের ঝাউগাছ,
তাসের বালিয়াড়ি,
কানাঘুষো চাঁদ,
বৈরাগী হাওয়া,
উদ্বাস্তু কাঁকড়ার তৎপর ছোটাছুটি।
লবণাক্ত কামরাঙা সূর্য।
তুই ঘুমচোখে জোয়ার হয়ে এলি,
পাশে বসলি নিজস্ব ভঙ্গিতে।
সেই পাগল করা হাসি হেসে
অবহেলায় বল্লি,
আমার জন্য শুধু শুধু
এত খেটেছিস কেন?
আমি তো সেই কবে থেকেই তোর হয়ে গেছি।
বারবার শুধু বারবার
এই কথাটাই শোনার জন্য
আমি আমার অবশ স্নায়ু
মুঠোয় রেখেছি সারাজীবন।।
৪.
মেলোডি
তনিমা হাজরা
ইচ্ছে কুড়োচ্ছে মেয়েটি
ছেলেটির অবসন্ন গ্রীবায়।।
ডুবন্ত চোখের পাতায়,
ক্লান্ত জানুতে।।
মুছে দিচ্ছে পথচলার হিমেল যন্ত্রণা,
জাগিয়ে দিচ্ছে প্রাণ।।
একে ভালোবাসা বলো ভালবাসা
অথবা,বাঁচার দ্বৈত গান।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন