শনিবার, ৩০ জুন, ২০১৮

শোভনমণ্ডল





নিঝুমতলা
                 

শান্তিনিকেতনে আমাদের একটা বাড়ি আছে
খুব পুরনো। ঠাকুরদা আদর করে নাম দিয়েছিল ‘ সুখচারী'
দোলে সবাই মিলে জুটতাম। ছোটরা খুব মজা করে ভরিয়ে রাখতাম বাড়ি
বাবা বলতো, বাড়িটা সার্থকনামা।

বাড়ির চারপাশে কোন অট্টালিকা নেই,
ধোঁয়া নেই,  বাতাসে কার্বন নেই
যে দিকে দু'চোখ যায় রাঙামাটি,  সবুজ গাছ, নীল পুকুর

দক্ষিণে একটা লম্বা বারান্দা আছে
আমরা সকলে বলতাম ‘ নিঝুমতলা'
বিকেলের পর এখানে এসে দাঁড়ালে  ‘অন্য ভূবন ‘ দেখতে পাই

আজ আমরা কখনও একসাথে হওয়ার সময় পাইনা
দোলেও না,  পৌষেও না
শুধু শহরের মনখারাপ বেড়ে গেলে,  যেযার মতো
দু'একদিনের জন্য মাথা গুঁজি এখানে

সন্ধের পর নিঝুমতলায় দাঁড়িয়ে ক্ষণিকের জন্য নীরবতা পালন করি

                         মায়াজাল
                             

অবিশ্রান্ত ঝরে পড়ার পর কিছু উচ্ছ্বাস এখনও লেগে আছে মুখে
সবটাই আসন্ন আবেগের ঘেরাটোপে বন্দি নীরব-যাপন
ঠোঁটের দু'ধারে যে চুমুর দাগ তা তো শুধু তোমারই গোপন রঙ
বেশি কিছু চাওনি। এটুকুই ধরা ছিল নিপুণ মায়াজালে
শরীরে বয়ে যাওয়া ঝরনা, যার নোনতা জল শুধু এভাবেই
ছুঁয়ে যায় বুকের পাশটা।  গভীরতা অসীম। পুরোটাই রেশ...

শরীর জুড়িয়ে এলে জমে যায় বরফের সুপ্ত  গৃহকোণ 

তুষার ঝড়ে নড়ে ওঠে হিম। নিভৃতে জ্বলে যায় ফায়ার প্লেস...



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন