প্রাণের ইলিশ
___
বর্ষার অগমন মানেই বাঙালি মনের বেশি করে ইলিশের স্বাদ গ্রহনের জন্য ব্যকুলতা। কারন এই বর্ষাতে সবথেকে বেশি ইলিশ সমুদ্রের নোনা জল ছেড়ে বেরিয়ে এসে নদীর মিষ্টি জলে ডিম পাড়ে, নোনা জলে ডিম ফেটে বাচ্চা হয়না তাই। এইকারনে সকলেই ইলিশকে উভয় জলের মাছ বলে থাকে।
সে যাই হোক বর্ষা মানেই বাঙালি পাতের সেরা আইটেম খাবার পাতে ভাজা ইলিশ, সর্ষে ইলিশ, সে কত রকমারি স্বাদের রেসিপি ইলিশরানিকে নিয়ে। হ্যাঁ রানি'ই বটে, এ রানি যার কাছে যতক্ষন থাকে তার হাবভাব কিছুটা রাজার মতোই সে ইলিশ বিক্রেতায় হোক বা ইলিশ ক্রেতা। ধনী-মধ্যবিত্ত-দরিদ্র কোন বাঙালি'ই এই স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে রাজী নয়, যে যার সাধ্যমতো খাবেই খাবে। হ্যাঁ সাধ্যমতোই কারন ইলিশ খাওয়ার ইচ্ছে এবং খাওয়ার মধ্যে দুরত্ব অনেকখানি। এর মুল্য, মাথা নত করায় মধ্যবিত্ত-গরিবদের। দাম জিজ্ঞেস করার পর'ই অসহায় হয়ে পড়েন বহুমানুষ।
কেনার সামর্থ্য থাকুক বা না থাকুক, থলি হাতে বাজার বেরিয়ে ইলিশের দাম জানবেনা তা কি হয়! ইলিশ এতোই প্রিয়। ইলিশ সকলের।
এই ইলিশকে নিয়ে আবার ঘটি-বাঙ্গালদের মধ্যে বাকযুদ্ধ চিরন্তন, যার বিষয় 'কোন্ ইলিশ বেশি সুস্বাদু- গঙ্গা না পদ্মা'। তা সে বাকযুদ্ধ যতই হোক না কেন ঘটিরা পদ্মার ইলিশ পেলে ছাড়বেনা আবার বাঙালদের কাছে গঙ্গার ইলিশ সমানপ্রিয়।
ইলিশের চাহিদা এতোটাই যে এই মাছকে নিয়ে গবেষনাও কম হয়নি আমাদের দেশে।
সেই সত্তর দশক থেকে পুকুরের মধ্যে ইলিশ চাষ করে এদেশে এমাছের ঘাটতি পুরনের চেষ্টা চলছে। প্রথমদিকে ইলিশরানি 'পুকুর না পসন্দ' জানালেও উন্নত প্রযুক্তি ও পরিকাঠামো ব্যবহারে গবেষকরা ইলিশরানিকে অনেকটাই বশে আনতে সচেষ্ট হয়েছেন যদিও তা স্বাদে-গন্ধে-ওজনে অনেকটাই পিছিয়ে গঙ্গা-পদ্মা তুলনায়। তবে 'নেই মামা তো কানামামা ভালো', দামেও অনেকটাই সস্তা।
ওদিকে ওপার বাংলাতেও এই মাছকে নিয়ে মৎসজীবিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দীর্ঘ হচ্ছে নানাবিধ কারনে ইলিশের পরিমান দিনদিন কমতে থাকার কারনে।
তবে আমাদের মতো ইলিশ প্রিয় বাঙালিদের বিশ্বাস মৎস গবেষকরা ঠিক বাঙালির এই প্রিয় ইলিশকে অবলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করবেন।
আমাদের মতো ইলিশ প্রেমিকরা ভাবতেই পারিনা ইলিশ কখনও হারিয়ে যেতে পারে।
___
বর্ষার অগমন মানেই বাঙালি মনের বেশি করে ইলিশের স্বাদ গ্রহনের জন্য ব্যকুলতা। কারন এই বর্ষাতে সবথেকে বেশি ইলিশ সমুদ্রের নোনা জল ছেড়ে বেরিয়ে এসে নদীর মিষ্টি জলে ডিম পাড়ে, নোনা জলে ডিম ফেটে বাচ্চা হয়না তাই। এইকারনে সকলেই ইলিশকে উভয় জলের মাছ বলে থাকে।
সে যাই হোক বর্ষা মানেই বাঙালি পাতের সেরা আইটেম খাবার পাতে ভাজা ইলিশ, সর্ষে ইলিশ, সে কত রকমারি স্বাদের রেসিপি ইলিশরানিকে নিয়ে। হ্যাঁ রানি'ই বটে, এ রানি যার কাছে যতক্ষন থাকে তার হাবভাব কিছুটা রাজার মতোই সে ইলিশ বিক্রেতায় হোক বা ইলিশ ক্রেতা। ধনী-মধ্যবিত্ত-দরিদ্র কোন বাঙালি'ই এই স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে রাজী নয়, যে যার সাধ্যমতো খাবেই খাবে। হ্যাঁ সাধ্যমতোই কারন ইলিশ খাওয়ার ইচ্ছে এবং খাওয়ার মধ্যে দুরত্ব অনেকখানি। এর মুল্য, মাথা নত করায় মধ্যবিত্ত-গরিবদের। দাম জিজ্ঞেস করার পর'ই অসহায় হয়ে পড়েন বহুমানুষ।
কেনার সামর্থ্য থাকুক বা না থাকুক, থলি হাতে বাজার বেরিয়ে ইলিশের দাম জানবেনা তা কি হয়! ইলিশ এতোই প্রিয়। ইলিশ সকলের।
এই ইলিশকে নিয়ে আবার ঘটি-বাঙ্গালদের মধ্যে বাকযুদ্ধ চিরন্তন, যার বিষয় 'কোন্ ইলিশ বেশি সুস্বাদু- গঙ্গা না পদ্মা'। তা সে বাকযুদ্ধ যতই হোক না কেন ঘটিরা পদ্মার ইলিশ পেলে ছাড়বেনা আবার বাঙালদের কাছে গঙ্গার ইলিশ সমানপ্রিয়।
ইলিশের চাহিদা এতোটাই যে এই মাছকে নিয়ে গবেষনাও কম হয়নি আমাদের দেশে।
সেই সত্তর দশক থেকে পুকুরের মধ্যে ইলিশ চাষ করে এদেশে এমাছের ঘাটতি পুরনের চেষ্টা চলছে। প্রথমদিকে ইলিশরানি 'পুকুর না পসন্দ' জানালেও উন্নত প্রযুক্তি ও পরিকাঠামো ব্যবহারে গবেষকরা ইলিশরানিকে অনেকটাই বশে আনতে সচেষ্ট হয়েছেন যদিও তা স্বাদে-গন্ধে-ওজনে অনেকটাই পিছিয়ে গঙ্গা-পদ্মা তুলনায়। তবে 'নেই মামা তো কানামামা ভালো', দামেও অনেকটাই সস্তা।
ওদিকে ওপার বাংলাতেও এই মাছকে নিয়ে মৎসজীবিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দীর্ঘ হচ্ছে নানাবিধ কারনে ইলিশের পরিমান দিনদিন কমতে থাকার কারনে।
তবে আমাদের মতো ইলিশ প্রিয় বাঙালিদের বিশ্বাস মৎস গবেষকরা ঠিক বাঙালির এই প্রিয় ইলিশকে অবলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করবেন।
আমাদের মতো ইলিশ প্রেমিকরা ভাবতেই পারিনা ইলিশ কখনও হারিয়ে যেতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন