বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯

মানস চক্রবর্ত্তী

সেকেলে দাদু দুদু উচ্ছন্নের কথা 
-------------------------------------------


ভালোদাদুই পোথম আমার বুক ধরেছিলো 
যাঃ
সত্যি বোলছি মাইরি মাক্কালী
ধোরবে বলে ধরেছিল !
হুঁ তো । প্রায় প্রায় ধোরতো । ছুতোয় নাতায় । বাঃ মুনিয়া তোর ফরকটা তো বেশ বোলে টেনে নিতো তারপর একহাত পিঠে আরেক হাত বুকে ।
তুই কষ্ট পেতি মনে মনে?
মেয়েদের সহজে কষ্ট পেতে নেই
অবশ্য ভালোদাদু আমারো নুংকু নিয়ে যাতা করতো । সবার মধ্যে পেন্টুলের সামনে হাত দিয়ে চিৎকার করতো নন্দোর চিটকেনাটা ইয়াআ বড়ো
এ বাবা , তোর লজ্জা কোরতো ? তখন তুই কত বড়ো ?
এইট টেইটে পড়ি
তার মানে তো ঘাস গজিয়ে গ্যাছে
তা তো হবেই
একদিন নাআআ ভালোদাদু আমার বুকে মুক দিয়ে বলে দিদিভাই এট্টু মিনু খাই। আমি তো হাত ছাড়িয়ে দে  দৌড়। ক'দিন পরে বাড়িতে এসে উঠোনে দাঁড়িয়ে কী জোরে জোরে মা কে ডেকে বলছে কী , বৌমা তোমার মুনিয়া ডাগর হয়েচে গো আমায় দুদু খেতে দেয় নাকো আর ।
তখোন কাকীমা মুক ঝামটা দিতো না !
ধুস মা তো মুকে আঁচল চাপা দিয়ে রান্না ঘরে খিলখিল কোরে হাসতো । আরে বিন্দু পিসি কম করেচে আমার সনগে । ঘাটে পীঠে সাবান দিতে দিতে বগোলের তলা দিয়ে বুকে হাত দিতো , আমি যদি বলি উঁউউ , সঙ্গে সঙ্গে টিপে দিতো । আর সকলে কী হাসি । ভাগ্গি মেয়েদের ঘাটে চান কোত্তুম । আমায় বিন্দুপিসি পীঠে সাবান ঘষতে বোলতো , আর আমার হাত টেনে নিতো নিজের বুকে , বোলতো টেপ টেপ , কাউকে খপোরদার বোলবিনি কিন্তু ।
ও মা তাইইই ! বিন্দু পিসিদের বাড়িতে একবার , ওই যেবার রত্নাপিসির ছেলের পৈতে হলো , বিন্দুপিসি ছাড়া সবাই তো চোলে গেলো বর্ধমানে , মাকে বোলে গেলো , নন্দ যেন রাত্তিরে থাকে , বিন্দুর একা একা ভয় করবে । এট্টা পুরুষ মানুষ থাকা দরকার । বিন্দুপিসি ফাস্ট ইয়ারে পোড়তো । আমি খেয়েদেয়ে ছোটঠাকুমার বাড়ি শুতে গেলুম । বিন্দুপিসি সব্বোস্য এঁটে বসে আছে । আমি যেতে যেন তার ধরে প্রাণ এলো । খেলোদেলো । আমি বোল্লুম তুমি শুগে যাও । একটু টিভি দেখে এ ঘরে শোবোখন । বিন্দু পিসি আঁৎকে উঠে বলে , ও নন্দ আমি মরে যাব --- লোক্কী সোনা আমার কাছে শো । আমি ঘুমুতে পার্বো না রে , খুটখাট আওয়াজ হোলে হাটফেল করে মরে যাবো । তকোন কী আর করি । অগত্যা ওর ঘরে শুলুম ।
হ্যাঁতোও ও খুব ভীতু ।
শুদু ভীতু ! আমি ঘুমিয়ে পড়েচি । হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল । আমার পেন্টুলের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছে ।
সে কীঈঈঈ ! এ বাবা ! তার পর ?
আমাকে জাগতে দেখে তাড়াতাড়ি হাত বার করে নিয়েচে । কিন্তু ততক্ষণে তো যা হবার তা হয়ে গেছে । শালা কাউকে বোলতে পাচ্চি না । মাক্কালী এই পোথম তোকে বোল্লুম । আর কেউ জানে না । তারপরেও তিনদিন রাতে শুতে গিয়েচি কিন্তু আর টাচ করেনি । করলে নাআআ--- 
নন্দো মনে আছে সুবল স্যারের কাছে পড়তে যাওয়া ! 
মনে থাকবে না ! রেচনের চ্যাপ্টার আসতেই ব্যস আর যেন তোরা মুক তুল্তে পারতি না , মাধবী তো ফিক ফিক করে হেসেই যেতো 
আর হরমোণ --- ওফ যেন কী না কি --- স্যারের পড়া শুনে ভেতরে ধন্ধ হলো , নিশ্চয় স্যর কিছু চেপে যাচ্ছে ; ভাবলুম গাছের ভেতরও হরমোণ আর আমার ভেতরও হরমোণ ।
লজ্জায় লজ্জায় পড়াই হলো না , জিগ্গেস করা হলো না , পরে পড়তে গিয়ে দেখি ---- ভোঁ ভাঁ । ছেলে মে একসঙ্গে না হলে ভালো ছিলো ।
জননটা আলাদা পড়িয়েছিলো মনে নেই ? আমাদের মে'দের সকলেরটায় হাত দিয়েছিলো স্যার । তোদের ?
ধুস , আমাদের সম্পূর্ন ফুলের পরাগ মিলন বুঝিয়ে বোলেছিলো , গাছের মতো মানুষেরও স্পার্ম আর ওভাম মিলিত হয়ে বাচ্ছা হয় ।
বোঝো ঠ্যালা আর আমাদের মানুষের প্রাইমারি অর্গান তার বোঁটা অব্দি ধরে ধরে বোঝালো , আর কেবল বলে লজ্জা করলে লাইপ সাইন্স পড়া হবেনা কো । 
ভেবে দ্যাক এখন হলে জেল জরিমানা হয়ে যেতো ।
ভালোদাদু , বিন্দুপিসি সুবোল স্যর সব জেলের ঘানি টানচে !



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন