#বই
দীর্ঘ শত সহস্র বৎসর পূর্বে, সাংকেতিক চিহ্ন ও অক্ষর আবিষ্কারের শুভ মুহূর্তে শ্রুতিনির্ভর পঠনপাঠনের অন্তিম লগ্নে জন্ম হইয়াছিলো পুস্তকের আদিপুরুষের। প্রস্তরখণ্ডের উপর খোদিত ও পরবর্তিতে মৃত্তিকামণ্ডের উপর অঙ্কিত লিপিমালাদিগই বর্তমান পুস্তকের জনক।
কালের প্রবাহে রূপ পরিবর্তিত হইয়া আদি শিলালিপি ও অগ্নি-দগ্ধ কঠিন মৃত্তিকাখণ্ড, হস্তলিখিত ভূর্জপত্র হইতে মিশরীয় সভ্যতার সহায়তায় ভারতবর্ষের দক্ষিণাংশে, নব কলেবরে প্রথম যে হস্তলিখিত পুস্তকটি প্রকাশিত হইয়াছিলো, উহা আদতে স্থানীয়ধর্ম সংশ্লিষ্ট কতিপয় লোকাচার ও উপাচারের বর্ণনা।
ঐতিহাসিকগণের মতভেদে ইহার কিয়ৎকাল পরবর্তীতে ভারতবর্ষের উত্তরাংশে প্রথম মহাকাব্যটি লিখিত রূপ লাভ করিয়া থাকে।
ইহারও বহু বৎসর অতিক্রান্ত হইলে জার্মানি দেশস্থ শেতাঙ্গ সম্রাট ও আবিষ্কারক গুটেনবার্গ মহাশয় সর্বপ্রথম কাগজের উপর মুদ্রিত অক্ষর আবিষ্কার করিয়া বর্তমান পুস্তকের জন্মদান করিয়া বিশ্ববাসীর সম্মুখে এক নব-দিগন্ত উন্মোচন করিয়া থাকেন।
ইহারও দীর্ঘ কাল অতিক্রান্তে তদানিন্তন ভারতবর্ষে, অধুনা বাংলাদেশস্থ, জমিদার রায়চৌধুরী পরিবারস্থ, উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী ও উহার পুত্র সুকুমার রায় বঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষে মুদ্রণ জগতে বিপ্লব আনয়ন পূর্বক ইতিহাসে নিজদিগের নাম স্বর্ণাক্ষরে অঙ্কণ করিয়া যান।
যদ্যপি প্রস্তরখণ্ড, মৃত্তিকামণ্ড ভূর্জপত্র ইত্যাদির উপর হস্তলিখিত পদ্ধতি সমূহের বিপক্ষে যন্ত্রদ্বারা মুদ্রিত অক্ষরবৃন্দদিগের নিমেষে বহুসংখ্যায় প্রকাশ ও দ্রুত ব্যাপ্তি, লিখিত মাধ্যমে পুস্তকের একমেবাদ্বিতীয়ম হইবার প্রধান হেতু-স্বরূপ। তথাপি, কালাতিক্রমে মুদ্রণ-প্রক্রিয়াও অদ্য নানাবিধ প্রতিযোগিতার সম্মুখীন।
বহু স্থানে, বহু ব্যক্তি দ্বারা ইহা অদ্য বহু চর্চ্চিত একটি বিষয়। বিষয়টি পুস্তক, পাঠাভ্যাস, পুস্তক বিপণন ও উহার ভবিষ্যৎ। উক্ত বিষয়ে স্বীয় মতামত প্রকাশার্থেই এই প্রবন্ধের অবতারণা।
বহুদর্শী জাতি ইংরাজদিদের ভাষার প্রবাদ, আক্ষরিক ও ভাবানুবাদে বলিয়া থাকা যায়, "জগতে কেবল 'পরিবর্তন'ই স্থির ও নিশ্চিত" (The change is the only constant in the universe.)।
উক্তিটি প্রতিনিয়ত আমাদিগের জীবনে প্রভাত-পূর্ব হইতে রাত্রি মধ্যযাম অবধি সর্বত্র সর্বদা অবলোকিত হইলেও, মনুষ্য চরিত্রের বৈশিষ্টই ইহা যে, অভ্যাসের বশবর্তী হইয়া লব্ধ সাচ্ছন্দ্য ক্ষণস্থায়ী - ইহা উত্তমরূপে জ্ঞাত হইয়াও, আমাদিগের মনোঃপুত না হইবার হেতুতে আমরা সর্বদা নূতনকে অবশ্যম্ভাবী জানিয়াও, পুরাতনকেই প্রাণপণে কঠিন পাশে আঁকড়াইয়া ধরিয়া, আজন্মকালের আশ্বাসে অঙ্গিকারবদ্ধ থাকিয়া মানসিক শান্তি লাভ করিয়া থাকি।
ইহাবিধ হেতুতেই, নানাবিধ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির সহিত মুদ্রিত পুস্তকের নবরূপ দেখিয়া চতুর্দিকে গেল গেল রব উঠিয়াছে এবং আপমর জনসাধারণ পুস্তকের ভবিষ্যৎ লইয়া বিষম চিন্তিত হইয়া আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করিয়া হা-হুতাশ করিতেছেন। ইতিহাস বিষয়ে সামান্যতম অবগত হইলেও ইহা সুস্পষ্ট হইবে, যুগে যুগে কালের নিয়মে যুগধর্ম পরিবর্তনের সহিত, আঙ্গিক বদলাইবে, ইহ জগতে কোনো রূপই চিরস্থায়ী নহে, তথাপি বহিরঙ্গে পরিবর্তন আসিলেও, অন্তরপিণ্ড অথবা আত্মা, যাহাকে যেকোনো বস্তুর প্রাণকেন্দ্র বলিয়া অবিহিত করিয়া থাকা যায়, উহা অপরিবর্তীতই থাকিয়া যায়।
উক্ত বিষয়টির কিঞ্চিৎ ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে একটি উদাহরণের অবতারণা করা যাইতে পারে।
মানব জাতির সহিত অনান্য পশুর সর্বপ্রধান পার্থক্য সৃষ্টিশীল বিনোদন এবং আমোদ-প্রমোদ। যথা, নৃত্য গীত ও শারিরীক বলপ্রয়োগে কৃত ক্রিড়া ইত্যাদি প্রমোদ জীবজগতে প্রায় সকল শ্রেণীতে বিদ্যমান হইলেও, চারুকলা অর্থাৎ কারুশিল্পের ন্যায় সৃষ্টিশীল বিনোদন কেবলমাত্র মনুষ্যকৃত শিল্পেই বর্তমান। মনুষ্য ব্যতিত, জীবজগতে এযাবৎ চিত্রশিল্প অথবা কথকতা পরিলক্ষিত হয় নাই এবং নিশ্চিৎ না হইলেও মোটের ওপর সিদ্ধান্তে আসা যাইহতে পারে, অপেক্ষাকৃত উন্নত মস্তিষ্কই ইহার প্রসূতি।
ইতিহাস সাক্ষ্য, চিত্রকলা, কথকতা ইত্যাদিও আঙ্গিক বদলাইয়া প্রাকৃতিক রঞ্জন নির্মিত গুহাচিত্র হইতে বর্তমানে যন্ত্র নির্মিত চিত্রে পর্যবসিত হইয়াছে। ঐরূপ, আদিযুগের কথকতা, পটচিত্র হইতে বহু পথ পরিভ্রমণে বিজ্ঞানের সাহায্যে প্রস্তুত উন্নত যন্ত্রদিগের হস্ত ধরিয়া বর্তমান যুগে চলচ্চিত্রে পর্যবসিত। এ হেন পরিবর্তন মানব জাতি সাদরে বরণ করিলেও, আশ্চর্য হইতে হয়, উহাদের আক্রোশ এবং হতাশা কেবলমাত্র পুস্তকের বহিরঙ্গ ও আঙ্গিক পরিবর্তনে।
বর্তমান বৈদ্যুতিন মাধ্যমে মুদ্রিত পুস্তক দেখিয়া বহু বিচক্ষণ ও বহুদর্শীও হা হুতাশ করিয়া উচ্চকণ্ঠে কাগজের উপর মুদ্রিত পুস্তক লইয়া ক্রন্দন করিয়া থাকেন।
জগৎ জুড়িয়া প্রতিটি দ্রব্যের দুইরকম ফলাফল হইয়া থাকে। একটি কুফল ও অপরটি সুফল। সকল বিষয়েই বিচক্ষণতার সহিত কুফলটি পরিত্যাগপূর্বক সুফলটি গ্রহণ করাই শ্রেয় বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে। এক্ষেত্রেও, যাহারা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে মুদ্রিত পুস্তকের চৌর্যবৃত্তি বাড়িবার শঙ্কায় আশঙ্কিত, উহাদের স্মরণ করাইয়া দেওয়া কর্তব্য, কাগজের উপর মুদ্রিত পুস্তকও চৌর্যবৃত্তির বাহিরে ছিলো না। উহা অপেক্ষাও ইহার সুফল বহুবিধ, যথা দ্রুতগামীতা এবং স্বল্পস্থানে বহু বিধের আরক্ষণ। পূর্বের পর্বতপ্রমাণ পুস্তক আরক্ষণলদ্ধ স্থান ও এক স্থান হইতে অন্যত্র প্রেরণ এবং উহার সংরক্ষণ বহুগুণে সহজলব্ধ ও অনায়াস সাধ্য হইয়াছে কেবল মাত্র এই বৈদ্যুতিন মাধ্যমকৃত পুস্তকের নবরূপে।
উক্ত বিষয়ে নহে, খেদের বিষয় অন্যত্র। উহা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী কয়েকটি বিষয়।
পুস্তক আবিষ্কারের সহস্র বৎসর অতিক্রান্ত, তথাপি পৃথিবীর বহু মানুষ, বয়স্কদের মধ্যে প্রতি দশজনের মধ্যে সর্বোচ্চ কেবল মাত্র চারজন এবং শিশুদের মধ্যে সাতজন মাত্র পুস্তক পাঠে সক্ষম। যন্ত্রণার বিষয় ইহাই যে, লিপি আবিষ্কার হইবার এতৎযাবদ পরও পুস্তক যুগে যুগে নবরূপে আসিয়াছে তথাপি, কতিপয় ভাগ্যবানই কেবল উহার রসাস্বাদনে সক্ষম এবং জনজাতির বৃহদাংশ অদ্যাপি নিরক্ষর হইয়া পৃথিবী জুড়িয়া অফুরন্ত পুস্তকভাণ্ডারের স্বাদাস্বাদনে ব্যর্থ। এরূপ ব্যর্থতা পুস্তকের অথবা নিরক্ষর মানবজাতির নহে, উহা সাক্ষর মানবগোষ্টির সমষ্টিগত ব্যর্থতা।
খেদের বিষয়, বর্তমানযুগে নানাবিধ বিনোদন মাধ্যমের অন্তরবর্তী চাপের সম্মুখীন হইয়া পুস্তকের গ্রহণযোগ্যতা নিম্নগামী।
উপহারসামগ্রী হিসাবে এককালে যাহা ছিলো উন্নত মানসিকতা ও মেধার স্বীকৃতি, বর্তমানে তাহাই জনপ্রিয়হীন এক নিম্নমানের সামগ্রী মাত্র। কিয়ৎকাল পূর্বেও উপহার হিসাবে যাহা বিবেচিত হইতো অমূল্য সম্পদ হিসাবে বর্তমানে তাহাই মূল্য নির্ধারিত সমাজে অপ-কর্ষ সামগ্রী। আশ্চর্য মানসিকতায়, ক্রেতার সম্মুখে নিম্নমূল্য পুস্তক কদাপি নিকৃষ্ট সামগ্রী, তথাপি উক্ত মানসিকতায় উচ্চমূল্যের পুস্তক অপ্রয়োজনীয় ব্যয়। উক্ত মানসিকতাই পুস্তকের ভীতিজনক ভবিষ্যৎ-সূচক। ইহা ভুলিয়া থাকা অনুচিত যে, বাণিজ্যিক স্বার্থে পুস্তককে দ্রব্য হিসাবে গণ্য করা হইলেও, অনান্য দ্রব্যের ন্যায় ইহা হইতে লব্ধ সুবিধা সর্বদা সমানুপাতিক হারে তুলনীয় নহে।
অনতিদীর্ঘ ভবিষ্যতে, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের একাধিপত্য বিস্তারকালেও পুস্তক সংরক্ষিত হইবে, যেথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখিবে, একদা ইহা উপহার সামগ্রী হিসাবে বিবেচিত হইতো, যাহাতে দাতা, অতি যত্নে অত্যন্ত আবেগের সহিত গ্রহিতার নামাঙ্কণ করিয়া সন্নিকটে নিজ নাম সাক্ষর করিতো। বিভিন্ন সম্ভাষণে, উভয়ের সম্পর্ক উল্লেখ করিয়া দুই-ছত্র আপন হস্তে লিখিয়া অতি যত্নে পুস্তকটি উপহার হিসেবে প্রিয়জনের হস্তার্পণ করিতো।
বৈদ্যুতিন মাধ্যমের পুস্তকও নিশ্চিতরূপেই একদা কালের গর্ভে নিক্ষিপ্ত হইবে, তথাপি পুস্তক বিরাজ করিবে অন্য রূপে, অন্য মাত্রায়।
আশা রাখিবো সেই ভবিষ্যৎ যুগে বিশ্ব জুড়িয়া প্রতিটি মানুষ পুস্তকের কদর বুঝিবে, পুস্তক পাঠে সক্ষম হইবে, এবং উহাই হইবে পুস্তকের প্রতি মানব সভ্যতার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা নিবেদনের উপায়।
পরিশেষে একটি ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ উত্থাপন করিয়া এ বিষয় বক্তব্য সমাপ্ত করিবো। বহুভাষায় পারদর্শীতা না থাকার হেতু বিশ্বসাহিত্যের বহু পুস্তকই অধরা, এবং মহাজ্ঞানী নিউটন মহাশয় জ্ঞানের শীর্ষবিন্ধুতে পৌঁছাইয়াও, যে স্থানে বিনয়ের শীর্ষে পৌঁছাইয়া বলিতে পারেন তিনি সমুদ্রোপকূলে দণ্ডায়মাণ হইয়া গুটিকয় প্রস্তরখণ্ড সংগ্রহ করিয়াছেন মাত্র, সেস্থানে আমার ইহা বলাও গর্হিত অপরাধ, যে আমি কেবলমাত্র কয়েকটি প্রস্তরখণ্ড দর্শন করিয়াছি মাত্র।
তথাপি, বিশ্ব পুস্তক জগতে যে কয়টি প্রস্তরখণ্ডের যৎসামান্য অংশাবশেষ দর্শনের সৌভাগ্য পাইয়াছি, উহা মধ্যে দুইটি পুস্তক আজন্মকাল স্মৃতির মণিকোঠায় চিরজীবন উজ্জ্বল হইয়া থাকিবে।
অক্ষরজ্ঞানের পূর্বে পিতার নিকট উপহারস্বরূপ একটি শিশুতোষ চিত্রিত পুস্তক লাভ করিয়াছিলাম। চল্লিশ বৎসর অতিক্রান্ত, বহু পুস্তক পড়িলাম, তথাপি, অতি পরিচিত অথবা নূতন পুস্তকের ঘ্রাণ পাইলে, বক্ষ বিদীর্ণ করিয়া একটি দীর্ঘশ্বাস নিঃসৃত হইয়া থাকে। উহা আমার ইহ জন্মের প্রথম পুস্তকটির প্রতি প্রেম এবং উহা হারাইবার ফলে প্রেমপূর্ণ স্মৃতিমেদুরতার ফলস্বরূপ।
অপর আরেকটি পুস্তক, আমার মাতা তাঁহার নিজ শৈশবের পুস্তক, সুখলতা রাও প্রণীত 'গল্প আর গল্প' অতি যত্নসহকারে সংরক্ষিত করিয়াছিলেন। আমার শৈশবে অক্ষরজ্ঞানার্জণের পূর্বে তিনি প্রত্যহ দ্বিপ্রহরে এবং রাত্রে আমাকে শয়নকালে শান্ত করিবার নিমিত্তে পাঠ করিয়া শুনাইতেন। বৈদিক যুগের ন্যায় উহাই আমার শ্রুতিনির্ভর প্রথম পাঠ এবং পরবর্তীতে আমার ইহ জন্মের প্রথম রসাস্বাদিত চিত্রকল্পবিহীন স্বেচ্ছাকৃত কাহিনী পাঠ। অদ্যপি অলস দ্বিপ্রহরে বহু পুস্তকাকীর্ণ দেরাজে, কদাচ উহার সম্মুখীন হইয়া, পুস্তকটি হস্তে ধারণ করিয়া ঘ্রাণ লইয়া নিরবে চক্ষু মুদিয়া দণ্ডায়মান হইয়া কিয়ৎকাল অতিবাহিত করিয়া থাকি। আশ্চর্য স্মৃতিমেদুরতায় নিমেষ মধ্যে পুস্তকটি আমাকে চল্লিশ বৎসর পূর্বের শৈশবে প্রবেশ করিয়া দেয়।
আপাত-অকিঞ্চিৎকর সামান্য শিশুপাঠ্য দুইটি পুস্তক, যাহার একটি হারাইয়াছি অপরটি সংরক্ষণ করিতেছি মহা যত্নে।
যেমত মনুষ্য কদাপি দুর্ঘটনার কবলে পড়িয়া দুইটি চক্ষু অথবা দুইটি বৃক্কের একটি হারাইয়া অপরটি লইয়া বাঁচিয়া থাকিবার অঙ্গিকার করিয়া থাকে, সেইমত, আশৈশবপ্রিয় দুইটি পুস্তকের একটি হারাইয়া অপরটি লইয়া বাঁচিয়া রহিয়াছি।
আমি নিশ্চিত এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ একদা ইহ জগত ছাড়িয়া যাইবো, তথাপি রইবে আমার প্রাণাধিকপ্রিয় আমার মাতার শৈশবের পুস্তকখানি।যাহাতে প্রজ্বলিত রহিবে আমার মাতার স্নেহপূর্ণ স্পর্শ, যাহা বহন করিবে একটি প্রিয় মুহূর্তে রচিত ইতিহাস, যে স্থানে মাতা তাহার নিজস্ব শৈশবের পুস্তকটি তুলিয়া দিইয়াছিলেন আপন পুত্রের হস্তে, নিজহস্তে সন্তানের নামাঙ্করণ করিয়া নিজ সাক্ষর সহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন