' ঢেউ নিয়ে লেখা '
চার ।
এভাবে শব্দের গুটিয়ে থাকা
আসলে ঘিলুর কুদাম্পত্য,
প্রতিরোধহীন, অস্পষ্ট দিন চলে যায়
পাঁচ ।
সন্ধে একধরনের পরজীবি
সংক্রমণ ধীরে ধীরে গলা বেয়ে ফুসফুস
আর গরম জলের ছড়িয়ে দেওয়া বিরোধ
ভাষাহীনতার গায়ে
তীব্র এক চপেটাঘাত
ছয় ।
স্থানু সময়, দূরত্ব বড় নির্বাক
নিঃস্বতা নিয়ে ভাবতে বসে দেখতে পাই
দু-মুঠো চালের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছে হরিণ
লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুঁজতে খুঁজতে ঢুকে পড়েছে গহীন এক অরণ্যে
বিশাল এক বটবৃক্ষের নিচে বিড়বিড় করছিলেন অক্ষর সন্ন্যাসী
কী তার দীপ্তি, কী তার মন্ত্রের আওয়াজ
নিমেষে জং উড়িয়ে দিচ্ছে সৌরতেজ
ক্ষুধা শান্ত হল খুব
এমন বাৎসল্য , এমন নির্ভার
এত নির্মোহ না হলে
কী করে হতো এমন নিরিবিলি সোহাগ !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন