শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১

অমিভাভ সরকার

 

                                         


বেজন্মা ( অষ্টম পর্বের পর)

বোলপুর সিনেমাতলা নেমে একটা হোটেলে লাঞ্চ করে নেয় কৃষাণ। ভেবেছিল একদিন এখানে থেকে শান্তিনিকেন ঘুরবে… আম্রকুঞ্জ… ছাতিমতলা… সংগ্রহশালা…। কিন্তু রাবেয়ার চিন্তা তাকে আচ্ছন্ন করে…। কিচ্ছু ভালো লাগে না তার। এখন অনেক কাজ তার। ফিরে বন্ধুদের সঙ্গে একবার আলোচনা করতে হবে। সিংজীদেরও বলা দরকার। বড্ড স্নেহ করে তারা। আত্মীয় পরিজন বলতে তো এরাই। বোলপুর স্টেশনের দিকে এগোয় কৃষাণ…।        


স্টেশনে পৌঁছে পরিচিত স্টেশনমাস্টারের খোঁজ করে। জানতে পারে তাঁর এখন সেকেন্ড নাইট ডিউটি চলছে, তাই রাত্রি ছাড়া পাওয়া যাবে না তাঁকে। তাদের কাছ থেকে খবর নিয়ে তিনটে নাগাদ রামপুরহাট-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসে রওনা হয়। ট্রেনে বেশ ভীড়, সকলের কপালে সিঁদুর দেখে মনে হলো অধিকাংশ তারাপীঠ থেকে ফিরছে। দরজার কাছে হেলান দিয়ে দাঁড়াল কৃষাণ। মাত্র দুটো দিন, এই দুটো দিনেই কেমন করে যেন উলটপালট করে দিল তার জীবন। একটা সুর শুনে পাশ ফিরে তাকায় কৃষাণ। একটু দূরে ট্রেনের দোলার গেরুয়াবসনে এক প্রবীণ বাউল ঘুংঘুর পায়ে একতারা হাতে গাইছেন;   

‘মনের ভেদ মন জানে না, 

একি কারখানা।

এ মন ও মন করছে ওজন,

কোথা সেই মনের থানা।


মন দিয়ে মন ওজন সই হয়

দুই মনে এক লেখে খাতায় 

তাইবি ধরে যোগসাধনে 

কর গো মনের ঠিকানা…।। 

মন এসে মন হরণ করে 

লোকে ঘুম যায় বলে তারে

কত আনকা নহর, আনকা শহর

ভ্রমিয়ে দেখায় তৎক্ষণা ।।    


শুনতে শুনতে আচ্ছন্ন হয়ে যায় কৃষাণ কেমন একটা আবেশ ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে। ‘বর্ধমান’…, গান শেষ করেন বাউল। ওয়ালেট বের করতেই একশো টাকা উঠে আসে হাতে। একটু ভেবে বাউলের হাতে একশো টাকার নোটটাই গুঁজে দেয়। “মন ভালো রেখো গোঁসাই”। ‘মনের ভেদ মন জানে না, একি কারখানা। এ মন ও মন করছে ওজন…’। আপন মনে গুনগুন করতে করতে বর্ধমানে নেমে যান প্রবীণ বাউল।             

 

ট্রেন ব্যান্ডেল আসতে নেমে পড়ে কৃষাণ। সেখান থেকে লোকালে হাওড়া হয়ে আন্দুল। আন্দুল স্টেশনে নেমে কাউকে না পেয়ে চায়ের দোকানের মালিকের কাছে খোঁজ নেয় নিত্যযাত্রী বোসবাবুর। তারপর স্টেশন থেকে বাইরে এসে হাইরোডের দিকে এগোয়। রাত্তিরে থাকার জন্য সিংজীর ধাবায় একবার বলে আসা দরকার। এখন আর স্টেশনে থাকা যাবে না, এতদিন পরে জিআরপি-র লোকজন চিনবেও না তাকে।             


বেশ কিছুক্ষণ সিংজীর সঙ্গে খাটিয়ায় বসে পুরনো দিনের গল্প করে কৃষাণ। রাত্রি ন’টা নাগাদ সিংজীকে থাকার কথা বলে স্টেশনের দিকে এগোয়…। এবারে একে একে হকার বন্ধুরা কাজ সেরে আসবে। স্টেশনে আসতেই মানিক’দার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। স্টেশনের এক প্রান্তে এক বেঞ্চিতে গিয়ে বসে দুজনে। একে একে বাদরুল, ওরফে বিল্লু, শ্যাম, নান্টা সকলে হাজির হয়ে যায়। কৃষাণ সব কথা খুলে বলে তাদের।  

“আরিব্বাস!! কৃষাণ, তুই প্রেম কচ্ছিস…? 

“এই চুপ করত, সবসময় ফাজলামি”। মানিকদার ধমকে চুপ করে যায় বিল্লু।  

“দেখ, যা পরিস্থিতি শুনিলাম, তাতে শুধু রাবেয়াকে নিয়ে আসলে হবে না। সব চাপ গিয়ে পড়বে পিসিমার ওপর। আর মেম্বার কালীবাবু কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না, না হলে…”।       

“ও আর কী করবে, শালাদের কাছ থেকে পয়দা খায় যে…”। বিল্লু তার টিন থেকে মুড়ি মেখে সকলের হাতে দেয়।  

“সেটা হতে পারে, তাই হয়তো সব জেনেও সোজাসুজি প্রতিবাদ করতে পারেন না তিনি। তবে, উনিও বোধহয় চান না বাবেয়া বদমাইশদের পাল্লায় পড়ুক”।     

“চল, সকলে মিলে যাই…” মানিকদা থামিয়ে দেয় বিল্লুকে। 

“দাঁড়া, আগে একটু ভাবতে দে, খুব প্ল্যান করে এগোতে হবে… নে, আগে চা খা…” সকলকে চা দিয়ে আনমনে চুপচাপ বিড়ি টানে মানিকদা।  

আলোচনায় শেষে ঠিক হোল, আগামীকাল শামসুদ্দিনকে বলবে তার বাবার সঙ্গে কথা বলতে। বলবে ভিসা করে এখানে চলে আসতে। তাঁকে নিয়ে লাভপুরে নিয়ে যাবে কৃষাণ। কয়েকজন একটা সুমো ভাড়া করে যাবে বোলপুর বেড়াবার আছিলায়। তারপর সুযোগ বুঝে তাদের নিয়ে লাভপুর হয়ে সোজা এখানে। ততদিনে একটা বাড়ি ভাড়া ঠিক হয়ে যাবে।   

“সে তো অনেকদিনের ব্যাপার…!” মানিকদার কথা শুনে কৃষাণ বলে।   

দেখ, তাড়াহুড়ো করলে সমস্যা আরো বাড়বে। তুই তাড়াতাড়ি কাজে জয়েন কর। শামসুদ্দিনের আব্বা আসার ব্যবস্থা হয়ে গেলে, তুই ছুটি নিয়ে চলে আসবি। তোদের অফিসারকে তোর বিয়ের জন্য ছুটির আবেদন করে রাখ। আজকে কোথায় থাকবি? চল, আমার বাসায় চল। না কোনও লজে উঠবি?” 

“দূর, লজ-টজ ভালো লাগে না আমার। ঠেলায় না পড়লে… তোমাদের সঙ্গে থাকার চেয়ে ভালো কিছু নেই। কত বছর কাটিয়েছি তোমাদের সঙ্গে...। একটু আগে সিংজীর সঙ্গে গল্প করছিলাম। আসার সময় আমি সিংজীকে বলে এসেছি।     

“কৃষাণ, তুই বরং আমার সঙ্গে চল। তোর বৌদি তোকে দেখলে খুশী হবে। আজকেই তোর কথা হচ্ছিল”।    

“না রে বিল্লু, আজ সিংজীর ধাবায় থাকি। আগামীকাল যাওয়ার আগে বৌদির সঙ্গে দেখা করে আসবো” ।  

“তাহলে দুপুরে ওখানেই আমাদের সঙ্গে খাস। আমি সকালের কাজটা সেরেই ফিরে আসবো”। সকলে মিলে কৃষাণকে সিংজীর ধাবা পর্যন্ত এগিয়ে দেয়। তাদের দেখে সিংজী জোর করেই চা আর পাঁপড় ভাজা খাওয়ায়।       

“কৃষাণ, আভি রাতমে ঠান্ড হোতা হ্যায়। তেরে লিয়ে অন্দর বিস্তারা কিয়া। খানা খাকে শো যা”। সিংজী কাউন্টারে যেতেই কৃষাণ শরীর টানটান করার জন্য ধাবার সামনে পড়ে থাকা খাটিয়াতেই করে শুয়ে পড়ে। সারাদিন পরিশ্রম, টেনশনে চোখ বুজে আসে…।       

ঘুম ভাঙ্গে সিংজীর ডাকে। তাকিয়ে দেখে একটা থালায় রুটি আর তরকা নিয়ে খাটিয়ার বসে সিংজী…। ঘড়িতে প্রায় রাত বারোটা। তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে কৃষাণ। 

“স্যরি সিংজী, আঁখ লাগ গিয়া থা”। চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে পড়ে কৃষাণ।        

“তেরে লিয়ে আমি বানায়েছি। তেরা তো তরকা ভালো লাগে, তাই…। খা লে বেটা, বহুত রাত হয়ে গেল”। সত্যি, এখানে সকলেই যেন একটি পরিবারের সদস্য…। এঁদের ঋণ সারা জীবনেও শোধ হবার নয়। কথায় বলে ‘যার কেউ নেই, তার ঈশ্বর আছে’। আর মানুষের মধ্যেই যে ঈশ্বরের বাস, তা এদের সঙ্গে না থাকলে বিশ্বাস করবে না কেউ।   

#  

ভোর চারটায় ঘুম ভেঙ্গে গেল কৃষাণের। ধাবার লোকজন তখনও ঘুমিয়ে…। মুখ-হাত ধুয়ে স্টেশনের দিকে পা বাড়ায়। সকাল পাঁচটায় মেদিনীপুর লোকাল ধরে মানিকদা আর বিল্লু। স্টেশনে পৌঁছতেই বিল্লু আর মানিকদাকে স্টেশন কাউন্টারের একদিকে বসে থাকতে দেখে। মানিকদার কেটলী থেকে ধোঁয়া বেরুচ্ছে…। পাশে মুড়ির টিন নিয়ে বসে বিল্লু। পেছন থেকে দুজনের গলা ধরে মাঝখানে বসে পড়ে কৃষাণ। প্যাসেঞ্জারেরা মানিকদার কাছে চায়ের জন্য দাঁড়ায়। কৃষাণ মানিকদার সঙ্গে হাতে হাতে যাত্রীদের দিকে চায়ের কাপ এগিয়ে দেয়। মাইকে ট্রেনের খবর বলতেই বিল্লু মুড়ির টিনের চার পাশে লাগানো স্টিলের গ্লাসে চানাচুর, কাটা পেঁয়াজ, লঙ্কা, তেল, মশলা গুছিয়ে নেয়। ভোর পাঁচটা নাগাদ মেদিনীপুর লোকাল ঢুকতেই  মানিকদা আর বিল্লু উঠে পড়ে…। মানিকদা ট্রেনে স্টোভ-কেটলী রেখে দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়।   

“এলাম রে সন্ধ্যায় দেখা হবে। আমি তাড়াতাড়ি চলে আসবো”।       

 “আমি চলি রে…, বারোটার মধ্যে ফিরে আসছি। দেরী করিস না…”। ট্রেন ছাড়তেই চিৎকার করে বলে বিল্লু। 

মেদিনীপুর লোকাল ছেড়ে যেতেই হাঁটতে হাঁটতে সিংজীর ধাবার দিকে এগোয়…। ইতিমধ্যে ধাবার লোকজন উঠে পড়েছে, চুল্লীতে আগুন ধরানো হয়েছে, এলোমেলো হাওয়ায় ধোঁয়া ছড়িয়ে যাচ্ছে চারপাশ। এখন শামসুদ্দিনের ডিউটি অফ হবার কথা, ফোন করবো? ভাবতে ভাবতে ফোন করে কৃষাণ।     

“হ্যালো… শামসুদ্দিন? আমি কৃষাণ… এখন কথা বলা যাবে…?” গতকাল রাত্রে বন্ধুদের সাথে আলোচনার কথা, জানায়। সব শুনে শামসুদ্দিন বলে যে, ‘আব্বুর বয়স হয়েছে, এই সব ঝামেলার মধ্যে তাঁর না পড়াই ভাল। তাছাড়া কোনও সমস্যা হলে বাংলাদেশী হিসাবে আব্বু বিপদে পড়তে পারে। তার চেয়ে বরং কৃষাণ নিয়ে আসুক, আব্বু পরে দেখা করে আসবে। সব শুনে খাটিয়ায় চুপ করে বসে থাকে কিছুক্ষণ। কৃষাণকে ঐ অবস্থায় দেখে এগিয়ে আসে সিংজী।      

“ক্যায়া হুয়া কৃষাণ? কোই প্রবলেম? ক্যায়া হুয়া আমাকে বোল …”। কৃষাণের পাশে বসে সিংজী মাথায় হাত রাখে। কৃষাণ সিংজীর হাত চেপে ধরে। সব শুনে সিংজী চাপড় মারে কৃষাণের কাঁধে।      

“আরে এহি বাত, কোই চিন্তা নেহি, তেরা সাথ এ গুরুবক্স সিং হ্যায়। ম্যায় লে আউঙ্গা বহুকো। আজ রাত আট বাজে সব কো ইধার বুলাও, আজ সবকা সাথ বাতচিৎ করেঙ্গে…। ‘আরে… মেরা বেটাকে লিয়ে চা লে আও’। কিচেনের এক ছোকরাকে উদ্দেশ্য করে হাঁক দেয় সিংজী।                

#  

ধাবায় একপাশে চৌবাচ্চায় স্নান করে জামাকাপড় পরে দুটো রুটি আর ডিমের ভুজিয়া খেয়ে নেয় কৃষাণ। কাউন্টারে সিংজীর কাছে দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলতে বিল্লু এসে হাজির হয়। কৃষাণের ফোন বেজে ওঠে… রাবেয়ার ফোন। কৃষাণ এক পাশে সরে দাঁড়ায়। বেশ কিছুক্ষণ দুজনের মধ্যে কথা হয়। কৃষাণ রাবেয়াকে বলে, একসপ্তাহের  মধ্যেই যেন গোছগাছ করে নেয়। মুরগী আর ছাগলের ঘরের চাবি পড়শিদের কাউকে দিয়ে আসে। বিশেষ করে যাবতীয় দলিল, কাগজপত্র, সার্টিফিকেট যেন সঙ্গে নিয়ে নেয়। আর পিসিমাও যেন তৈরি থাকে, এখানেই তাদের রেজিস্ট্রি হবে। আকবর চাচা দেখা করতে এখানে আসবেন। শামসুদ্দিনের ফোন নম্বর ম্যাসেজ করে রাবেয়াকে।         


রাত্রি আটটার মধ্যেই ধাবায় হাজির হয় সকলে। সিংজী পুরো পরিস্থিতিটা সকলের সামনে রাখে। মানিকদা বলে, ‘শামসুদ্দিন ঠিকই বলেছে। যদি কোনও পরিস্থিতিতে পুলিশের কাছে যেতে হলে বাংলাদেশী ফরেনার হিসাবে শামসুদ্দিনের বাবাকে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাছাড়া ওনার বয়সও হয়েছে। এত চাপ না দেওয়াই ভাল। যা কিছু আমাদেরকেই করতে হবে’। বিল্লু বলে, ‘এই অবস্থায় দেরী করা ঠিক নয়’। নান্টা বলে, ‘তাদেরকে নিয়ে আসার আগে থাকার জন্য একটা ঘর ঠিক করা দরকার। এখানে এসে উঠবেন কোথায়?’ এতক্ষণ সিংজী সকলের কথা  চুপচাপ শুনছিলেন। সকলের কথা শোনার পর তাঁর মতামত দিলেন।   

“আরে কয়েকদিন আমার বাড়িতেই থাকতে পারে। কোনও মতে ঠিক হয়ে যাবে”। বিল্লুর কথা সিংজী সমর্থন করে। 

“বিল্লু ঠিকই বলা, কুছদিন কে লিয়ে হামলোককা ঘর মে হো জায়গা। হামারা ভি একঠো বড়াঘর তো খালি হ্যায়, উখানে আরাম সে থাকতে পারে। হামরা তো দোজন আছি, তেরা ভাবি কা ভি সঙ মিল জায়গা।  

“কৃষাণ, আমার মনে হয় সেটাই ভালো হবে। এক-দুইদিনের তো ব্যাপার নয়”। সিংজীর প্রস্তাবে সায় দেয় মানিকদা।   

“ভাইলোক, ইস বারেমে মেরা কহনা হ্যাঁ কী, আজ শুক্রবার, সোম ইয়া মঙ্গলবার হামলোক ইখান থেকে যাব…। কৃষাণ, ম্যায়, মানিক, বিল্লু অউর বিল্লুকা বিবি। এক জনানা ওদের জন্য দরকার আছে। তো হামলোক হুয়া পাঁচ…। আগর তুমলোগ রাজী হো তো, ব্যবস্থা হো জায়গা। একবার সোচ লো”। সিংজীর প্রস্তাব সকলে সমর্থন করে। যাওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে একযোগে আপত্তি করে ওঠে শ্যাম ও নান্টা। 

“সব ঠিক আছে। কিন্তু আমরা যাবো না? আমরা বাদ? এটা কিন্তু ঠিক নয় সিংজী…” এদের ভাব দেখে হেসে ফেলে সিংজী…।   

“আরে ভাই, টাটা সুমো ইয়া স্কোরপিও মে বেইঠনেকা লিয়ে হ্যায় সাত আদমী হবে। তার বেশী কী করে হবে, একবার সোচো”। শ্যাম আর নান্টার অবস্থা দেখে বিল্লু প্রস্তাব দেয়…।     

“তোদের মধ্যে কে যাবি বল? তাহলে আমি যাব না। আরে এখানেও তো অনেক কাজ আছে। ওনাদের থাকার জন্য ঘর ঠিক করা, বিছানাপত্র, রান্নার বাসন কেনা…। এগুলি কে করবে শুনি?  

“বিল্লু ঠিকই বোলা…। মগর বিল্লু, তেরা বহু’কো তো যাতে হবে…, তু নেহি জানেসে…”।  

“ঠিক আছে বিল্লু’দা তুমি যাও, বৌদি যাচ্ছে, তোমার যাওয়া দরকার, না হলে বৌদি বোর হবে। আমরা এ দিকটার ব্যবস্থা করছি”। কৃষাণ এতক্ষণ সকলের কথা শুনছিল আর ভাবছিল, কত ভাগ্যবান সে।  

“আমি বলি কী, একটা বাজেট করলে আমার সুবিধা হয়। আমিও এটিএম থেকে কিছু টাকা তুলে রাখতে পারি।”।  

“আরে বেটা উসব বাদমে দেখা যাবে। তু এক কাম কর, শ্যাম অউর নান্টাকে সাথ বইঠকর এক লিস্ট বানা লে। অউর, সামান খরিদ করনে কে লিয়ে ওদের কুছ রুপিয়া দে দেও।     

(ক্রমশঃ)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন